লিমনের মামলা প্রত্যাহার-এখনো চিঠি যায়নি
র্যাবের গুলিতে পঙ্গু ঝালকাঠির কলেজছাত্র
লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা গতকাল বুধবার পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলা
প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়নি।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যত দ্রুত
সম্ভব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনাসংবলিত চিঠিটি ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের
কাছে পাঠানোর তৎপরতা চলছে। এ চিঠি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক লিমনের বিরুদ্ধে
মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার উদ্যোগ
নেবেন।
এদিকে গতকালও লিমন তাঁকে যারা পঙ্গু করেছে তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'আমার দায়ের করা মামলা আমি প্রত্যাহার করব না। তবে সরকার আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার করায় আমি কৃতজ্ঞ।'
লিমন আরো বলেন, 'আমার ওপর কয়েকজন র্যাব সদস্যের নিষ্ঠুরতার জন্য পুরো র্যাবকে দোষারোপ করছি না। আমি চাই যারা আমাকে চিরতরে পঙ্গু করে দিয়েছে, শুধু তাদেরই বিচার হোক। এ বিচার হলে দেশে সত্যিকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।'
সাতুরিয়ায় স্বস্তি : এদিকে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তাঁর গ্রাম ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়ার বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তে লিমনের আইনজীবীরাও খুশি। আনন্দের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে অনেকের। তারা দোষী র্যাব সদস্যদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি তুলেছে।
লিমনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাঁর মা হেনোয়ারা বেগম যে মামলাটি দায়ের করছেন, সেটি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। এদিকে লিমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত কোনো চিঠি গতকাল বুধবার পর্যন্ত ঝালকাঠিতে এসে পৌঁছায়নি বলে জেলা প্রশাসক শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান লিমনকে ফোন করে দুটি মামলাই প্রত্যাহারে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরও সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। লিমন কানের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ঢাকার ধানমণ্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
লিমন কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'আমাকে যারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাব। বিনা অপরাধে আমাকে পঙ্গু করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা আমার স্বপ্ন নষ্ট করেছে। দোষী র্যাব সদস্যরা কখনোই শান্তি পাবে না। আমার পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সব শ্রেণীর মানুষ।' লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, 'আমাদের দাবি এখন লিমনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দোষী র্যাবের বিচার।'
সাতুরিয়া গ্রামে লিমনের প্রতিবেশী সিদ্দিক হাওলাদার বলেন, 'লিমনের ওপর র্যাবের নির্যাতন আমি নিজ চোখে দেখেছি। মনে করেছিলাম ও আর বেঁচে নেই। নিরপরাধ বিধায় আল্লাহ ওর প্রতি সদয় হয়েছেন। এ কারণেই সে বেঁচে যায়। র্যাব উল্টো তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে। কলেজ রেখেও লিমনকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে। র্যাবের সোর্স মানিক জমাদ্দার ও ইব্রাহিমের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে লিমনকে পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলা সদরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতে হয়েছে। সরকার তার মামলা দুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুনে খুব ভালো লাগল। আশা করি লিমন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।'
প্রতিবেশী মাহিনুর বেগম বলেন, লিমনকে হত্যা করতে চেয়েছিল র্যাব। সরকার শুধু লিমনের মামলা প্রত্যাহার করলেই সব শেষ হবে না; দোষী র্যাব সদস্যদের বিচার এবং র্যাবের সোর্স হিসেবে পরিচিত স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা শান্তি পাব।'
লিমনের সহপাঠী তরিকুল ইসলাম বলেন, 'একসাথে লেখাপড়া করেছি। লিমনকে কখনো খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হতে দেখিনি। এর পরও র্যাব ওকে মেরে ওর বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা করে। মামলা প্রত্যাহারের খবর শুনে আমরা লিমনকে ফোন করেছি।' তরিকুল বলেন, 'লিমনের একটি ভালো চাকরির জন্যও সরকারের কাছে দাবি করছি।'
সহপাঠী মো. মাসুদ বলেন, 'লিমন যেন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, সে ব্যাপারেও সরকারকে লক্ষ রাখতে হবে। তাকে অন্যায়ভাবে যারা মেরেছে, তাদের বিচার করতে হবে।'
কাঁঠালিয়া পিজিএস কারিগরি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, 'লিমন ভালো ছেলে, অনেক আগে থেকেই আমি গণমাধ্যমকে বলেছি। তার ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলনও করেছি। অবশেষে সরকার সদয় হয়ে লিমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি। আরো খুশি হব লিমনের চাকরি নিশ্চিত হলে।'
লিমনের চাচা মোফাজ্জেল হোসেন আকন বলেন, 'লিমনকে র্যাবের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও তাদের হামলার শিকার হই। র্যাব আমাকে পিটিয়ে আহত করে। সেদিনের কথা মনে পড়লে কষ্ট হয়। শুনেছি সরকার লিমনের মামলা প্রত্যাহার করে নেবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। লিমনকে যারা নির্মমভাবে মেরেছে, যাদের কারণে আজ ও পঙ্গু, আমি তাদের বিচার চাই। সরকার তাদের এমন বিচার করুক যাতে ভবিষ্যতে র্যাব অন্যায়ভাবে কাউকে নির্যাতন করতে না পারে।'
লিমনের আইনজীবী মানিক আচার্য বলেন, 'সরকার লিমনের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ খবরে আমরা কিছুটা আনন্দিত। আমরা পুরোপুরি খুশি হব সেদিন, যেদিন লিমনকে যারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।' তিনি বলেন, 'র্যাবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করবেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম। আগামী ১৩ আগস্ট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সেই মামলার রিভিশনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। র্যাবের দায়ের করা মামলা থেকে লিমনের নাম প্রত্যাহার হলেও সন্ত্রাসী মোর্শেদ জমাদ্দারসহ অন্য সাতজনের নামে মামলা যথারীতি চলবে।'
এদিকে গতকালও লিমন তাঁকে যারা পঙ্গু করেছে তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'আমার দায়ের করা মামলা আমি প্রত্যাহার করব না। তবে সরকার আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার করায় আমি কৃতজ্ঞ।'
লিমন আরো বলেন, 'আমার ওপর কয়েকজন র্যাব সদস্যের নিষ্ঠুরতার জন্য পুরো র্যাবকে দোষারোপ করছি না। আমি চাই যারা আমাকে চিরতরে পঙ্গু করে দিয়েছে, শুধু তাদেরই বিচার হোক। এ বিচার হলে দেশে সত্যিকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।'
সাতুরিয়ায় স্বস্তি : এদিকে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তাঁর গ্রাম ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়ার বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তে লিমনের আইনজীবীরাও খুশি। আনন্দের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে অনেকের। তারা দোষী র্যাব সদস্যদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি তুলেছে।
লিমনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাঁর মা হেনোয়ারা বেগম যে মামলাটি দায়ের করছেন, সেটি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। এদিকে লিমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত কোনো চিঠি গতকাল বুধবার পর্যন্ত ঝালকাঠিতে এসে পৌঁছায়নি বলে জেলা প্রশাসক শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান লিমনকে ফোন করে দুটি মামলাই প্রত্যাহারে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরও সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। লিমন কানের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ঢাকার ধানমণ্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
লিমন কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'আমাকে যারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাব। বিনা অপরাধে আমাকে পঙ্গু করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা আমার স্বপ্ন নষ্ট করেছে। দোষী র্যাব সদস্যরা কখনোই শান্তি পাবে না। আমার পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সব শ্রেণীর মানুষ।' লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, 'আমাদের দাবি এখন লিমনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দোষী র্যাবের বিচার।'
সাতুরিয়া গ্রামে লিমনের প্রতিবেশী সিদ্দিক হাওলাদার বলেন, 'লিমনের ওপর র্যাবের নির্যাতন আমি নিজ চোখে দেখেছি। মনে করেছিলাম ও আর বেঁচে নেই। নিরপরাধ বিধায় আল্লাহ ওর প্রতি সদয় হয়েছেন। এ কারণেই সে বেঁচে যায়। র্যাব উল্টো তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে। কলেজ রেখেও লিমনকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে। র্যাবের সোর্স মানিক জমাদ্দার ও ইব্রাহিমের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে লিমনকে পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলা সদরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতে হয়েছে। সরকার তার মামলা দুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুনে খুব ভালো লাগল। আশা করি লিমন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।'
প্রতিবেশী মাহিনুর বেগম বলেন, লিমনকে হত্যা করতে চেয়েছিল র্যাব। সরকার শুধু লিমনের মামলা প্রত্যাহার করলেই সব শেষ হবে না; দোষী র্যাব সদস্যদের বিচার এবং র্যাবের সোর্স হিসেবে পরিচিত স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা শান্তি পাব।'
লিমনের সহপাঠী তরিকুল ইসলাম বলেন, 'একসাথে লেখাপড়া করেছি। লিমনকে কখনো খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হতে দেখিনি। এর পরও র্যাব ওকে মেরে ওর বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা করে। মামলা প্রত্যাহারের খবর শুনে আমরা লিমনকে ফোন করেছি।' তরিকুল বলেন, 'লিমনের একটি ভালো চাকরির জন্যও সরকারের কাছে দাবি করছি।'
সহপাঠী মো. মাসুদ বলেন, 'লিমন যেন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, সে ব্যাপারেও সরকারকে লক্ষ রাখতে হবে। তাকে অন্যায়ভাবে যারা মেরেছে, তাদের বিচার করতে হবে।'
কাঁঠালিয়া পিজিএস কারিগরি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, 'লিমন ভালো ছেলে, অনেক আগে থেকেই আমি গণমাধ্যমকে বলেছি। তার ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলনও করেছি। অবশেষে সরকার সদয় হয়ে লিমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি। আরো খুশি হব লিমনের চাকরি নিশ্চিত হলে।'
লিমনের চাচা মোফাজ্জেল হোসেন আকন বলেন, 'লিমনকে র্যাবের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও তাদের হামলার শিকার হই। র্যাব আমাকে পিটিয়ে আহত করে। সেদিনের কথা মনে পড়লে কষ্ট হয়। শুনেছি সরকার লিমনের মামলা প্রত্যাহার করে নেবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। লিমনকে যারা নির্মমভাবে মেরেছে, যাদের কারণে আজ ও পঙ্গু, আমি তাদের বিচার চাই। সরকার তাদের এমন বিচার করুক যাতে ভবিষ্যতে র্যাব অন্যায়ভাবে কাউকে নির্যাতন করতে না পারে।'
লিমনের আইনজীবী মানিক আচার্য বলেন, 'সরকার লিমনের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ খবরে আমরা কিছুটা আনন্দিত। আমরা পুরোপুরি খুশি হব সেদিন, যেদিন লিমনকে যারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।' তিনি বলেন, 'র্যাবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করবেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম। আগামী ১৩ আগস্ট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সেই মামলার রিভিশনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। র্যাবের দায়ের করা মামলা থেকে লিমনের নাম প্রত্যাহার হলেও সন্ত্রাসী মোর্শেদ জমাদ্দারসহ অন্য সাতজনের নামে মামলা যথারীতি চলবে।'
No comments