নতুন মেয়রদের সম্পদের হিসাব চেয়েছে সরকার by মোশতাক আহমদ
আইন অনুযায়ী নবনির্বাচিত মেয়রদের সম্পদের
হিসাব চেয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট
দপ্তর থেকে বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে এ
বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট
জেলা প্রশাসকদের কাছেও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ১৬
জুলাইয়ের মধ্যে মেয়রদের সম্পদের হিসাব মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য বিভাগীয়
কমিশনারদের অনুরোধ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শওকত
হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব পাচ্ছেন না আইনি জটিলতার কারণে। আইন অনুযায়ী শপথ গ্রহণের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রথম সভা করবেন নবনির্বাচিত মেয়ররা। কিন্তু বর্তমান প্যানেল মেয়ররা তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ার আগে দায়িত্ব না ছাড়লে নতুন মেয়ররা দায়িত্ব পাবেন না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন মেয়রদের দায়িত্ব প্রদানের জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পেলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
এদিকে সম্পদের হিসাব চাওয়াকে সরকারের দুরভিসন্ধি বলে অভিহিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, বিরোধী দলের নেতা হিসেবে চার সিটির নবনির্বাচিত মেয়রদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সরকার ভয় পায় বলে একের পর এক ফন্দি আঁটছে। তিনি বলেন, 'আমাদের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে গেজেট হলেও শপথের কোনো তারিখ হয়নি। আবার শপথ হলেও দায়িত্ব পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। এর মধ্যে বারবার সম্পদের হিসাব দিতে হলে এটা হবে এক ধরনের হয়রানি। কারণ মাত্র দুই মাসও হলো না আমরা মনোনয়ন দাখিলের সময় আমাদের সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছি। সরকার চাইলে নির্বাচন কমিশন থেকেই সম্পদের হিসাব নিতে পারে।'
নবনির্বাচিত মেয়রদের কাছে সম্পদের হিসাব চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শওকত হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর বিধান অনুযায়ী নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানের আগে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। তাঁরা ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সম্পর্কিত হলফনামা দাখিল করবেন। তিনি জানান, কেউ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে না পারলে শপথ নিতে পারবেন না।
এদিকে আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব পাচ্ছেন না আইনি জটিলতার কারণে। আইন অনুযায়ী শপথ গ্রহণের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রথম সভা করবেন নবনির্বাচিত মেয়ররা। কিন্তু বর্তমান প্যানেল মেয়ররা তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ার আগে দায়িত্ব না ছাড়লে নতুন মেয়ররা দায়িত্ব পাবেন না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন মেয়রদের দায়িত্ব প্রদানের জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পেলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
এদিকে সম্পদের হিসাব চাওয়াকে সরকারের দুরভিসন্ধি বলে অভিহিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, বিরোধী দলের নেতা হিসেবে চার সিটির নবনির্বাচিত মেয়রদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সরকার ভয় পায় বলে একের পর এক ফন্দি আঁটছে। তিনি বলেন, 'আমাদের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে গেজেট হলেও শপথের কোনো তারিখ হয়নি। আবার শপথ হলেও দায়িত্ব পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। এর মধ্যে বারবার সম্পদের হিসাব দিতে হলে এটা হবে এক ধরনের হয়রানি। কারণ মাত্র দুই মাসও হলো না আমরা মনোনয়ন দাখিলের সময় আমাদের সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছি। সরকার চাইলে নির্বাচন কমিশন থেকেই সম্পদের হিসাব নিতে পারে।'
নবনির্বাচিত মেয়রদের কাছে সম্পদের হিসাব চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শওকত হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর বিধান অনুযায়ী নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানের আগে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। তাঁরা ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সম্পর্কিত হলফনামা দাখিল করবেন। তিনি জানান, কেউ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে না পারলে শপথ নিতে পারবেন না।
No comments