জেদ্দায় মারধরের ঘটনা-সম্মান রক্ষায় সরব হচ্ছেন পররাষ্ট্র ক্যাডার সদস্যরা
সৌদি আরবের জেদ্দায় পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের একজন সহকারী সচিবকে মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিসিএস পররাষ্ট্র
ক্যাডারের সদস্যরা সম্মান রক্ষায় সরব হচ্ছেন। জেদ্দায় মারধরকারী বাংলাদেশ
কনস্যুলেটের প্রথম
সচিব (একটি গোয়েন্দা সংস্থার
কর্মকর্তা) ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না
নেওয়ায় পররাষ্ট্র ক্যাডারের সদস্যদের মধ্যে গভীর হতাশা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব সেখানে দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সহকারী সচিবকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি লাথি, নাকে-মুখে কিল-ঘুষি মারেন বলে জানা গেছে। সে দিন কনস্যুলেটে সেবা নিতে আসা ৬০ বছরের এক বৃদ্ধও প্রথম সচিবের মারধরের শিকার হন। এতে সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশিরা ক্ষুব্ধ হন। কনস্যুলেটের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সুষ্ঠু কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে জেদ্দা থেকে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেদ্দার ওই অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) ১৯৮৫-এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে। এ ছাড়া মারধরের শিকার হওয়া ব্যক্তি বা মন্ত্রণালয়ও দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারে।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব সি এম শফি সামী গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ ধরনের ঘটনায় কেবল প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছেই নয়, যে দেশে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তিনি বলেন, দ্রুত তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। দোষী ব্যক্তিকে দায়মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, জেদ্দার ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। শুধু মারধর নয়, কনস্যুলার সেবা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘুষ-বাণিজ্যেরও অভিযোগ উঠেছে। ভাবমূর্তি রক্ষায় এসবের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর বিভিন্ন পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। পররাষ্ট্র ক্যাডারের সদস্যদের অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী পদায়ন হয় না।
সি এম শফি সামী আরো বলেন, কূটনীতি একটি পেশাদারি বিষয়। এ ক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্তে পেশাদারিত্বের প্রমাণ দিতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রেষণে বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়াদের কনস্যুলার সেবা বেশি দিতে হয়- এমন মিশনগুলোতে পদায়নের ব্যাপারেই আগ্রহ থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা আর্থিক অনিয়ম ও সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন, যার দায় বর্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর। তাই পররাষ্ট্র ক্যাডারের সম্মান রক্ষার্থে এখনই উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব সেখানে দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সহকারী সচিবকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি লাথি, নাকে-মুখে কিল-ঘুষি মারেন বলে জানা গেছে। সে দিন কনস্যুলেটে সেবা নিতে আসা ৬০ বছরের এক বৃদ্ধও প্রথম সচিবের মারধরের শিকার হন। এতে সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশিরা ক্ষুব্ধ হন। কনস্যুলেটের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সুষ্ঠু কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে জেদ্দা থেকে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেদ্দার ওই অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) ১৯৮৫-এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে। এ ছাড়া মারধরের শিকার হওয়া ব্যক্তি বা মন্ত্রণালয়ও দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারে।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব সি এম শফি সামী গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ ধরনের ঘটনায় কেবল প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছেই নয়, যে দেশে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তিনি বলেন, দ্রুত তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। দোষী ব্যক্তিকে দায়মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, জেদ্দার ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। শুধু মারধর নয়, কনস্যুলার সেবা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘুষ-বাণিজ্যেরও অভিযোগ উঠেছে। ভাবমূর্তি রক্ষায় এসবের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর বিভিন্ন পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। পররাষ্ট্র ক্যাডারের সদস্যদের অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী পদায়ন হয় না।
সি এম শফি সামী আরো বলেন, কূটনীতি একটি পেশাদারি বিষয়। এ ক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্তে পেশাদারিত্বের প্রমাণ দিতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রেষণে বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়াদের কনস্যুলার সেবা বেশি দিতে হয়- এমন মিশনগুলোতে পদায়নের ব্যাপারেই আগ্রহ থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা আর্থিক অনিয়ম ও সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন, যার দায় বর্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর। তাই পররাষ্ট্র ক্যাডারের সম্মান রক্ষার্থে এখনই উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
No comments