বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার বিচার শুরু
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ২১ জনের
বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক আজ
রোববার এ অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো।
বিশ্বজিৎ
দাস হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আট আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।
তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে ন্যায়বিচার চান। মামলার বাকি ১৩ জন
আসামি পলাতক রয়েছেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি শাহ আলম তালুকদার জানান, পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর পরও তাঁরা আদালতে হাজির হননি। আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে আদালত আজ অভিযোগ গঠন করেছেন। এর মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হলো।
গ্রেপ্তার থাকা আট আসামি: আসামিদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, এমদাদুল হক, কাইয়ুম মিঞা, এইচ এম কিবরিয়া ও সাইফুল ইসলামকে গত ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করে ডিবি। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাজৈরের গ্রামের বাড়ি থেকে গত ২৬ মে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোলাম মোস্তফাকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে প্রথম চারজন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে তাঁরা বিশ্বজিতের ওপর হামলা করেন। তাঁদের দাবি, রাজন তালুকদার প্রথমে বিশ্বজিেক কোপানো শুরু করেন। তা দেখে বাকিরা মারতে শুরু করেন।
পলাতক ১৩ জন: পলাতক ১৪ আসামি রাজন তালুকদার, ইউনুস আলী, কাইয়ুম ওরফে টিপু, পাভেল, তমাল, আলাউদ্দিন, ইমরান হোসেন, তাহসিন, আলাউদ্দিন, লিমন, আল আমিন, ওবায়দুল কাদের ও আজিজের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। কিন্তু পুলিশ পরোয়ানা তামিল করতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি’ বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে দায় সেরেছে পুলিশ।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সকালে পুরান ঢাকার দরজি দোকানি বিশ্বজিৎকে (২৪) প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিন বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তখন অবরোধ প্রতিরোধে নামা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিরোধীদলীয় কর্মীদের ধাওয়া দেন। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পথচারী বিশ্বজিৎ দৌড়ে পার্কের পাশের একটি ডেন্টাল ক্লিনিকে (দোতলায়) আশ্রয় নেন। ধাওয়া করে ছাত্রলীগের কর্মীরা সেখানে গিয়ে বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান এবং রড ও লাঠি দিয়ে পেটান। সেখান থেকে মারতে মারতে নিচে নামিয়ে আবার তাঁকে চারদিক ঘিরে বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রের কর্মীরা হামলার এই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেন, যা পরে প্রচার করা হয়।
শুরুতে বিশ্বজিৎ হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারে শৈথিল্য দেখায় পুলিশ। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি দেখে শনাক্ত করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ভিডিওচিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বজিতের ওপর হামলায় জড়িত হিসেবে ২১ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে গত ৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মহানগর দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি শাহ আলম তালুকদার জানান, পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর পরও তাঁরা আদালতে হাজির হননি। আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে আদালত আজ অভিযোগ গঠন করেছেন। এর মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হলো।
গ্রেপ্তার থাকা আট আসামি: আসামিদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, এমদাদুল হক, কাইয়ুম মিঞা, এইচ এম কিবরিয়া ও সাইফুল ইসলামকে গত ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করে ডিবি। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাজৈরের গ্রামের বাড়ি থেকে গত ২৬ মে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোলাম মোস্তফাকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে প্রথম চারজন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে তাঁরা বিশ্বজিতের ওপর হামলা করেন। তাঁদের দাবি, রাজন তালুকদার প্রথমে বিশ্বজিেক কোপানো শুরু করেন। তা দেখে বাকিরা মারতে শুরু করেন।
পলাতক ১৩ জন: পলাতক ১৪ আসামি রাজন তালুকদার, ইউনুস আলী, কাইয়ুম ওরফে টিপু, পাভেল, তমাল, আলাউদ্দিন, ইমরান হোসেন, তাহসিন, আলাউদ্দিন, লিমন, আল আমিন, ওবায়দুল কাদের ও আজিজের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। কিন্তু পুলিশ পরোয়ানা তামিল করতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি’ বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে দায় সেরেছে পুলিশ।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সকালে পুরান ঢাকার দরজি দোকানি বিশ্বজিৎকে (২৪) প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিন বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তখন অবরোধ প্রতিরোধে নামা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিরোধীদলীয় কর্মীদের ধাওয়া দেন। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পথচারী বিশ্বজিৎ দৌড়ে পার্কের পাশের একটি ডেন্টাল ক্লিনিকে (দোতলায়) আশ্রয় নেন। ধাওয়া করে ছাত্রলীগের কর্মীরা সেখানে গিয়ে বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান এবং রড ও লাঠি দিয়ে পেটান। সেখান থেকে মারতে মারতে নিচে নামিয়ে আবার তাঁকে চারদিক ঘিরে বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রের কর্মীরা হামলার এই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেন, যা পরে প্রচার করা হয়।
শুরুতে বিশ্বজিৎ হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারে শৈথিল্য দেখায় পুলিশ। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবি দেখে শনাক্ত করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ভিডিওচিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বজিতের ওপর হামলায় জড়িত হিসেবে ২১ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে গত ৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
No comments