অনলাইন থেকে-ভুল তথ্য মিসরে গৃহযুদ্ধ ঘটাতে পারে
জুলাই মাসের চার তারিখে রাষ্ট্রীয় বার্তা
সংস্থা এমইএনএসহ অনেক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা সংবাদ দিয়েছে যে মুসলিম
ব্রাদারহুডের অন্যতম নেতা মুহাম্মাদ বেদায়ি ও তাঁর সহযোগী খায়রাত এল শাতের
গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আমরা সেই সংবাদ প্রকাশ করেছি।
৫ জুলাই বেদায়ি আল-আদাওয়ায় হাজার সমর্থকের সামনে ভাষণ দিলেন আমরা দেখতে পেলাম। ৬ জুলাই বিকেলে এমইএনএ বলেছে, এল বেরাদি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁর দল এই সংবাদ নিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্র পরিচালিত আল আহরাম অনলাইন সংস্করণে সংবাদটি প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, আজ রাত ৮টায় তিনি শপথ নিতে যাচ্ছেন। কয়েকজন সম্ভাব্য মন্ত্রীর নামও প্রকাশ হয়েছে সেখানে। আমরাও সেই সংবাদটি ছেপে দিলাম। ৬ জুলাই শনিবার রাতে আমরা যখন পত্রিকা প্রকাশের জন্য প্রেসে পাঠিয়ে দিয়েছি, তখন প্রেসিডেন্টের নতুন তথ্য উপদেষ্টা আহমেদ এল মুসলিমানি ঘোষণা করলেন, তথ্যগুলো সঠিক নয়। এল বেরাদি নতুন প্রধানমন্ত্রী নন।
জনগণ অবাক হয়ে যায়। এগুলো কি মিসরের জনগণের প্রতিক্রিয়া জানার কোনো কৌশল?
প্রতিবারই আমরা অনলাইনের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত সংবাদগুলোর সত্যতা জানার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করি। সেগুলো যাচাই করার চেষ্টা করি। যদি আমরা সত্যতা যাচাই করতে না পারি, তারপর সেগুলো আর প্রকাশ করি না। ইসলামিস্টরা এ ধরনের সংবাদ প্রকাশে বেশি আগ্রহী। তারা যে এ কাজে কতটা দক্ষ, তাও বোঝা যায়। গত এক সপ্তাহের সংবাদগুলো বিশ্লেষণ করলে তাই মনে হয়। তারা কি আবারও এ ধরনের কাজে লিপ্ত হবে? তারা কি আসলে জনগণের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এ পথ বেছে নিয়েছে; নাকি সংবাদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা দেউলিয়া হয়ে গেছি? মন্ত্রিপরিষদের মুখপাত্র পদত্যাগ করেছেন। আসলে এ মুহূর্তে কোনো মন্ত্রণালয়েরই আর কোনো মুখপাত্র নেই। এখন শুধু সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আছেন। যিনি এ মুহূর্তে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। সাংবাদিকরা কোনো সংবাদ সম্পর্কে যে নিশ্চিত হবেন, এমন কোনো মাধ্যমও নেই। আর সেই সুযোগে পাঠকরা সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করছে অলীক সংবাদ প্রচারের জন্য।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এ পরিস্থিতিতে কিভাবে কাজ করব? দেশে কী ঘটছে তা সাধারণ মানুষইবা জানবে কিভাবে?
নতুন প্রশাসনকে প্রচারমাধ্যমের স্বচ্ছতা, গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে হবে। প্রচারমাধ্যমকে জনগণের প্রতিক্রিয়া বোঝার উপায় হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। পত্রিকায় প্রকাশিত একটি লাইন দিয়েও গৃহযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। প্রশাসনকে অন্তত এমন কাজ হতে দেওয়ার পথ করে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমকে অবশ্যই নিশ্চিত না হয়ে কোনো তথ্য পরিবেশন করা উচিত হবে না। এ পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগীয় মন্ত্রণালয়, সরকারি প্রধান কেঁৗসুলির সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু হায়! সে জায়গাগুলোতে মুখপত্র নেই। আমরা কার কাছ থেকে সঠিক তথ্য জানতে পারব!
লেখক : রানা আলম
মিসরের পত্রিকায় ডেইলি নিউজ থেকে ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন
৫ জুলাই বেদায়ি আল-আদাওয়ায় হাজার সমর্থকের সামনে ভাষণ দিলেন আমরা দেখতে পেলাম। ৬ জুলাই বিকেলে এমইএনএ বলেছে, এল বেরাদি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁর দল এই সংবাদ নিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্র পরিচালিত আল আহরাম অনলাইন সংস্করণে সংবাদটি প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, আজ রাত ৮টায় তিনি শপথ নিতে যাচ্ছেন। কয়েকজন সম্ভাব্য মন্ত্রীর নামও প্রকাশ হয়েছে সেখানে। আমরাও সেই সংবাদটি ছেপে দিলাম। ৬ জুলাই শনিবার রাতে আমরা যখন পত্রিকা প্রকাশের জন্য প্রেসে পাঠিয়ে দিয়েছি, তখন প্রেসিডেন্টের নতুন তথ্য উপদেষ্টা আহমেদ এল মুসলিমানি ঘোষণা করলেন, তথ্যগুলো সঠিক নয়। এল বেরাদি নতুন প্রধানমন্ত্রী নন।
জনগণ অবাক হয়ে যায়। এগুলো কি মিসরের জনগণের প্রতিক্রিয়া জানার কোনো কৌশল?
প্রতিবারই আমরা অনলাইনের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত সংবাদগুলোর সত্যতা জানার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করি। সেগুলো যাচাই করার চেষ্টা করি। যদি আমরা সত্যতা যাচাই করতে না পারি, তারপর সেগুলো আর প্রকাশ করি না। ইসলামিস্টরা এ ধরনের সংবাদ প্রকাশে বেশি আগ্রহী। তারা যে এ কাজে কতটা দক্ষ, তাও বোঝা যায়। গত এক সপ্তাহের সংবাদগুলো বিশ্লেষণ করলে তাই মনে হয়। তারা কি আবারও এ ধরনের কাজে লিপ্ত হবে? তারা কি আসলে জনগণের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এ পথ বেছে নিয়েছে; নাকি সংবাদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা দেউলিয়া হয়ে গেছি? মন্ত্রিপরিষদের মুখপাত্র পদত্যাগ করেছেন। আসলে এ মুহূর্তে কোনো মন্ত্রণালয়েরই আর কোনো মুখপাত্র নেই। এখন শুধু সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আছেন। যিনি এ মুহূর্তে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। সাংবাদিকরা কোনো সংবাদ সম্পর্কে যে নিশ্চিত হবেন, এমন কোনো মাধ্যমও নেই। আর সেই সুযোগে পাঠকরা সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করছে অলীক সংবাদ প্রচারের জন্য।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এ পরিস্থিতিতে কিভাবে কাজ করব? দেশে কী ঘটছে তা সাধারণ মানুষইবা জানবে কিভাবে?
নতুন প্রশাসনকে প্রচারমাধ্যমের স্বচ্ছতা, গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে হবে। প্রচারমাধ্যমকে জনগণের প্রতিক্রিয়া বোঝার উপায় হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। পত্রিকায় প্রকাশিত একটি লাইন দিয়েও গৃহযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। প্রশাসনকে অন্তত এমন কাজ হতে দেওয়ার পথ করে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমকে অবশ্যই নিশ্চিত না হয়ে কোনো তথ্য পরিবেশন করা উচিত হবে না। এ পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগীয় মন্ত্রণালয়, সরকারি প্রধান কেঁৗসুলির সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু হায়! সে জায়গাগুলোতে মুখপত্র নেই। আমরা কার কাছ থেকে সঠিক তথ্য জানতে পারব!
লেখক : রানা আলম
মিসরের পত্রিকায় ডেইলি নিউজ থেকে ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন
No comments