বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ও কিছু বিবেচনা
সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠনে সাধারণ
মানুষের পুষ্টি উপাদান গ্রহণের মাত্রা গুরুত্বপূর্ণ। আর দুধ হচ্ছে আমাদের
গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এর উৎপাদনের অপ্রতুলতা রয়েছে।
এজন্য এই খাতে আন্তরিক, দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল নিয়োগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
অনেকে জানেন, ২০১০ সালে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ডেইরি/দুগ্ধ সম্মেলন। দুগ্ধ শিল্পে দক্ষ ও অভিজ্ঞদের তোয়াক্কা না করে আয়োজক হয়েছিল পশুচিকিৎসা/ ভেটেরিনারিয়ান বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। দেশে পশুচিকিৎসা ও পশু উৎপাদনমুখী পশুপালন শিক্ষা দুটি স্বতন্ত্র শিক্ষা। দুটিরই গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু তা অবশ্যই নিজ নিজ ক্ষেত্রে। পশু চিকিৎসকরা মেডিসিন, সার্জারি, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি, প্যারাসাইটোলজি, অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও ফার্মাকোলজি বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ। অন্যদিকে পশু উৎপাদনমুখী পশুপালনবিদরা ডেইরি/দুগ্ধ বিজ্ঞান, পশুবিজ্ঞান, পোলট্রি বিজ্ঞান, পশুপুষ্টি ও পশুপ্রজনন বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ। পশুপালন বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণা, বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস, মিল্ক ভিটা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন বহির্বিশ্বেও। দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রদান করা হয় পশুপালন ডিগ্রি। এ শিক্ষার গুরুত্বকে অনুধাবন করে হাইকোর্ট সম্প্রতি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপালন ডিগ্রি চালুর পক্ষে রায় দেন। সুতরাং এ কথা অনস্বীকার্য যে, দুধ, মাংস এবং ডিম-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতা রয়েছে পশুপালনবিদদের।
আজ জুনের প্রথম দিন। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। সমগ্র বিশ্বে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। বাংলাদেশেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এ দিবস পালনে নিয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। তবে এসব কর্মসূচিতে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কতটা যুক্ত করা হয়েছে, তা ভেবে দেখা দরকার।
একই সঙ্গে আমরা মনে করি, কেবল একদিনের আনুষ্ঠানিকতা নয়; জাতিকে পুষ্টি জোগাতে হলে সারা বছরের পরিকল্পনা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে খেটে খাওয়া মানুষের মুখে এক গ্গ্নাস দুধ, একটি ডিম ও এক টুকরা মাংস তুলে দিতে চান। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের যুক্ত করার বিকল্প নেই। এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঠিক সময়।
স লেখকবৃন্দ_ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেইরি অ্যান্ড পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক
অনেকে জানেন, ২০১০ সালে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ডেইরি/দুগ্ধ সম্মেলন। দুগ্ধ শিল্পে দক্ষ ও অভিজ্ঞদের তোয়াক্কা না করে আয়োজক হয়েছিল পশুচিকিৎসা/ ভেটেরিনারিয়ান বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। দেশে পশুচিকিৎসা ও পশু উৎপাদনমুখী পশুপালন শিক্ষা দুটি স্বতন্ত্র শিক্ষা। দুটিরই গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু তা অবশ্যই নিজ নিজ ক্ষেত্রে। পশু চিকিৎসকরা মেডিসিন, সার্জারি, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি, প্যারাসাইটোলজি, অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও ফার্মাকোলজি বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ। অন্যদিকে পশু উৎপাদনমুখী পশুপালনবিদরা ডেইরি/দুগ্ধ বিজ্ঞান, পশুবিজ্ঞান, পোলট্রি বিজ্ঞান, পশুপুষ্টি ও পশুপ্রজনন বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ। পশুপালন বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণা, বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস, মিল্ক ভিটা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন বহির্বিশ্বেও। দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রদান করা হয় পশুপালন ডিগ্রি। এ শিক্ষার গুরুত্বকে অনুধাবন করে হাইকোর্ট সম্প্রতি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পশুপালন ডিগ্রি চালুর পক্ষে রায় দেন। সুতরাং এ কথা অনস্বীকার্য যে, দুধ, মাংস এবং ডিম-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতা রয়েছে পশুপালনবিদদের।
আজ জুনের প্রথম দিন। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। সমগ্র বিশ্বে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। বাংলাদেশেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এ দিবস পালনে নিয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। তবে এসব কর্মসূচিতে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কতটা যুক্ত করা হয়েছে, তা ভেবে দেখা দরকার।
একই সঙ্গে আমরা মনে করি, কেবল একদিনের আনুষ্ঠানিকতা নয়; জাতিকে পুষ্টি জোগাতে হলে সারা বছরের পরিকল্পনা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে খেটে খাওয়া মানুষের মুখে এক গ্গ্নাস দুধ, একটি ডিম ও এক টুকরা মাংস তুলে দিতে চান। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের যুক্ত করার বিকল্প নেই। এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঠিক সময়।
স লেখকবৃন্দ_ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেইরি অ্যান্ড পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক
No comments