সুপ্রিম কোর্টের দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার ঝড়
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দুটি সিদ্ধান্ত ও
একটি সুপারিশ দেশের প্রশাসন ও রাজনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে মনে
করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, এ নিয়ে শুরু হতে চলেছে বিচার বিভাগীয় অধিকার বা
এখতিয়ার নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্ক।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর রায়
দিয়েছেন বিচারপতি অশোককুমার পট্টনায়ক ও বিচারপতি সুধাংশু জ্যোতি
মুখোপাধ্যায়। আট বছরের পুরোনো একটি রিট আবেদনের রায় দিয়ে তাঁরা বলেছেন,
ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৪) ধারায় অভিযুক্ত যে কেউ দুই বছরের সাজা
পাবেন, তাঁরা লোকসভা বা বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না।
রায়ে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার থেকেই এই রায় কার্যকর হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে
দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত অথচ উচ্চতর আদালতে আপিল করেছেন, তাঁরা অবশ্যই এই
রায়ের আওতায় পড়বেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে দুই বছরের সাজা পেলে তাঁদের
নির্বাচিত পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের আইনসভা
যথেষ্টই দুষ্কৃতকারীমুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে লোকসভার
১৬২ জন সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সারা দেশে বিধায়ক ও সাংসদ
মিলিয়ে এই সংখ্যা এক হাজার ৪৪৮ জন।
দুই প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও বিজেপি আপাতত এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। যদিও কোনো কোনো মহল থেকে মনে করা হচ্ছে, নতুন রাজনীতিকেরা রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হতে পারেন। আইনমন্ত্রী কপিল সিবাল বলেছেন, আইন না দেখে মন্তব্য করবেন না।
দ্বিতীয় সুপারিশটি করেছেন বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও দীপক মিশ্র। সিঙ্গুর মামলায় মূল বিচার্য বিষয়ের মধ্যে না গিয়ে তাঁরা টাটার আইনজীবীকে বলেন, যে উদ্দেশ্যে সিঙ্গুরে জমি নেওয়া হয়েছিল, তা যখন বাস্তবায়িত হলো না, তখন জমি কেন ফেরত দিচ্ছেন না? টাটার আইনজীবীকে বিচারপতিরা বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা করে এই বিষয়ে তাঁরা যেন তাঁদের অভিমত সুপ্রিম কোর্টকে জানান। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই অভিমত রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে যথেষ্ট স্বস্তির।
তৃতীয় অভিমতটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরোর (সিবিআই) স্বশাসনের প্রসঙ্গে। কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলায় সিবিআইকে স্বশাসন দিতে ব্যগ্র সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বলেছেন, সিবিআইকে স্বশাসন কতটা দিতে হবে এবং কেমন, তা নির্ধারিত করতে আইন বদলাতে হবে। আইনসভাই তা ঠিক করবে। কিন্তু কোনোভাবেই সিবিআইকে সরকারের আওতায় রাখা চলবে না। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর কবে হবে বা আদৌ হওয়া সম্ভব কি না, সেই বিতর্ক থাকছেই। কিন্তু এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে এই তিন রায় ও অভিমত দেশের রাজনীতি ও প্রশাসনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে।
দুই প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও বিজেপি আপাতত এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। যদিও কোনো কোনো মহল থেকে মনে করা হচ্ছে, নতুন রাজনীতিকেরা রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হতে পারেন। আইনমন্ত্রী কপিল সিবাল বলেছেন, আইন না দেখে মন্তব্য করবেন না।
দ্বিতীয় সুপারিশটি করেছেন বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও দীপক মিশ্র। সিঙ্গুর মামলায় মূল বিচার্য বিষয়ের মধ্যে না গিয়ে তাঁরা টাটার আইনজীবীকে বলেন, যে উদ্দেশ্যে সিঙ্গুরে জমি নেওয়া হয়েছিল, তা যখন বাস্তবায়িত হলো না, তখন জমি কেন ফেরত দিচ্ছেন না? টাটার আইনজীবীকে বিচারপতিরা বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা করে এই বিষয়ে তাঁরা যেন তাঁদের অভিমত সুপ্রিম কোর্টকে জানান। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই অভিমত রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে যথেষ্ট স্বস্তির।
তৃতীয় অভিমতটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরোর (সিবিআই) স্বশাসনের প্রসঙ্গে। কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলায় সিবিআইকে স্বশাসন দিতে ব্যগ্র সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বলেছেন, সিবিআইকে স্বশাসন কতটা দিতে হবে এবং কেমন, তা নির্ধারিত করতে আইন বদলাতে হবে। আইনসভাই তা ঠিক করবে। কিন্তু কোনোভাবেই সিবিআইকে সরকারের আওতায় রাখা চলবে না। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর কবে হবে বা আদৌ হওয়া সম্ভব কি না, সেই বিতর্ক থাকছেই। কিন্তু এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে এই তিন রায় ও অভিমত দেশের রাজনীতি ও প্রশাসনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে।
No comments