চূড়ানত্ম এমপিওভুক্তির নীতিমালা, চার মানদ
অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত ুবেসরকারী শিা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির নীতিমালা চূড়ানত্ম করা হয়েছে। মঙ্গলবার শিামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আনত্মঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এমপিওভুক্তির নীতিমালা চূড়ানত্ম করা হয়।
নতুন নীতিমালায় এমপিওভুক্তির জন্য চারটি মানদ- নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ অথবা কাল এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালা সর্বসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হবে। শিৰা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালা মেনে এমপিওভুক্তির জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন নীতিমালায় এমপিওভুক্তির জন্য মানদ- ঠিক রাখতে ১০০ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এতে একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য ২৫, শিৰার্থীর জন্য ২৫, পরীৰার্থীর সংখ্যার জন্য ২৫ এবং পরীৰায় উত্তীর্ণের হারের জন্য ২৫ নম্বর রাখা হয়েছে। এতে স্বীকৃতির সময়সীমা ২ বছর হলে ৫ নম্বর পাওয়া যাবে। যদি স্বীকৃতির সময়সীমা ১০ বছর বা তারও বেশি সময় হয় তাহলে ২৫ নম্বর পাওয়া যাবে। শিৰার্থীর সংখ্যায় কাম্যসংখ্যার জন্য ১৫ নম্বর দেয়া হবে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের শিৰার্থীর সংখ্যা কাম্যসংখ্যার পরবর্তী প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৫ নম্বর প্রদান করা হবে। একইভাবে পরীৰার্থী এবং ফলাফলের ৰেত্রে নম্বর প্রদান করা হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন এ নীতিমালা পূরণে ব্যর্থ হতে তাদের প্রথম বছর সতর্কতামূলক চিঠি দেয়া হবে। তবে দ্বিতীয় বছর এমপিওর শর্ত ভঙ্গ হলে সরকার কতর্ৃক প্রদত্ত বেতন ভাতার ২৫ শতাংশ কর্তন করা হবে। তৃতীয় বছর শর্তপূরণে ব্যর্থ হলে ৫০ শতাংশ বেতন ভাতা কর্তন করা হবে। একই প্রতিষ্ঠান চতুর্থ বছরও শর্তপূরণে ব্যর্থ হলে এমপিও বাতিল করা হবে।
শিৰা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির জন্য চলতি মাসেই শিৰা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে দরখাসত্ম আহ্বান করবে। দৈনিক পত্রিকা এবং শিৰা মন্ত্রণালয়ের ওয়বেসাইটে (িি.িসড়বফঁ.মড়া.নফ) আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। বছরের যখনই এমপিওভুক্ত হোক না কেন, জানুয়ারি ২০১০ থেকে শিৰা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার প্রদত্ত সুযোগসুবিধা পাবে। ইতোপূর্বে যেসব শিৰা প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে তাদেরও নতুনভাবে আবেদন করতে হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নীতিমালার শর্তপূরণে যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
সূত্র মতে, কারিগরি, মহিলা এবং বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় যেসব শিৰা প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমপিওভুক্তি থেকে বিরত রাখা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
নতুন নীতিমালায় একই এলাকায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিৰা প্রতিষ্ঠান একীভূতকরণ, এমপিওভুক্ত সকল শিৰা প্রতিষ্ঠানগুলোর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার এবং প্রতিষ্ঠানের শিৰক-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে। নীতিমালাটি শিৰার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি শিৰক-কর্মচারীদের ভোগানত্মি রোধে কার্যকর হবে বলে সংশিস্নষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন।
গতকালের বৈঠকে শিা সচিব সৈয়দ আতাউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এসএম গোলাম ফারম্নক, যুগ্ম সচিবগণ, আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পলস্ন-ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, কারিগরি শিা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং মাদ্রাসা শিা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের এমপিওভুক্তির নীতিমালার আলোকেই নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে নতুন নীতিমালায় বেসরকারী শিা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও শিক নিয়োগসহ বেশকিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
No comments