পুলিশ-বিসিএস শিক্ষার্থী সংঘর্ষে শাহবাগ রণক্ষেত্র by আদনান রহমান ও নুরুল আমিন
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত বিসিএস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া,
পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপের ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর শাহবাগ চত্বর।
এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন কয়েকজন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাংচুর করেছেন এটিএন বাংলার গাড়ি।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে শাহবাগের ‘মেধা চত্বরে’ আসতে চাইলে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ মুহূর্তে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশ বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে।
টিয়ারসেল ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে মেধা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে পুলিশ। লাঠিচার্জের মুখে শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্নভাবে দৌঁড়ে পালালেও তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ছেন। পুলিশ আর শিক্ষার্থীরা এখন মুখোমুখি অবস্থান করছে।
শিক্ষার্থীদের একাংশ ধাওয়া খেয়ে চারুকলা ও ছবির হাটের সামনে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল হয়ে এলাকাটি। অন্যদিকে পুলিশ পাবলিক লাইব্রেরির গেট আটকে রাখায় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন আরও বেশ কিছু শিক্ষার্থী। তারাও ভেতর থেকে আন্দোলনের সপক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এটিএন বাংলার গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন কামাল হোসেন এবং ড্রাইভার মোঃ নয়ন খান গুরুতর আহত হন। তাদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে শাহবাগ থানা ও ছবির হাটের সামনে থেকে শাহবাগ চত্বরে যাওয়ার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রেখেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। শাহবাগে ঢোকার অন্য ৩টি পয়েন্ট বারডেম হাসপাতাল, রমনামুখী সড়ক ও শাহবাগ-কাটাবন সড়কও কর্ডন করে কাউকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও সদ্য প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএস’র ফল বাতিলের পূর্বঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ জড়ো হওয়ার কথা ছিল। ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা পাবলিক লাইব্রেরির সামনে শাহবাগের মেধা চত্বরে জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল ছুঁড়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সরকার দিনের পর দিন গণজাগরণ চত্বরে আন্দোলন করতে দিলেও আমাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে বাধা প্রয়োগ করছে। তারা বলেন, ইতিমধ্যেই আন্দোলনের বিষয়টি টুইটার ও ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।
অন্যদিকে শাহবাগ থানা পুলিশ বলছে, রাস্তা অবরোধ করে কোনো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না।
চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও সদ্য প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএস’র ফল বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে বঞ্চিত বিসিএস পরীক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েক শ’ বিসিএস পরীক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। পরে আরও অনেক শিক্ষার্থী এসে অবরোধে যোগ দেন।
এদিকে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ৩৪তম বিসিএস (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেয় পিএসসি। কিন্তু আন্দোলনকারীরা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দাবি করেছেন, যতোক্ষণ না পর্যন্ত বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, সাধারণ ক্যাডারের ৪৪২টি পদসহ মোট দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএস’র বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন প্রার্থী এ পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। গত ২৪ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন। গত সোমবার এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণ হন মোট ১২ হাজার ৩৩ জন।
এতো দিন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো। কিন্তু ৩৪তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারি পর্যায় থেকেই কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে মেধাবীদের একটা বড় অংশ শুরুতেই সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন কয়েকজন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাংচুর করেছেন এটিএন বাংলার গাড়ি।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে শাহবাগের ‘মেধা চত্বরে’ আসতে চাইলে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ মুহূর্তে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশ বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে।
টিয়ারসেল ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে মেধা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে পুলিশ। লাঠিচার্জের মুখে শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্নভাবে দৌঁড়ে পালালেও তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ছেন। পুলিশ আর শিক্ষার্থীরা এখন মুখোমুখি অবস্থান করছে।
শিক্ষার্থীদের একাংশ ধাওয়া খেয়ে চারুকলা ও ছবির হাটের সামনে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল হয়ে এলাকাটি। অন্যদিকে পুলিশ পাবলিক লাইব্রেরির গেট আটকে রাখায় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন আরও বেশ কিছু শিক্ষার্থী। তারাও ভেতর থেকে আন্দোলনের সপক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এটিএন বাংলার গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন কামাল হোসেন এবং ড্রাইভার মোঃ নয়ন খান গুরুতর আহত হন। তাদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে শাহবাগ থানা ও ছবির হাটের সামনে থেকে শাহবাগ চত্বরে যাওয়ার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রেখেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। শাহবাগে ঢোকার অন্য ৩টি পয়েন্ট বারডেম হাসপাতাল, রমনামুখী সড়ক ও শাহবাগ-কাটাবন সড়কও কর্ডন করে কাউকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও সদ্য প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএস’র ফল বাতিলের পূর্বঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ জড়ো হওয়ার কথা ছিল। ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা পাবলিক লাইব্রেরির সামনে শাহবাগের মেধা চত্বরে জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল ছুঁড়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সরকার দিনের পর দিন গণজাগরণ চত্বরে আন্দোলন করতে দিলেও আমাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে বাধা প্রয়োগ করছে। তারা বলেন, ইতিমধ্যেই আন্দোলনের বিষয়টি টুইটার ও ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।
অন্যদিকে শাহবাগ থানা পুলিশ বলছে, রাস্তা অবরোধ করে কোনো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না।
চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও সদ্য প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএস’র ফল বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে বঞ্চিত বিসিএস পরীক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েক শ’ বিসিএস পরীক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। পরে আরও অনেক শিক্ষার্থী এসে অবরোধে যোগ দেন।
এদিকে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ৩৪তম বিসিএস (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেয় পিএসসি। কিন্তু আন্দোলনকারীরা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দাবি করেছেন, যতোক্ষণ না পর্যন্ত বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, সাধারণ ক্যাডারের ৪৪২টি পদসহ মোট দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগ দিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএস’র বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন প্রার্থী এ পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। গত ২৪ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেন। গত সোমবার এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণ হন মোট ১২ হাজার ৩৩ জন।
এতো দিন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো। কিন্তু ৩৪তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারি পর্যায় থেকেই কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে মেধাবীদের একটা বড় অংশ শুরুতেই সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
No comments