দুই পক্ষই অনড়, সংলাপ হচ্ছে না
সরকার ও বিরোধী দলের অনড় অবস্থানের কারণে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে সংলাপ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের অবস্থান হচ্ছে, অনির্বাচিত কোনো ব্যক্তির সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিদিনই এ কথা বলছেন।
আঅপরদিকে বিরোধী দলের অবস্থান হচ্ছে, নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই। সরকার যদি বলে যে তারা এতে রাজি, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজি হলেও আলোচনায় বসতে হবে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পদ্ধতি এখন একটি অসাংবিধানিক বিষয়।
সরকার তার আগের অবস্থান থেকে একটুও সরছে না। অসাংবিধানিক বিষয় নিয়ে সরকার আলোচনার পক্ষপাতী নয়।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সরকার যদি নির্দলীয় সরকার চায় বলে ঘোষণা দেয়, তাহলে এর কাঠামো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সংলাপের আগে অবশ্যই সরকারকে বলতে হবে, তারা নির্দলীয় সরকারের ব্যবস্থা মেনে নেবে।’ উত্তরায় নিজ বাসায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে তিনি এ কথা বলেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বিকেলে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা শেষে বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেন, সংসদে এসে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দিতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে পথ বের হয়ে আসবে। কোনো অজুহাতে সংসদ ত্যাগ করা যাবে না। তাহলে কিন্তু আলোচনার সুযোগ আর আসবে না।
মির্জা ফখরুল গতকাল আরও বলেন, সরকার সংলাপ নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। একবার বলে তারা সংলাপ করবে, এখনই চিঠি পাঠাচ্ছে। আবার বলে, তারা কোনো সংলাপ করবে না।
সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলকে কখনো কখানো বলা হচ্ছে, সংসদে গিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার-পদ্ধতি নিয়ে প্রস্তাব দিতে। এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, তাঁরা সংসদে গেলেও নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব উত্থাপন করবেন না। তাঁদের কথা হচ্ছে, সংবিধানে নির্দলীয় সরকারের যে বিধান ছিল, তা ফিরিয়ে আনতে হবে।
No comments