নামমাত্র কাজ by তন্ময় হক
নামমাত্র কাজের উদাহরণ দিতে গিয়ে একটি
গল্প বলা যায়। এক ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করার।
বাজেট কয়েক কোটি টাকা। স্থানীয় লোকেরা ভেবেছে, এবার তবে বেশ ভালো ব্রিজ
হবে।
কিন্তু দেখা গেল, নানা পর্যায়ে ভাগ-বাটোয়ারার পর
ব্রিজের কাজে খরচ হয় কয়েক লাখ টাকা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রিজের ভগ্নদশা
পরিলক্ষিত হয়। এই গল্পই হয়তো বারবার নানাভাবে আমাদের সমাজে উঠে আসে।
নামমাত্র কাজ দেখিয়ে পুরো অর্থ হাসিল করার ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকে। এ নিয়ে
পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের কমতি নেই। কিন্তু যারা নামমাত্র কাজ
দেখিয়ে পুরো অর্থ উঠিয়ে নিতে পারেন তাদের খুঁটির জোর নিয়ে নিশ্চয়ই কারও মনে
সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। কাজের মানের চেয়ে তাই খুঁটির জোরই শক্তিশালী
অবস্থানে থাকে। ভাবটা এমন থাকে যেন, এইটুকু কাজ দিচ্ছি, তাই তো বেশি!।
'নামমাত্র কাজ করে ১৪ কোটি টাকা লোপাট' শিরোনামে সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে সমকালে। সেখান থেকে জানা গেছে, বরগুনার পাথরঘাটায় উপকূলের বেড়িবাঁধ মেরামত কাজে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, নামমাত্র কাজ করে এ প্রকল্প থেকে ১৪ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট যোগসাজশ করে প্রকল্পের বিল উঠিয়ে নেয়। বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয় তার সঠিক ব্যবহারই কাম্য। কিন্তু প্রভাবশালী গোষ্ঠী খুঁটির জোরে নামমাত্র কাজ করে যখন প্রকল্পের পুরো টাকা উঠিয়ে নেয়, তখন সেই কাজের মান সন্তোষজনক থাকে না। বছর না ঘুরতেই সেই কাজ পুনরায় করার জন্য বাজেট বরাদ্দ করতে হয়। এভাবেই দেশের অর্থ নষ্ট হয় 'নামমাত্র কাজের' বেড়াজালে।
রাস্তা মেরাজতের কাজে 'নামমাত্র কাজের' প্রতিযোগিতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই রাস্তা সংস্কারের তোড়জোড় দেখা যায়। এ ছাড়া ঈদের আগে রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। ঈদের সময় অনেকে গ্রামের বাড়ি ফিরে যায় বলেই রাস্তার প্রতি মনোযোগ থাকে বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই এই মেরামত কাজগুলো হয় স্বল্পমেয়াদি সমাধান মাথায় রেখে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রভাবশালীরা নামমাত্র কাজ দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেয়। কয়েক মাস গেলেই সেই রাস্তার অবস্থা হয় তথৈবচ।
বরগুনার পাথরঘাটায় যে ঘটনা ঘটেছে তা নতুন নয়। নামমাত্র কাজ দেখিয়ে এর আগেও বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় তা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে এবং দুর্নীতি করে টাকা উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিতও হয়েছিল। যদিও এর ফলোআপ জানা সম্ভব হয়নি। সত্য হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নামমাত্র কাজ করা লোকগুলো পার পেয়ে যান। এর ফলে নামমাত্র কাজ করার সংস্কৃতি প্রলম্বিত হচ্ছে।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রায়ই নানা ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় প্রশাসনের কিছু লোক এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাববলয়ে থাকা লোকদের যোগসাজশে এই ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। দেশের মানুষের জন্য সুবিধা তৈরি করে দেওয়াই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য থাকে। নামমাত্র কাজের সংস্কৃতি চলতে থাকলে সে উদ্দেশ্য সফল হবে না।
'নামমাত্র কাজ করে ১৪ কোটি টাকা লোপাট' শিরোনামে সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে সমকালে। সেখান থেকে জানা গেছে, বরগুনার পাথরঘাটায় উপকূলের বেড়িবাঁধ মেরামত কাজে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, নামমাত্র কাজ করে এ প্রকল্প থেকে ১৪ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট যোগসাজশ করে প্রকল্পের বিল উঠিয়ে নেয়। বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয় তার সঠিক ব্যবহারই কাম্য। কিন্তু প্রভাবশালী গোষ্ঠী খুঁটির জোরে নামমাত্র কাজ করে যখন প্রকল্পের পুরো টাকা উঠিয়ে নেয়, তখন সেই কাজের মান সন্তোষজনক থাকে না। বছর না ঘুরতেই সেই কাজ পুনরায় করার জন্য বাজেট বরাদ্দ করতে হয়। এভাবেই দেশের অর্থ নষ্ট হয় 'নামমাত্র কাজের' বেড়াজালে।
রাস্তা মেরাজতের কাজে 'নামমাত্র কাজের' প্রতিযোগিতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই রাস্তা সংস্কারের তোড়জোড় দেখা যায়। এ ছাড়া ঈদের আগে রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। ঈদের সময় অনেকে গ্রামের বাড়ি ফিরে যায় বলেই রাস্তার প্রতি মনোযোগ থাকে বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই এই মেরামত কাজগুলো হয় স্বল্পমেয়াদি সমাধান মাথায় রেখে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রভাবশালীরা নামমাত্র কাজ দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেয়। কয়েক মাস গেলেই সেই রাস্তার অবস্থা হয় তথৈবচ।
বরগুনার পাথরঘাটায় যে ঘটনা ঘটেছে তা নতুন নয়। নামমাত্র কাজ দেখিয়ে এর আগেও বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় তা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে এবং দুর্নীতি করে টাকা উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিতও হয়েছিল। যদিও এর ফলোআপ জানা সম্ভব হয়নি। সত্য হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নামমাত্র কাজ করা লোকগুলো পার পেয়ে যান। এর ফলে নামমাত্র কাজ করার সংস্কৃতি প্রলম্বিত হচ্ছে।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রায়ই নানা ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় প্রশাসনের কিছু লোক এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাববলয়ে থাকা লোকদের যোগসাজশে এই ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। দেশের মানুষের জন্য সুবিধা তৈরি করে দেওয়াই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য থাকে। নামমাত্র কাজের সংস্কৃতি চলতে থাকলে সে উদ্দেশ্য সফল হবে না।
No comments