পদে পদে দুর্ভোগ-* কয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে ঠিক নেই * মহাসড়ক স্থবির, মিলছে না বাসের টিকিট * মন্ত্রীর নির্দেশ মানেন না কর্মকর্তারা! by পার্থ সারথি দাস
সিলেট থেকে আন্তনগর ট্রেন উপবনের কমলাপুর রেলস্টেশনে আসার কথা ছিল ভোর ৫টা ৫ মিনিটে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার এটি কমলাপুরে পেঁৗছে ১০ ঘণ্টা দেরিতে বেলা ৩টার পর। এটি জয়ন্তিকা নাম নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে কমলাপুর ছেড়ে যায় বিকেল ৪টার দিকে। অথচ ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিল দুপুর ২টা। তারাকান্দি থেকে আন্তনগর ট্রেন যমুনার কমলাপুরে আসার কথা ছিল সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। গতকাল দুপুর ২টার দিকেও এটি কমলাপুর স্টেশনে পেঁৗছেনি। এই ট্রেনটিই অগি্নবীণা নামে কমলাপুর থেকে ছাড়ার কথা ছিল সকাল সাড়ে ৯টায়।
জানা গেছে, কমলাপুর থেকে অগি্নবীণা ছেড়ে যায় বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে। ছয় ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় যাত্রীদের। এই ট্রেনের যাত্রী সাইফুর রহমান দুপুর ১টার দিকে কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁর বাসা উত্তরায়। যানযটের কারণে উত্তরা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে সময়মতো পেঁৗছতে পারেন কি না সেই ভয়ে সকালে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনে কমলাপুর স্টেশনে আসেন সকাল সাড়ে ৯টার আগেই। সেই থেকে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা উদ্বেগ নিয়ে হাঁটছিলেন প্লাটফরমে।
সাইফুর রহমানের পাশেই দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন চৈতী রহমান। তিনি অপেক্ষা করছিলেন রংপুর এঙ্প্রেসের জন্য। চৈতী রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় ছাড়ার কথা ছিল রংপুর এঙ্প্রেসের। কিন্তু তখনও ট্রেন ছাড়েনি। পরে জানা যায়, ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে।
মহানগর প্রভাতীর কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৭টা ৪০ মিনিট। গতকাল এটি ছেড়ে যায় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে। চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেনটিও এক ঘণ্টা ৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ে কমলাপুর থেকে। এভাবে ঢাকা-রাজশাহী রুটের সিল্কসিটিসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সময়সূচি ছিল বিপর্যস্ত।
স্টেশন মাস্টার এন সি সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নরসিংদীর ঘটনার পর সময়সূচি ভেঙে পড়ায় অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে।' রেলওয়ের সহকারী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ট্রেনের সময়সূচি ঈদের আগের অবস্থায় ফিরবে না। নরসিংদীর ঘটনার পর শিডিউল খুব খারাপ অবস্থায় আছে।'
একে যানজট, তার ওপর মিলছে না বাসের টিকিট : এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন মহাসড়কের সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি পুরোপুরি। সংস্কারকাজের কারণে গত বুধবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট ছিল। বেহাল সড়ক ও যানজটের মধ্যেও গতকাল দুপুর থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। অনেকে টিকিট না পেয়ে অপেক্ষা করছিলেন বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারের সামনে। ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম যাওয়ার একটি টিকিট পেতে পান্থপথে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে গিয়েছিলেন সুমন ইসলাম। টিকিট না পেয়ে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কলেজ গেট, গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী কোথাও অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রেনের টিকিটও পাইনি। কী করব?'
যোগাযোগমন্ত্রীর নির্দেশনা মানেন না সড়কসচিব ও কর্মকর্তারা : যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এক চিঠিতে লিখেছেন, তাঁর নির্দেশনা মানছেন না মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে গত দুই মাসে মন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো কমপক্ষে ১৬টি নির্দেশনা ফাইলচাপা পড়ে আছে। এসব নির্দেশনা ফাইলবন্দি রেখেই সড়ক বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খান গত ৩১ অক্টোবর থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। অথচ এর পরের দিন ১ নভেম্বর সড়ক বিভাগের সচিবকে লেখা চিঠিতে ওই দিন থেকেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাজে কঠোর তদারকি শুরু করা এবং মানুষের ভোগান্তি লাঘবের জন্য মোরামতযোগ্য সড়ক চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। চিঠিতে মন্ত্রী ৩ নভেম্বরের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন তাঁর কাছে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জানা গেছে, গতকাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ-সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়নি। জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সড়ক বিভাগের সচিব বিদেশে আছেন। কবে আসবেন তা আমি জানি না। গতকাল পর্যন্ত আমি কোনো প্রতিবেদন পাইনি।'
কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব মন্ত্রীর : যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যোগাযোগ খাতের বিভিন্ন কাজে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গেই যোগাযোগমন্ত্রীর কাজের কোনো সমন্বয় নেই। অনেক ক্ষেত্রে কোন প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে তা মন্ত্রীকে অবহিতও করা হচ্ছে না নিয়মিত। এ অবস্থায় মানুষের নিরুদ্বেগ ঈদযাত্রার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবার তেমন কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। গত ১ নভেম্বর সড়ক বিভাগের সচিবকে দেওয়া চিঠিতে যোগাযোগমন্ত্রী লিখেছেন, 'মন্ত্রী হিসেবে এ পর্যন্ত সচিব বরাবরে ইউও নোটের (আনঅফিসিয়াল নোট) মাধ্যমে বিভিন্ন সময় যেসব নির্দেশনা প্রদান করেছি, তা যথাযথ অনুসৃত হচ্ছে কি না সে বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার নয়। সচিব, সড়ক বিভাগ বরাবর সুনির্দিষ্ট সময়সীমা প্রদান করে তার ওপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া সত্ত্বেও আমার কাছে কোনো প্রতিবেদন বা ফলোআপ উপস্থাপন করা হয়নি। কোনো ইউও নোটে তিন কার্যদিবস আবার কোনোটিতে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা বলা হলেও আমার কাছে কোনো প্রতিবেদন উপস্থাপন বা প্রকৃত অবস্থা অবহিত করা হয়নি।' মন্ত্রী আরো লেখেন, 'মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকি ও নথি নিষ্পত্তি দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে ইতিপূর্বে নির্দেশনা প্রদান করা সত্ত্বেও তা যথাযথভাবে প্রতিপালন হচ্ছে না বলে প্রতীয়মান হয়।'
সড়ক মেরামতে তদারকি নেই : সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সড়ক মেরামতের জন্য ৬৯০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৮০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। কিন্তু কোন সড়কে কিভাবে অর্থ ব্যয় ও কাজ হচ্ছে তা তদারক করা হচ্ছে না। নাজুক হয়ে পড়া প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সড়কের অর্ধেকও চলাচল উপযোগী করা সম্ভব হয়নি।
ট্রেন চলাচল নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য : ঈদে ট্রেনযাত্রীদের কোনো সমস্যা হবে না বলে যোগাযোগমন্ত্রী গতকাল আশ্বাস দিয়েছেন। সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে তিনি এই আশ্বাস দেন। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই রেলস্টেশনে অবস্থান করে ট্রেনযাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের দৃশ্য দেখা গেছে। অন্যদিকে রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় এবং ইঞ্জিন সংকটের কারণে পরিস্থিতির কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই। অথচ যোগাযোগমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, দুই-এক দিনের মধ্যে অবস্থা স্বাভাবিক হবে।
সাইফুর রহমানের পাশেই দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন চৈতী রহমান। তিনি অপেক্ষা করছিলেন রংপুর এঙ্প্রেসের জন্য। চৈতী রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় ছাড়ার কথা ছিল রংপুর এঙ্প্রেসের। কিন্তু তখনও ট্রেন ছাড়েনি। পরে জানা যায়, ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে।
মহানগর প্রভাতীর কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৭টা ৪০ মিনিট। গতকাল এটি ছেড়ে যায় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে। চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেনটিও এক ঘণ্টা ৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ে কমলাপুর থেকে। এভাবে ঢাকা-রাজশাহী রুটের সিল্কসিটিসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সময়সূচি ছিল বিপর্যস্ত।
স্টেশন মাস্টার এন সি সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নরসিংদীর ঘটনার পর সময়সূচি ভেঙে পড়ায় অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে।' রেলওয়ের সহকারী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ট্রেনের সময়সূচি ঈদের আগের অবস্থায় ফিরবে না। নরসিংদীর ঘটনার পর শিডিউল খুব খারাপ অবস্থায় আছে।'
একে যানজট, তার ওপর মিলছে না বাসের টিকিট : এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন মহাসড়কের সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি পুরোপুরি। সংস্কারকাজের কারণে গত বুধবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট ছিল। বেহাল সড়ক ও যানজটের মধ্যেও গতকাল দুপুর থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। অনেকে টিকিট না পেয়ে অপেক্ষা করছিলেন বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারের সামনে। ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম যাওয়ার একটি টিকিট পেতে পান্থপথে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে গিয়েছিলেন সুমন ইসলাম। টিকিট না পেয়ে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কলেজ গেট, গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী কোথাও অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রেনের টিকিটও পাইনি। কী করব?'
যোগাযোগমন্ত্রীর নির্দেশনা মানেন না সড়কসচিব ও কর্মকর্তারা : যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এক চিঠিতে লিখেছেন, তাঁর নির্দেশনা মানছেন না মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে গত দুই মাসে মন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো কমপক্ষে ১৬টি নির্দেশনা ফাইলচাপা পড়ে আছে। এসব নির্দেশনা ফাইলবন্দি রেখেই সড়ক বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খান গত ৩১ অক্টোবর থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। অথচ এর পরের দিন ১ নভেম্বর সড়ক বিভাগের সচিবকে লেখা চিঠিতে ওই দিন থেকেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাজে কঠোর তদারকি শুরু করা এবং মানুষের ভোগান্তি লাঘবের জন্য মোরামতযোগ্য সড়ক চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। চিঠিতে মন্ত্রী ৩ নভেম্বরের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন তাঁর কাছে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জানা গেছে, গতকাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ-সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়নি। জানতে চাইলে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সড়ক বিভাগের সচিব বিদেশে আছেন। কবে আসবেন তা আমি জানি না। গতকাল পর্যন্ত আমি কোনো প্রতিবেদন পাইনি।'
কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব মন্ত্রীর : যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যোগাযোগ খাতের বিভিন্ন কাজে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গেই যোগাযোগমন্ত্রীর কাজের কোনো সমন্বয় নেই। অনেক ক্ষেত্রে কোন প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে তা মন্ত্রীকে অবহিতও করা হচ্ছে না নিয়মিত। এ অবস্থায় মানুষের নিরুদ্বেগ ঈদযাত্রার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবার তেমন কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। গত ১ নভেম্বর সড়ক বিভাগের সচিবকে দেওয়া চিঠিতে যোগাযোগমন্ত্রী লিখেছেন, 'মন্ত্রী হিসেবে এ পর্যন্ত সচিব বরাবরে ইউও নোটের (আনঅফিসিয়াল নোট) মাধ্যমে বিভিন্ন সময় যেসব নির্দেশনা প্রদান করেছি, তা যথাযথ অনুসৃত হচ্ছে কি না সে বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার নয়। সচিব, সড়ক বিভাগ বরাবর সুনির্দিষ্ট সময়সীমা প্রদান করে তার ওপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া সত্ত্বেও আমার কাছে কোনো প্রতিবেদন বা ফলোআপ উপস্থাপন করা হয়নি। কোনো ইউও নোটে তিন কার্যদিবস আবার কোনোটিতে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা বলা হলেও আমার কাছে কোনো প্রতিবেদন উপস্থাপন বা প্রকৃত অবস্থা অবহিত করা হয়নি।' মন্ত্রী আরো লেখেন, 'মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকি ও নথি নিষ্পত্তি দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে ইতিপূর্বে নির্দেশনা প্রদান করা সত্ত্বেও তা যথাযথভাবে প্রতিপালন হচ্ছে না বলে প্রতীয়মান হয়।'
সড়ক মেরামতে তদারকি নেই : সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সড়ক মেরামতের জন্য ৬৯০ কোটি টাকার মধ্যে ৫৮০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। কিন্তু কোন সড়কে কিভাবে অর্থ ব্যয় ও কাজ হচ্ছে তা তদারক করা হচ্ছে না। নাজুক হয়ে পড়া প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সড়কের অর্ধেকও চলাচল উপযোগী করা সম্ভব হয়নি।
ট্রেন চলাচল নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য : ঈদে ট্রেনযাত্রীদের কোনো সমস্যা হবে না বলে যোগাযোগমন্ত্রী গতকাল আশ্বাস দিয়েছেন। সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে তিনি এই আশ্বাস দেন। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই রেলস্টেশনে অবস্থান করে ট্রেনযাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের দৃশ্য দেখা গেছে। অন্যদিকে রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় এবং ইঞ্জিন সংকটের কারণে পরিস্থিতির কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই। অথচ যোগাযোগমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, দুই-এক দিনের মধ্যে অবস্থা স্বাভাবিক হবে।
No comments