খবর শুধু খবর নয় by নিয়ামত হোসেন


হাইতির জন্য ব্রিটেনের এক শিশুর অর্থ সংগ্রহ ব্রিটেনের সাত বছরের একটি ছেলে হাইতির ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড চাঁদা সংগ্রহ করেছে বলে প্রকাশিত এক সংবাদে জানা গেল। হাইতির ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলার চিত্র সে টেলিভিশনে দেখে।
টিভির খবরে দেখানো হয় উদ্ধার তৎপরতা। ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘরের ভেতর থেকে বেশ কয়েকজন ছেলেমেয়েকে উদ্ধার করার দৃশ্যও সে দেখে। এসব দেখে তার মন বিচলিত হয়ে ওঠে। ওদের জন্য তারও কিছু করা দরকার_ এ কথা তার মনে হয়। সে ৫০০ পাউন্ড চাঁদা তুলে ইউনিসেফের তহবিলে জমা দেয়ার সিদ্ধানত্ম নেয়। এরপর সে অর্থ সংগ্রহের জন্য তার ছোট্ট সাইকেল নিয়ে লন্ডনের একটি পার্ক ও তার আশপাশের এলাকায় নামে চাঁদা সংগ্রহে। এ ব্যাপারে যে স্পন্সর ফরম তৈরি করতে হয় সে বিষয়টিতে ছেলেটির মা তাকে সাহায্য করেন। এরপর বিষয়টি দেয়া হয় ইন্টারনেটে এবং দ্রম্নত তা ছড়িয়ে পড়ে। খুব অল্প সময়ে ৫০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ হয়ে যায়।
ছেলেটির নাম চার্লি সিম্পসন। তার ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া এই অর্থ দেয়া হবে ইউনিসেফকে। এই অর্থ ব্যয় হবে হাইতির শিশুদের কল্যাণে।
স্মরণ করা যেতে পারে, ১২ জানুয়ারি হাইতিতে যে ভূমিকম্প হয় সেটা ছিল ৭ মাত্রার উপরে। তাতে হাইতি ধ্বংসসত্মূপে পরিণত হয়।
হাইতির এই ভূমিকম্পে দেশটিকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়ে সেখানকার ঘরবাড়ি তথা অধিকাংশ ভবন ও স্থাপনাকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়েছে আর এই বিপর্যয়ের ঘটনার কথা শুনে ও এতে সেখানকার ধ্বংসের খবর ও সত্যিকার মানবিক বিপর্যয়ের ছবি টিভিতে দেখেছে বিশ্বের মানুষ। বিষয়টি সবার মনে বিপুলভাবে নাড়া দিয়ে যায়। ব্রিটেনের সাত বছরের ঐ ছেলেটার মনটাকে কিভাবে নাড়া দিয়েছে ঘটনাটি তা বোঝা যায় তার উলিস্নখিত উদ্যোগটি থেকে। সে শুধু তার নিজের দেশেরই নয়, সব দেশের মানুষের গর্ব।

অশীতিপর বৃদ্ধ কাস ওয়ানে ভর্তি হলেন
তাঁর নাম আবু বকর মুহাম্মদ রাবিনজিমি। বয়স ৮৮ বছর। বাড়ি নাইজিরিয়ার দৰিণাঞ্চলের কানো শহরে। ভদ্রলোক কিছুদিন আগে স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। তিনি লেখাপড়া শিখতে চান। প্রবল আগ্রহ জেগেছে তাঁর মনে। তাই তিনি সেখানকার এক প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। স্কুল কর্তৃপৰ তাঁকে ভর্তি করে নিয়েছে। তিনি এখন নিয়মিত কাস করছেন। তাঁর সহপাঠীদের বয়স ৭ বছর। তাদের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন তিনি। প্রকাশিত এক সংবাদে জানা গেল এ কথা।
জানা গেল, আবু বকরের মনের আরও কথা। তিনি এখন পড়াশোনার মর্ম অনুধাবন করে স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর ইচ্ছা প্রাইমারী স্কুলের পড়া শেষ করে তিনি পরের পর্যায়ে যাবেন। তারপর এক সময় আরও উপরে উঠবেন। তাঁর মনের বাসনা তিনি শেষ পর্যনত্ম পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করবেন। খবরটি মজার হলেও এর বাইরেও এর মর্মার্থ অনেক বেশি।
বিদ্যা শিৰার আকর্ষন কত দুর্নিবার, সেটা যে বয়স মানে না, এটা বোঝা যায় এই ঘটনায়। মানুষ যে কোন বয়সে যে কোন অবস্থায় শিৰা নিতে পারে, জ্ঞানচর্চা করতে পারে_ এ সুযোগ থাকা উচিত। এই রকম ঘটনায় কোনরকম কটাৰ না করে সমর্থন করা, সহায়তা করা উচিত। শিৰা, জ্ঞানচর্চা মানুষেরই কাজ, মানুষের অধিকার। এ অধিকার সব সময় সমুন্নত রাখা উচিত।

মধুর ঘটনায় আতঙ্কের পর মধুর সমাপ্তি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে পাওয়া বোতলে বিপজ্জনক কোন পদার্থ রয়েছে, এই সন্দেহে গোটা বিমানবন্দরটি কিছুৰণের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় এবং কয়েক ঘণ্টা সেখানে বিমান চলাচল বন্ধ থাকে। প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়, অল্প কয়েকদিন আগে এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের বিকার্সফিল্ডের এক বিমানবন্দরে। সেখানে এক যাত্রীর ব্যাগে একটি বোতল পেয়ে সেখানকার কমর্ীদের এটির ব্যাপারে সন্দেহ হয়। সেই বোতলের মুখ খুললে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা গন্ধে দু'জন কমর্ী নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং কিছু পরে তাঁদের ছেড়েও দেয়া হয়। যাই হোক, বোতলের মালিক জানান, তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন। তাঁর কাছে বিপজ্জনক কিছুই নেই। যে বোতল নিয়ে এত কা-, তাতে রয়েছে মধু।
যাই হোক, কয়েক ঘণ্টা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকার পর শেষ পর্যনত্ম বিমানবন্দর ফের চালু হয়। মধুর কারণে সৃষ্ট আতঙ্ক মধুরভাবেই শেষ হয় অর্থাৎ ঘটনার মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটে।
সাবধানতা সব সময়ই ভাল। তবে অনেক সময় অতি সাবধানতা ঝঞ্ঝাটের কারণ হয়ে ওঠে। তখন রজ্জু দর্শনে সর্পদর্শন করার মতো হাস্যকর ঘটনা ঘটে। এৰেত্রেও তাই হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.