জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেই নৌকাটি
জোয়ারের পানির তোড়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বালুর নিচ থেকে জেগে ওঠা সেই নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কুয়াকাটা সৈকতের পূর্ব দিকে ঝাউবাগানের কাছে নৌকাটি রাখা হয়েছে।
গত বছরের জুলাইয়ে কুয়াকাটা সৈকতে নৌকাটি পাওয়া যায়। নৌকাটির দৈর্ঘ্য ৭২ ফুট ও প্রস্থ সাড়ে ২২ ফুট। এর ওজন আনুমানিক ৯০ টন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে গত ২৪ জানুয়ারি নৌকাটি তোলা হয়। নৌকাটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের পূর্ব দিকে ঝাউবাগানের কাছে রাখা নৌকাটির সুরক্ষার জন্য চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে জোয়ারের পানির তোড়ে নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, জোয়ার-ভাটার দোলায় নৌকাটির বর্তমান কাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পানির চাপে নৌকার কিছু কিছু কাঠ আলাদা হয়ে গেছে। নৌকার তলদেশে কাঠের ওপর মোড়ানো তামার আস্তরণ খুলে যাচ্ছে। এ ছাড়া জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি মাটি নৌকার ভেতরে জমে যাচ্ছে।
নৌকাটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মো. ইসহাক হাওলাদার বলেন, জোয়ার এলে চিন্তা বেড়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নৌকাটা যেখানে নেওয়ার কথা, সেখানে তাড়াতাড়ি নেওয়া দরকার। তা না হলে নৌকার কিছু টিকবে না।’
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের তাণ্ডবের সময় জোয়ারের পানিতে নৌকাটি ১০০ ফুট দক্ষিণ-পশ্চিমে সরে যায়। সে সময় নৌকার ১০ টুকরা ভারী কাঠ খুলে যায়। পরে সেগুলো কুড়িয়ে এনে রাখা হয়।
কুয়াকাটা উন্নয়ন সোসাইটির (কেডিএস) নির্বাহী পরিচালক মো. রুম্মান ইমতিয়াজ বলেন, ‘নৌকাটি নিয়ে প্রথম দিকে খুব তোড়জোড় করা হয়েছিল। এখন কর্তৃপক্ষের সে রকম আগ্রহ দেখছি না। এই মূল্যবান সম্পদটি রক্ষায় আরও যত্নবান হওয়া উচিত।’
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উৎকীর্ণ লিপি ও মুদ্রা শাখার সহকারী পরিচালক আফরোজা খান প্রথম আলোকে বলেন, নৌকাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। এই স্থানান্তরের কাজ অতি দ্রুত শেষ হবে।
No comments