অনুমোদনহীন বই
সরকার শিক্ষার উন্নয়নে সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে দু-একটি ক্ষেত্রে এখনও সমস্যা রয়ে গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘অনুমোদনহীন নিম্নমানের সহায়ক বই।
’ জানা গেছে, সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এসব বইয়ে কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ছেয়ে গেছে। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বর্তমান সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে। এ সময় কিছু অসাধু বই ব্যবসায়ী সরকারের শুভ উদ্যোগকে যেন ব্যাহত করতে চায়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নিম্নমানের সহায়ক বই পড়ে বিভ্রান্ত হতে পারেু। এসব বইয়ে অনেক ভুল তথ্য রয়েছে।এবার নানাবিধ কারণে সরকারের ‘বিনামূল্যের সহায়ক বই’ সরবরাহে ক্ষাণিকটা বিলম্ব হয়েছে। আর এই বিলম্বের সুযোগ নিয়েছে স্বার্থান্বেষী সুযোগসন্ধানীরা। সহায়ক (বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজী গ্রামার) বই সরবরাহে বিলম্বকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যে এ ধরনের দুর্নীতিতে মেতে উঠতে পারে সে সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন হওয়া উচিত ছিল। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্থরেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও বোধের ভিত্তি গড়ে ওঠে। এ বয়সে তারা যা শিখবে তা তাদের সারাজীবন কাজে লাগবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যবই ও সহায়ক বইয়ের মাধ্যমে দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এ ধরনের অনুমোদনহীন বই কারা সরবরাহ করছে? এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা তেমন কঠিন কিছু না। এদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। অনুমোদনহীন নিম্নমানের বাংলা ও ইংরেজী ব্যাকরণের সহায়ক বই পড়ে লাভের বদলে বরং ক্ষতিই হতে পারে বেশি। এতে তারা ছোট থেকেই ভাষার ভুল ব্যবহার শিখবে। এছাড়া সহায়ক শিক্ষা নামে বাজারে ঢুকে পড়েছে বিতর্কিত ইসলামিক সোসাইটির কিছু বই। এসব কেন হচ্ছে? লক্ষ্য রাখতে হবে, ছোট থেকে শিক্ষার্থীরা যেন নিম্নমানের বিতর্কিত বিষয় থেকে দূরে থাকে। শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির স্বার্থবিরোধী কিছু পড়ানো উচিত নয়।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিশুদের যাতে অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা বহন করতে না হয় সে লক্ষ্যে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments