‘সুর’ তোলার অপেক্ষায় কামরান ও আরিফ by ওয়েছ খছরু
কামরানের মুখে মুখে ‘প্রযুক্তিময়
সিলেট’-এর সুর। আর আরিফের পরিবর্তনের হাওয়া। সিলেটের ভোটের ময়দানে এই দুই
হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে বুলি
আওড়াচ্ছেন। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কামরান ও আরিফ তাদের পক্ষে সুর তুলতে
চাইছেন।
দুই প্রার্থীর মধ্যেই এখন একটাই চিন্তা। আর সেটি
হলো মাঠ দখলে রাখা। ভোটের মাঠ দখল রাখতে প্রতিদিনই দুই মেয়র প্রার্থী ও
তাদের সমর্থকরা চষে বেড়াচ্ছেন সিলেট নগর। চালাচ্ছেন প্রচারণা। কথার যুদ্ধে
একে অপরকে ঘায়েল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন দুই জন। শুক্রবার ভোটের ময়দানে
প্রচারণাকালে সিলেটের দুইবারের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান নতুন সুর
তুলেছেন। আর এই নতুন সুর হচ্ছে ‘প্রযুক্তিময় সিলেট’। সিলেটের বর্তমান তরুণ
প্রজন্মরা অনেক বেশি মেধাবী বলে মনে করেন তিনি। তারা এগিয়ে গেছে অনেক দূরে।
সিলেটের তরুণদের হাতের মুঠোয় এখন বিশ্ব। ঘরে ঘরে পৌঁছেছে প্রযুক্তির
ছোঁয়া। এরপর তিনি সিলেটকে বদলে দিতে ‘প্রযুক্তিময় সিলেট’ গড়তে চান। ১৪ দলীয়
জোটের সমর্থিত মেয়র প্রার্থী কামরান গতকাল জানিয়েছেন, সিলেট আগের চেয়ে
অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। এ কারণে আরও উন্নয়ন ঘটাতে হলে প্রযুক্তির দিকে জোর
দিতে হবে। ওদিকে, পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে মাঠে থাকা ১৪ দলীয় জোটের
প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, নগরবাসী পরিবর্তন চান। এ কারণে তিনিও
চান পরিবর্তন। মানুষ এখন নতুন নেতৃত্ব চায়। এ কারণে তার প্রতীক টেলিভিশনের
প্রতি মানুষের সমর্থন বেশি। তিনি বলেন, সিলেটের নির্বাচিত নারী কাউন্সিলরা
সুযোগ সুবিধা পান না। তিনি নির্বাচিত হলে নারী এবং নারী কাউন্সিলরদের
উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করবেন।
দুই শতাধিক নির্বাচনী কার্যালয়: সিলেট নগরী এখন পুরোপুরি নির্বাচনের নগরী। সবখানেই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। প্রার্থী ভোটার সব ধীরে ধীরে ভোট উৎসবে মেতে উঠেছে। এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সির ও নারী কাউন্সিলর মিলে প্রায় পৌনে দুই শতাধিক প্রার্থী। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তারা নির্বাচনী মাঠে পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে প্রার্থী নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রধান কার্যালয় খুলে বসেছেন। আর এসব কার্যালয়ে বসেই চালানো হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। সিলেটে ১৪ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সিলেট নগরীর তোপখানা কাজীর বাজার এলাকায় নির্বাচনের প্রধান কার্যালয় করেছেন। টিনশেডের ওই কার্যালয়ে প্রায় প্রতিদিন রাতে বসেন মেয়র কামরান। তিনি কার্যালয়ে বসে নির্বাচনের ছক সাজান। কামরানের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, মেয়র কামরান গত কয়েকটি নির্বাচনে ওই একই স্থানে নির্বাচনী কার্যালয় করছেন। এবার তার ভোটের প্রতীক আনারস। তার নির্বাচনী কার্যালয়ের প্রবেশ দ্বারে মাটি দিয়ে তৈরি একটি আনারস স্থাপন করা হয়েছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে, ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনী কার্যালয় গড়েছেন সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের শ্যামলী কমিউনিটি সেন্টারে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আরিফুল হক চৌধুরী ওই কার্যালয় ব্যবহার করবেন। প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে ওই কার্যালয় থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে আরিফুল হকের টেলিভিশন প্রতীকের প্রচারণা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই নির্বাচনেও থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের প্রধান কার্যালয়ে প্রতীক সাজিয়ে রেখেছেন। মাইকের পর মাইক: সিলেট নগরীতে এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে প্রার্থীদের পক্ষে মাইকিং। মেয়র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে রিকশা ও ইজিবাইক দিয়ে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রচারণার অংশ হিসেবে মাইকিং থাকায় নগরবাসীর ত্রাহী অবস্থা। প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ গাড়ি একযোগে প্রচারণা শুরু করায় প্রবল শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে সিলেট। তবে প্রার্থীরা জানান, নির্বাচন হবে প্রতীক দিয়ে। এ কারণে ভোটারের মধ্যে প্রতীক পরিচিতি ঘটাতে মাইকিং কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এ কারণে সিলেট নগরীতে তাদের মাইকিং বেশি। ওদিকে, নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা চলছে গানে গানে। যারা মাইকে প্রচারণা দিচ্ছে তারা মাঝে মধ্যে গান গেয়ে ভোটারের মন আকৃষ্ট করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। ব্যানার ফেস্টুনে সয়লাব নগর: চলছে বর্ষার মওসুম। এই সময়ে প্রচারণায় ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই প্রার্থীদের। এ কারণে কোন প্রার্থীই পলিথিন মোড়ানো ছাড়া পোস্টার টানাচ্ছেন না। দেওয়ালে পোস্টার সাঁটানোতে নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়ি থাকায় এবার পোস্টার দড়িতে বেঁধে গাছ কিংবা বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে দেয়া হচ্ছে। আর এ কারণেই সাদা-কালো পোস্টারে বর্ণিল হয়ে উঠেছে এবারের নির্বাচন। প্রতিটি পাড়া-মহল্লার গলি পথে টানানো পোস্টারে মনে হয় উৎসব চলছে নগরজুড়ে। সিলেটে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়রপ্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে বেশি পোস্টার লাগানো হচ্ছে। তবে প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পোস্টার সাঁটানো কড়াকড়ি থাকায় তারা বেশি টাকা খরচ করে পলিথিন মুড়িয়ে ব্যবহার করছেন। এতে করে নির্বাচনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
সিলেটে কাউন্সিলর প্রার্থীর বাসায় হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর: নির্বাচনী ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদুর রহমান সুজ্জাদের বাসায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে সুজ্জাদের সোনারপাড়াস্থ বাসায় এ হামলা হয়। রাত ১২টার দিকে নগরীর সোনারপাড়া গলির মুখে ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান সুজ্জাদের একটি ব্যানার টানায় কয়েকজন কর্মী। এ সময় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ব্যানারের সামনে সুজ্জাদের ব্যানার লাগানোর খবর পেয়ে উমেদ নামে এক যুবক ছুটে আসে। তিনি সুজ্জাদের ব্যানার খুলে নিতে তার কর্মীদের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে সুজ্জাদের কর্মীদের সঙ্গে উমেদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উমেদ তার সহযোগীদের নিয়ে সোনারপাড়াস্থ কাউন্সিলর প্রার্থী সুজ্জাদের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বাসায় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও তাতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পাঁচ বছরে নগরীতে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে- কামরান: আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল সমর্থিত নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আগামী ১৫ই জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করতে সিলেটবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, গত ৫ বছরে সিলেট নগরীতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। তার মধ্যে ছিল ২৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প। এই টাকা দিয়ে নগরীর সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ এবং ড্রেন কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। যার করপোরেশন এলাকার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আর নগরবাসীকে ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলতে হচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার সিলেট নগরীর শেখঘাট, পশ্চিম কাজীর বাজার ও চারাদিঘীরপাড় এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। ১৪ দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান শেখঘাট পৌঁছলে এলাকাবাসী তাকে স্বাগত জানান। মেয়র থাকাকালে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করায় এ সময় এলাকাবাসী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে ধন্যবাদ। এলাকাবাসী বিগত নির্বাচনের মতো এবারও আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করার আশ্বাস দেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে। বদরউদ্দিন আহমদ কামরান জুমার নামাজ আদায় করেন চারাদিঘীরপাড় জামে মসজিদে। নামাজ আদায়ের আগে তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি নামাজ আদায়ের পর তৎকালীন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান এডভোকেট আ ফ ম কামালের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং আ ফ ম কামালসহ উপস্থিত সবার কাছে আনারস মার্কায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের দোয়া চান। এ সময় আ ফ ম কামালও বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের জন্য দোয়া করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। এরপর বদরউদ্দিন আহমদ কামরান চারাদিঘীরপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ সিরাজ বকস, এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, মজির উদ্দিন, আজিজুল হক মঞ্জু, ফরহাদ খান, আনোয়ার হোসেন সুহেল, আবদুস সামাদ মান্না, সায়েম আহমদ, মুকিত আহমদ, রুকন উদ্দিন, দুলাল হোসেন, রাসেল আহমদ, জয়দ্বীপ, ইসমাইল হোসেন, গুলজার আহমদ, এএ মতিনসহ দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নীরব ভোট বিপ্লব করুন আদর্শ নগরী উপহার দেব- আরিফ: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত ও সম্মিলিত নাগরিক জোটের মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মহল বিশেষের এসব ষড়যন্ত্র ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করে আগামী নির্বাচনে নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এর জবাব দেয়ার জন্য তিনি নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওয়াদা করছি আপনারা আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের খাদেম হিসেবে একটি আদর্শ নগরী আপনাদের উপহার দেব।’
তিনি গতকাল শুক্রবার নগরের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘গত ২০ বছরে এই নগরী ৩০ বছর পিছিয়েছে। পৌরসভা থাকাকালে শহরবাসী যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেন এখন তা-ও পাচ্ছেন না। বিগত সময়কালে নগরবাসী যার হাতে নগরীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও প্রত্যাশা পূরণের সব দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি তা করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা ছাড়া নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করা এবং টেকসই উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখেননি। তাই এসব মূল্যায়ন করে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার এখন সময় এসেছে।’ আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমার সম্পর্কে, আমার উন্নয়ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে নগরীর মানুষ ভালভাবেই জানেন। অন্যরা কি করেছেন তাও নগরবাসী জানেন। তাই নগরবাসীর প্রতি রয়েছে আমার অবিচল আস্থা। ইতিমধ্যে আমার প্রতি জনসমর্থন দেখে একটি মহল যে অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তা সচেতন নগরবাসী বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী’। আরিফুল হক চৌধুরী অভিযোগ করেন একটি মহল তার বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। অনেক স্থানে তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া তার পোস্টারের অবিকল ছেপে বাসা-বাড়ির দেয়াল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেঁটে দেয়া হচ্ছে। একইভাবে একটি চক্র তার নামে বিভিন্ন স্থানে ভোট চাইতে গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। তিনি নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অপপ্রচার করে পরিবর্তন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা আটকানো যাবে না। এবার জনগণের বিজয় হবেই। আরিফুল হক চৌধুরী সকালে মিরাবাজার খাঁরপাড়ায় গণসংযোগ, সোবহানীঘাটস্থ সিলেট ট্রেড সেন্টার ও নওয়াব আলী মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গণসংযোগ ও ঘরোয়া বৈঠক করেন। এছাড়া তিনি চালিবন্দর শ্মশানঘাট এলাকা, হাউজিং এস্টেট, বিলপাড়, পীর মহল্লায় গণসংযোগ, কুমারপাড়ায় মণিপুরী সমপ্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আরিফুল হক খাঁরপাড়ায় পৌঁছলে এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি শামসুল হক, আনা মিয়া, আবদুল হক, আবদুর রহীমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় সিরাজ মিয়া, রাজা মিয়া, সফিক মিয়া, আবদুর রহমান, খায়রুল হক, মফিজুর রহমান, আবদুল ফাত্তাহ, অলি হোসেন, গুলজার হোসেন, আতাউর রহমানসহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী তাকে নির্বাচনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে তিনি সোবহানীঘাটস্থ সিলেটের প্রধান দুটি সবজিবাজার নওয়াব আলী মার্কেট ও সিলেট ট্রেড সেন্টারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছাদ মিয়া, এইচএ তাপাদার, রুহেল আহমদ, মনজুর হোসেন, খসরু মিয়া, জলিল মিয়া, আবদুল হান্নান, আলা উদ্দিন, সেলিম মিয়া, দবির মিয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিকালে তিনি চালিবন্দর শ্মশানঘাট এলাকায় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে গণসংযোগ করেন।
দুই শতাধিক নির্বাচনী কার্যালয়: সিলেট নগরী এখন পুরোপুরি নির্বাচনের নগরী। সবখানেই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। প্রার্থী ভোটার সব ধীরে ধীরে ভোট উৎসবে মেতে উঠেছে। এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সির ও নারী কাউন্সিলর মিলে প্রায় পৌনে দুই শতাধিক প্রার্থী। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তারা নির্বাচনী মাঠে পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে প্রার্থী নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রধান কার্যালয় খুলে বসেছেন। আর এসব কার্যালয়ে বসেই চালানো হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। সিলেটে ১৪ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সিলেট নগরীর তোপখানা কাজীর বাজার এলাকায় নির্বাচনের প্রধান কার্যালয় করেছেন। টিনশেডের ওই কার্যালয়ে প্রায় প্রতিদিন রাতে বসেন মেয়র কামরান। তিনি কার্যালয়ে বসে নির্বাচনের ছক সাজান। কামরানের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, মেয়র কামরান গত কয়েকটি নির্বাচনে ওই একই স্থানে নির্বাচনী কার্যালয় করছেন। এবার তার ভোটের প্রতীক আনারস। তার নির্বাচনী কার্যালয়ের প্রবেশ দ্বারে মাটি দিয়ে তৈরি একটি আনারস স্থাপন করা হয়েছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে, ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনী কার্যালয় গড়েছেন সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের শ্যামলী কমিউনিটি সেন্টারে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আরিফুল হক চৌধুরী ওই কার্যালয় ব্যবহার করবেন। প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে ওই কার্যালয় থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে আরিফুল হকের টেলিভিশন প্রতীকের প্রচারণা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই নির্বাচনেও থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের প্রধান কার্যালয়ে প্রতীক সাজিয়ে রেখেছেন। মাইকের পর মাইক: সিলেট নগরীতে এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে প্রার্থীদের পক্ষে মাইকিং। মেয়র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে রিকশা ও ইজিবাইক দিয়ে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রচারণার অংশ হিসেবে মাইকিং থাকায় নগরবাসীর ত্রাহী অবস্থা। প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ গাড়ি একযোগে প্রচারণা শুরু করায় প্রবল শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে সিলেট। তবে প্রার্থীরা জানান, নির্বাচন হবে প্রতীক দিয়ে। এ কারণে ভোটারের মধ্যে প্রতীক পরিচিতি ঘটাতে মাইকিং কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এ কারণে সিলেট নগরীতে তাদের মাইকিং বেশি। ওদিকে, নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা চলছে গানে গানে। যারা মাইকে প্রচারণা দিচ্ছে তারা মাঝে মধ্যে গান গেয়ে ভোটারের মন আকৃষ্ট করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। ব্যানার ফেস্টুনে সয়লাব নগর: চলছে বর্ষার মওসুম। এই সময়ে প্রচারণায় ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই প্রার্থীদের। এ কারণে কোন প্রার্থীই পলিথিন মোড়ানো ছাড়া পোস্টার টানাচ্ছেন না। দেওয়ালে পোস্টার সাঁটানোতে নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়ি থাকায় এবার পোস্টার দড়িতে বেঁধে গাছ কিংবা বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে দেয়া হচ্ছে। আর এ কারণেই সাদা-কালো পোস্টারে বর্ণিল হয়ে উঠেছে এবারের নির্বাচন। প্রতিটি পাড়া-মহল্লার গলি পথে টানানো পোস্টারে মনে হয় উৎসব চলছে নগরজুড়ে। সিলেটে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়রপ্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে বেশি পোস্টার লাগানো হচ্ছে। তবে প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পোস্টার সাঁটানো কড়াকড়ি থাকায় তারা বেশি টাকা খরচ করে পলিথিন মুড়িয়ে ব্যবহার করছেন। এতে করে নির্বাচনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
সিলেটে কাউন্সিলর প্রার্থীর বাসায় হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর: নির্বাচনী ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদুর রহমান সুজ্জাদের বাসায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে সুজ্জাদের সোনারপাড়াস্থ বাসায় এ হামলা হয়। রাত ১২টার দিকে নগরীর সোনারপাড়া গলির মুখে ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান সুজ্জাদের একটি ব্যানার টানায় কয়েকজন কর্মী। এ সময় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ব্যানারের সামনে সুজ্জাদের ব্যানার লাগানোর খবর পেয়ে উমেদ নামে এক যুবক ছুটে আসে। তিনি সুজ্জাদের ব্যানার খুলে নিতে তার কর্মীদের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে সুজ্জাদের কর্মীদের সঙ্গে উমেদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উমেদ তার সহযোগীদের নিয়ে সোনারপাড়াস্থ কাউন্সিলর প্রার্থী সুজ্জাদের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বাসায় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও তাতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পাঁচ বছরে নগরীতে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে- কামরান: আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল সমর্থিত নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আগামী ১৫ই জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করতে সিলেটবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, গত ৫ বছরে সিলেট নগরীতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। তার মধ্যে ছিল ২৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প। এই টাকা দিয়ে নগরীর সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ এবং ড্রেন কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। যার করপোরেশন এলাকার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আর নগরবাসীকে ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলতে হচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার সিলেট নগরীর শেখঘাট, পশ্চিম কাজীর বাজার ও চারাদিঘীরপাড় এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। ১৪ দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান শেখঘাট পৌঁছলে এলাকাবাসী তাকে স্বাগত জানান। মেয়র থাকাকালে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করায় এ সময় এলাকাবাসী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে ধন্যবাদ। এলাকাবাসী বিগত নির্বাচনের মতো এবারও আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করার আশ্বাস দেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে। বদরউদ্দিন আহমদ কামরান জুমার নামাজ আদায় করেন চারাদিঘীরপাড় জামে মসজিদে। নামাজ আদায়ের আগে তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি নামাজ আদায়ের পর তৎকালীন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান এডভোকেট আ ফ ম কামালের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং আ ফ ম কামালসহ উপস্থিত সবার কাছে আনারস মার্কায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের দোয়া চান। এ সময় আ ফ ম কামালও বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের জন্য দোয়া করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। এরপর বদরউদ্দিন আহমদ কামরান চারাদিঘীরপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ সিরাজ বকস, এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, মজির উদ্দিন, আজিজুল হক মঞ্জু, ফরহাদ খান, আনোয়ার হোসেন সুহেল, আবদুস সামাদ মান্না, সায়েম আহমদ, মুকিত আহমদ, রুকন উদ্দিন, দুলাল হোসেন, রাসেল আহমদ, জয়দ্বীপ, ইসমাইল হোসেন, গুলজার আহমদ, এএ মতিনসহ দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নীরব ভোট বিপ্লব করুন আদর্শ নগরী উপহার দেব- আরিফ: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত ও সম্মিলিত নাগরিক জোটের মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মহল বিশেষের এসব ষড়যন্ত্র ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করে আগামী নির্বাচনে নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এর জবাব দেয়ার জন্য তিনি নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওয়াদা করছি আপনারা আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের খাদেম হিসেবে একটি আদর্শ নগরী আপনাদের উপহার দেব।’
তিনি গতকাল শুক্রবার নগরের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘গত ২০ বছরে এই নগরী ৩০ বছর পিছিয়েছে। পৌরসভা থাকাকালে শহরবাসী যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেন এখন তা-ও পাচ্ছেন না। বিগত সময়কালে নগরবাসী যার হাতে নগরীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও প্রত্যাশা পূরণের সব দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি তা করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা ছাড়া নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করা এবং টেকসই উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখেননি। তাই এসব মূল্যায়ন করে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার এখন সময় এসেছে।’ আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমার সম্পর্কে, আমার উন্নয়ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে নগরীর মানুষ ভালভাবেই জানেন। অন্যরা কি করেছেন তাও নগরবাসী জানেন। তাই নগরবাসীর প্রতি রয়েছে আমার অবিচল আস্থা। ইতিমধ্যে আমার প্রতি জনসমর্থন দেখে একটি মহল যে অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তা সচেতন নগরবাসী বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী’। আরিফুল হক চৌধুরী অভিযোগ করেন একটি মহল তার বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। অনেক স্থানে তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া তার পোস্টারের অবিকল ছেপে বাসা-বাড়ির দেয়াল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেঁটে দেয়া হচ্ছে। একইভাবে একটি চক্র তার নামে বিভিন্ন স্থানে ভোট চাইতে গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। তিনি নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অপপ্রচার করে পরিবর্তন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা আটকানো যাবে না। এবার জনগণের বিজয় হবেই। আরিফুল হক চৌধুরী সকালে মিরাবাজার খাঁরপাড়ায় গণসংযোগ, সোবহানীঘাটস্থ সিলেট ট্রেড সেন্টার ও নওয়াব আলী মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গণসংযোগ ও ঘরোয়া বৈঠক করেন। এছাড়া তিনি চালিবন্দর শ্মশানঘাট এলাকা, হাউজিং এস্টেট, বিলপাড়, পীর মহল্লায় গণসংযোগ, কুমারপাড়ায় মণিপুরী সমপ্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আরিফুল হক খাঁরপাড়ায় পৌঁছলে এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি শামসুল হক, আনা মিয়া, আবদুল হক, আবদুর রহীমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় সিরাজ মিয়া, রাজা মিয়া, সফিক মিয়া, আবদুর রহমান, খায়রুল হক, মফিজুর রহমান, আবদুল ফাত্তাহ, অলি হোসেন, গুলজার হোসেন, আতাউর রহমানসহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী তাকে নির্বাচনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে তিনি সোবহানীঘাটস্থ সিলেটের প্রধান দুটি সবজিবাজার নওয়াব আলী মার্কেট ও সিলেট ট্রেড সেন্টারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছাদ মিয়া, এইচএ তাপাদার, রুহেল আহমদ, মনজুর হোসেন, খসরু মিয়া, জলিল মিয়া, আবদুল হান্নান, আলা উদ্দিন, সেলিম মিয়া, দবির মিয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিকালে তিনি চালিবন্দর শ্মশানঘাট এলাকায় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে গণসংযোগ করেন।
No comments