গোলটা তোমার জন্য সোনামণি
নিষ্পাপ স্বর্গীয় হাসিতে প্রশান্তিতে ভরে ওঠে বুক। অন্য রকম মনে হয় পৃথিবীটা। ২৭ অক্টোবর স্ত্রীর কোল আলো করে আসা সন্তানের মুখ দেখে এমনটাই মনে হয়েছিল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব ডোনকাস্টার রোভার্সের অধিনায়ক বিলি শার্পের। কত স্বপ্নই দেখছিলেন ছেলে জ্যাকবকে নিয়ে। স্বপ্নগুলো এলোমেলো হতেও সময় লাগেনি। ৪৮ ঘণ্টা পরই যে না-ফেরার দেশে চলে গেছে ফুটফুটে ছেলেটা। সন্তানের অকালমৃত্যু সহ্য করতে পারছিলেন না শার্প, তার কথা মনে করে কিছু একটা করার জন্য চেপে গিয়েছিল জিদ। ম্যানেজার ডিন স্যান্ডার্সকে যখন তিনি বলেন মাঠে নামতে চান ২ নভেম্বর মিডলসবরোর বিপক্ষে ম্যাচেই, একটু দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এমনিতেই পুত্রশোকে কাতর পিতা, তার ওপর অনুশীলন করেননি কয়েক দিন! কিন্তু শেষ পর্যন্ত 'এক পিতার আকুতিতে' সাড়া দেন ম্যানেজারও। আর তারই সূত্র ধরে বুধবার ডোনকাস্টারের মাঠে অবতারণা হয়েছিল এক আবেগঘন দৃশ্যপটের।
ম্যাচের ১৪ মিনিটেই অসাধারণ এক গোল করে এই দৃশ্যপটটা তৈরি করেছেন শার্প। গোলের পর খুশিতে আত্মহারা হয়ে তুলে দেখিয়েছেন জার্সির ভেতরে পরা টি-শার্টে লেখা কয়েকটা শব্দ, 'গোলটা তোমার জন্য সোনা'। বুকভাঙা এক পিতার উচ্ছ্বাস আবেগের ঝড় তোলে গ্যালারিতে, অশ্রুও গড়িয়ে পড়ে কারো কারো চোখ বেয়ে। সে আবেগ এমনকি ছুঁয়ে গেছে রেফারি ড্যারেন ডেডম্যানকেও। নিয়ম অনুযায়ী গোলের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশে কেউ জার্সি খুলে ফেললে কিংবা জার্সি উপরে তুলে ভেতরের টি-শার্টে লেখা কিছু দেখালে পাবেন হলুদ কার্ড। বিলির বেলায় সেটা করেননি রেফারি। এর ব্যাখ্যা দিয়ে ম্যাচ শেষে বলেছেন, 'সব জায়গায় আইন চলে না।' প্রতিপক্ষ মিডলসবরো কোচ টনি মব্রোও এ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেফারিকে।
ম্যাচের আগেই অবশ্য দুই দলের খেলোয়াড়রা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন বিলির অকালপ্রয়াত ছেলের স্মরণে। প্রার্থনাও করেন কেউ কেউ। এ জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বিলি।
ফুটবল মাঠে এ ধরনের আবেগী গোল উদ্যাপন অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত মাসেই ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানসিটির মারিও বালোতেলি্ল সবার দৃষ্টি কেড়েছিলেন জার্সির নিচে পরা টি-শার্টে, 'সব সময় আমিই কেন?'_লেখাটা দেখিয়ে। সিটিজেনদের হয়ে নাম লেখানোর পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছিল এ ইতালিয়ান তরুণের নাম_কখনো সতীর্থের সঙ্গে অনুশীলনে মারামারি করে, কখনো পর্নো-তারকার সঙ্গে ডেট করে তো কখনো আবার মাফিয়া চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে! বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের ঠিক আগে বালোতেলি্লর বাড়িতে আগুন লাগায়। ইংলিশ মিডিয়ায় এ নিয়ে কম হেনস্থা হতে হয়নি তাঁকে। তাই ৬-১ গোলে জেতা ম্যাচটিতে লক্ষ্যভেদ করার পর এভাবেই উল্লাস করেছিলেন বালোতেলি্ল। এতে তাঁর ক্ষোভ কিছুটা কমলেও হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে যথারীতি। ম্যাচ শেষে অবশ্য তিনি যথারীতি ব্যাখ্যা করেছেন নিজের অবস্থান, 'সেদিন আমার দোষে বাড়িতে আগুন লাগেনি তার পরও পুরো দায়টা চাপল আমার কাঁধে। এ জন্যই এ ধরনের বার্তা। তবে রোজ রোজ এমন করব না, তাহলে তো হলুদ কার্ড দেখতে হবে প্রতি সপ্তাহেই।'
ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চেও ঘটেছে এ ধরনের ঘটনা, একেবারে বিশ্বকাপ ফাইনালেই। সর্বশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মহামূল্যবান গোলটি করার পর ইনিয়েস্তা বারবার দেখাচ্ছিলেন জার্সির নিচে পরা গেঞ্জির 'দানি জার্ক : সিয়েমরে কন নসোতরোস' লেখাটা। এর অর্থ 'দানি জার্ক, তুমি সব সময় আছ আমাদের সঙ্গে।' ইনিয়েস্তার বন্ধু এবং এস্পানিওলের এই ডিফেন্ডার ২০০৯ সালে মারা যান হার্ট অ্যাটাকে। বিশ্বকাপ ফাইনালে করা গোলটা সেই বন্ধুকেই উৎসর্গ করেছিলেন ইনিয়েস্তাকে। বেরসিক রেফারি এর পরও অবশ্য হলুদ কার্ড দেখাতে ভুল করেননি তাঁকে।
বিশ্বকাপের ফাইনালে করা সেই গোলটার পর এস্পানিওলের সাবেক অধিনায়ক আর প্রয়াত বন্ধু দানি জার্ককে যেভাবে স্মরণ করেছিলেন ইনিয়েস্তা, সেটা ভুলে যাননি সমর্থকরা। এস্পানিওলের বিপক্ষে ডিসেম্বরে কাতালান ডার্বি খেলতে যখন কর্নেলা এল পার্ত স্টেডিয়ামে তিনি, তখন তাই তাঁর সম্মানে উঠে দাঁড়িয়েছিল পুরো স্টেডিয়াম। ৫-১ গোলে ম্যাচ হেরেও তাই সেদিন এস্পানিওল সমর্থকরা চিৎকার করেছেন বার্সেলোনা মিডফিল্ডারের নাম নিয়ে।
বার্সেলোনায় ইনিয়েস্তার সতীর্থ লিওনেল মেসি এ বছরের ২৬ জানুয়ারি রেসিং সান্তানদারের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা মাচটিতে একবার লক্ষ্যভেদ করেছিলেন পেনাল্টি থেকে। গোলটা তিনি উৎসর্গ করেন মা'কে। মায়ের জন্মদিনের উপহার হিসেবে করা গোলের উদ্যাপনে টি-শার্টে লেখা, 'শুভ জন্মদিন মা' ক্যামেরার কাছে গিয়ে দেখান মেসি। এ জন্য অবশ্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখাননি, তবে ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন এটার। স্প্যানিশ লিগের ডিসিপ্লিনারি কমিটি কিন্তু এতটা উদার ছিল না। তাই মেসিকে ২৫০০ ইউরোর মতো জরিমানা করে বসে তারা! এর আগেও ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৬-২ গোলে জেতা এল ক্লাসিকোয় টি-শার্টে লেখা 'সিনড্রম এঙ্ ফ্র্যাগাইল'-এর একটা চিহ্ন দেখিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।
২০১০ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। ক্লাবের তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের উৎসবে অনেকেরই চোখ আটকে যায় ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জির ওপর। তাঁর গেঞ্জিতে আঁকা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিটা আর নিচে লেখা, 'তোমরা কি এটাও চাও?' মাতেরাজ্জির এ প্রশ্ন আসলে ছিল সিরি এ'তে ইন্টারের প্রতিদ্বন্দ্বী জুভেন্টাসের উদ্দেশ্যে। ম্যাচ পাতানোর শাস্তি হিসেবে ২০০৫-০৬ মৌসুমের ইতালিয়ান লিগ শিরোপা জুভেন্টাসের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে দেওয়া হয় ইন্টারকে। তবে রেকর্ডটা নতুন করে লেখানোর পর ওই ট্রফিটা নিজেদের কাছে রাখার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল জুভেন্টাস। মাতেরাজ্জির প্রশ্নটা আসলে ছিল তারই জবাব!
১৯৯৭ সালের মার্চে ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপে ব্রানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে লিভারপুল কিংবদন্তি রবি ফাওলার টি শার্টে কেলভিন ক্লেইনের নকল লোগো এঁকে 'সাপোর্ট দ্য ৫০০ স্যাকড ডকার্স' লেখাটা দেখান সবাইকে। এ জন্য জরিমানাও গুনতে হয়েছিল ১৪০০ পাউন্ড। জরিমানা না গুনলেও আর্সেনালের ইয়ান রাইট অবশ্য লজ্জাতেই পড়েছিলেন টি-শার্টে '১৭৯ করে দেখিয়েছি আমি' লেখাটা দেখিয়ে। একটা সময় আর্সেনালের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৮ গোলের রেকর্ডটা ছিল ক্লিফ বাস্তিনের। বোল্টনের বিপক্ষে এক গোল করে রাইট ভেবেছিলেন তাঁর গোল হয়ে গেছে ১৭৯। তবে আসলে ১৭৯ নয়, রাইটের ওই গোলটা ছিল ১৭৮ নম্বর! লজ্জাটা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, সেই ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে বাস্তিনের রেকর্ডটা ভেঙে দিয়েছিলেন রাইট! ওয়েবসাইট
ম্যাচের ১৪ মিনিটেই অসাধারণ এক গোল করে এই দৃশ্যপটটা তৈরি করেছেন শার্প। গোলের পর খুশিতে আত্মহারা হয়ে তুলে দেখিয়েছেন জার্সির ভেতরে পরা টি-শার্টে লেখা কয়েকটা শব্দ, 'গোলটা তোমার জন্য সোনা'। বুকভাঙা এক পিতার উচ্ছ্বাস আবেগের ঝড় তোলে গ্যালারিতে, অশ্রুও গড়িয়ে পড়ে কারো কারো চোখ বেয়ে। সে আবেগ এমনকি ছুঁয়ে গেছে রেফারি ড্যারেন ডেডম্যানকেও। নিয়ম অনুযায়ী গোলের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশে কেউ জার্সি খুলে ফেললে কিংবা জার্সি উপরে তুলে ভেতরের টি-শার্টে লেখা কিছু দেখালে পাবেন হলুদ কার্ড। বিলির বেলায় সেটা করেননি রেফারি। এর ব্যাখ্যা দিয়ে ম্যাচ শেষে বলেছেন, 'সব জায়গায় আইন চলে না।' প্রতিপক্ষ মিডলসবরো কোচ টনি মব্রোও এ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেফারিকে।
ম্যাচের আগেই অবশ্য দুই দলের খেলোয়াড়রা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন বিলির অকালপ্রয়াত ছেলের স্মরণে। প্রার্থনাও করেন কেউ কেউ। এ জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বিলি।
ফুটবল মাঠে এ ধরনের আবেগী গোল উদ্যাপন অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত মাসেই ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানসিটির মারিও বালোতেলি্ল সবার দৃষ্টি কেড়েছিলেন জার্সির নিচে পরা টি-শার্টে, 'সব সময় আমিই কেন?'_লেখাটা দেখিয়ে। সিটিজেনদের হয়ে নাম লেখানোর পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছিল এ ইতালিয়ান তরুণের নাম_কখনো সতীর্থের সঙ্গে অনুশীলনে মারামারি করে, কখনো পর্নো-তারকার সঙ্গে ডেট করে তো কখনো আবার মাফিয়া চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে! বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের ঠিক আগে বালোতেলি্লর বাড়িতে আগুন লাগায়। ইংলিশ মিডিয়ায় এ নিয়ে কম হেনস্থা হতে হয়নি তাঁকে। তাই ৬-১ গোলে জেতা ম্যাচটিতে লক্ষ্যভেদ করার পর এভাবেই উল্লাস করেছিলেন বালোতেলি্ল। এতে তাঁর ক্ষোভ কিছুটা কমলেও হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে যথারীতি। ম্যাচ শেষে অবশ্য তিনি যথারীতি ব্যাখ্যা করেছেন নিজের অবস্থান, 'সেদিন আমার দোষে বাড়িতে আগুন লাগেনি তার পরও পুরো দায়টা চাপল আমার কাঁধে। এ জন্যই এ ধরনের বার্তা। তবে রোজ রোজ এমন করব না, তাহলে তো হলুদ কার্ড দেখতে হবে প্রতি সপ্তাহেই।'
ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চেও ঘটেছে এ ধরনের ঘটনা, একেবারে বিশ্বকাপ ফাইনালেই। সর্বশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মহামূল্যবান গোলটি করার পর ইনিয়েস্তা বারবার দেখাচ্ছিলেন জার্সির নিচে পরা গেঞ্জির 'দানি জার্ক : সিয়েমরে কন নসোতরোস' লেখাটা। এর অর্থ 'দানি জার্ক, তুমি সব সময় আছ আমাদের সঙ্গে।' ইনিয়েস্তার বন্ধু এবং এস্পানিওলের এই ডিফেন্ডার ২০০৯ সালে মারা যান হার্ট অ্যাটাকে। বিশ্বকাপ ফাইনালে করা গোলটা সেই বন্ধুকেই উৎসর্গ করেছিলেন ইনিয়েস্তাকে। বেরসিক রেফারি এর পরও অবশ্য হলুদ কার্ড দেখাতে ভুল করেননি তাঁকে।
বিশ্বকাপের ফাইনালে করা সেই গোলটার পর এস্পানিওলের সাবেক অধিনায়ক আর প্রয়াত বন্ধু দানি জার্ককে যেভাবে স্মরণ করেছিলেন ইনিয়েস্তা, সেটা ভুলে যাননি সমর্থকরা। এস্পানিওলের বিপক্ষে ডিসেম্বরে কাতালান ডার্বি খেলতে যখন কর্নেলা এল পার্ত স্টেডিয়ামে তিনি, তখন তাই তাঁর সম্মানে উঠে দাঁড়িয়েছিল পুরো স্টেডিয়াম। ৫-১ গোলে ম্যাচ হেরেও তাই সেদিন এস্পানিওল সমর্থকরা চিৎকার করেছেন বার্সেলোনা মিডফিল্ডারের নাম নিয়ে।
বার্সেলোনায় ইনিয়েস্তার সতীর্থ লিওনেল মেসি এ বছরের ২৬ জানুয়ারি রেসিং সান্তানদারের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা মাচটিতে একবার লক্ষ্যভেদ করেছিলেন পেনাল্টি থেকে। গোলটা তিনি উৎসর্গ করেন মা'কে। মায়ের জন্মদিনের উপহার হিসেবে করা গোলের উদ্যাপনে টি-শার্টে লেখা, 'শুভ জন্মদিন মা' ক্যামেরার কাছে গিয়ে দেখান মেসি। এ জন্য অবশ্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখাননি, তবে ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন এটার। স্প্যানিশ লিগের ডিসিপ্লিনারি কমিটি কিন্তু এতটা উদার ছিল না। তাই মেসিকে ২৫০০ ইউরোর মতো জরিমানা করে বসে তারা! এর আগেও ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৬-২ গোলে জেতা এল ক্লাসিকোয় টি-শার্টে লেখা 'সিনড্রম এঙ্ ফ্র্যাগাইল'-এর একটা চিহ্ন দেখিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।
২০১০ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। ক্লাবের তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের উৎসবে অনেকেরই চোখ আটকে যায় ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জির ওপর। তাঁর গেঞ্জিতে আঁকা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিটা আর নিচে লেখা, 'তোমরা কি এটাও চাও?' মাতেরাজ্জির এ প্রশ্ন আসলে ছিল সিরি এ'তে ইন্টারের প্রতিদ্বন্দ্বী জুভেন্টাসের উদ্দেশ্যে। ম্যাচ পাতানোর শাস্তি হিসেবে ২০০৫-০৬ মৌসুমের ইতালিয়ান লিগ শিরোপা জুভেন্টাসের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে দেওয়া হয় ইন্টারকে। তবে রেকর্ডটা নতুন করে লেখানোর পর ওই ট্রফিটা নিজেদের কাছে রাখার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল জুভেন্টাস। মাতেরাজ্জির প্রশ্নটা আসলে ছিল তারই জবাব!
১৯৯৭ সালের মার্চে ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপে ব্রানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে লিভারপুল কিংবদন্তি রবি ফাওলার টি শার্টে কেলভিন ক্লেইনের নকল লোগো এঁকে 'সাপোর্ট দ্য ৫০০ স্যাকড ডকার্স' লেখাটা দেখান সবাইকে। এ জন্য জরিমানাও গুনতে হয়েছিল ১৪০০ পাউন্ড। জরিমানা না গুনলেও আর্সেনালের ইয়ান রাইট অবশ্য লজ্জাতেই পড়েছিলেন টি-শার্টে '১৭৯ করে দেখিয়েছি আমি' লেখাটা দেখিয়ে। একটা সময় আর্সেনালের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৮ গোলের রেকর্ডটা ছিল ক্লিফ বাস্তিনের। বোল্টনের বিপক্ষে এক গোল করে রাইট ভেবেছিলেন তাঁর গোল হয়ে গেছে ১৭৯। তবে আসলে ১৭৯ নয়, রাইটের ওই গোলটা ছিল ১৭৮ নম্বর! লজ্জাটা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, সেই ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে বাস্তিনের রেকর্ডটা ভেঙে দিয়েছিলেন রাইট! ওয়েবসাইট
No comments