হেফাজতের সমাবেশে হতাহত বিতর্ক অধিকারের কাছে নাম-ঠিকানা চেয়েছে সরকার
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের
সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন
অধিকার তথ্য দিয়েছিল। সরকার ওই সব ব্যক্তির মা-বাবার নাম-ঠিকানাসহ
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চেয়েছে অধিকারের কাছে।
পৃথক চিঠিতে টিআইবির কাছে টিআইয়ের দেওয়া দুর্নীতি বিষয়ক জরিপ প্রতিবেদনও চেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
তথ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার অধিকারকে চিঠি দিয়ে এই প্রতিবেদন চেয়েছে। ফ্যাক্স, বিশেষ বাহক ও ডাকযোগে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর একান্ত সচিব (উপসচিব) শহীদুল হক ভূঁঞার সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে দেখা গেছে, আপনাদের সংগঠন গত ২০ জুন “হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন শীর্ষক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন” প্রকাশ করেছে। আপনাদের চলমান অনুসন্ধানের একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গত ৫ মে দিবাগত রাতে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত ৬১ জনের নাম সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ৫ মে সারা দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষে একজন পুলিশসহ মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন এবং রাতে শাপলা চত্বরের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার অভিযানে একজনও নিহত হননি। গত ৬ ও ৭ মে প্রকাশিত দৈনিক নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম, ইনকিলাবসহ অন্য জাতীয় দৈনিকের বিভিন্ন প্রতিবেদন তন্নতন্ন করে খুঁজেও ওই দিন ১৬ জনের বেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’
তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের চিঠিতে আরও বলেছে, ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ও ঘটনা জনগণের সামনে প্রকাশে সরকার আন্তরিক। এ জন্য প্রতিবেদনটি প্রয়োজন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে অধিকারের পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলান প্রথম আলোকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁরা চিঠিটি পেয়েছেন, তবে দেখেননি। আজ বৃহস্পতিবার সেটি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
টিআইয়ের প্রতিবেদন চেয়েছে: ৯ জুলাই প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনটি চেয়ে ট্রান্সিপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালকের কাছেও চিঠি দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজের জন্য এই প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার অধিকারকে চিঠি দিয়ে এই প্রতিবেদন চেয়েছে। ফ্যাক্স, বিশেষ বাহক ও ডাকযোগে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর একান্ত সচিব (উপসচিব) শহীদুল হক ভূঁঞার সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে দেখা গেছে, আপনাদের সংগঠন গত ২০ জুন “হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন শীর্ষক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন” প্রকাশ করেছে। আপনাদের চলমান অনুসন্ধানের একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গত ৫ মে দিবাগত রাতে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত ৬১ জনের নাম সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ৫ মে সারা দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষে একজন পুলিশসহ মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন এবং রাতে শাপলা চত্বরের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার অভিযানে একজনও নিহত হননি। গত ৬ ও ৭ মে প্রকাশিত দৈনিক নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম, ইনকিলাবসহ অন্য জাতীয় দৈনিকের বিভিন্ন প্রতিবেদন তন্নতন্ন করে খুঁজেও ওই দিন ১৬ জনের বেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’
তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের চিঠিতে আরও বলেছে, ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ও ঘটনা জনগণের সামনে প্রকাশে সরকার আন্তরিক। এ জন্য প্রতিবেদনটি প্রয়োজন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে অধিকারের পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলান প্রথম আলোকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁরা চিঠিটি পেয়েছেন, তবে দেখেননি। আজ বৃহস্পতিবার সেটি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
টিআইয়ের প্রতিবেদন চেয়েছে: ৯ জুলাই প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনটি চেয়ে ট্রান্সিপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালকের কাছেও চিঠি দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজের জন্য এই প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
No comments