ক্রিকেটের কলঙ্ক না কলঙ্কমুক্তির দিন!-তাঁরা তিনজন এখন জেলে
অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, জানা গিয়েছিল আগেই। অপেক্ষা ছিল শুধু শাস্তির মাত্রাটা জানার। লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট কাল জানিয়েছে, স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বাটকে জেল খাটতে হবে আড়াই বছর, তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ আসিফকে এক বছর, মোহাম্মদ আমিরকে ছয় মাস আর এ কেলেঙ্কারির নাটের গুরু বাজিকর মাজহার মাজিদকে দুই বছর আট মাস।গত বছরের ওভাল টেস্টে আলোচিত এ স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির রহস্য উন্মোচন করেছিল অধুনালুপ্ত ট্যাবলয়েড সাপ্তাহিক নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড।
ছদ্মবেশী এক সাংবাদিক মাজহার মাজিদের মাধ্যমে সালমান, আসিফ আর আমিরকে ঘুষ দিয়ে নিশ্চিত করেছিলেন ম্যাচের নির্দিষ্ট ওভারের নির্দিষ্ট বলে নো বল করা। পরে সেটা সত্যি প্রমাণিত হয়, সালমানের হোটেল রুম থেকে উদ্ধার করা হয় চিহ্নিত নম্বরযুক্ত ঘুষের টাকা। আদালতে অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছিলেন সালমান আর আসিফ, তবে আমির আগেই দোষ স্বীকার করায় তাঁকে আর বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। দীর্ঘ শুনানির পর রায় ঘোষণার দিনে সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের চার নম্বর কক্ষটি ছিল রীতিমতো জনাকীর্ণ। মিডিয়া আর আগ্রহী সাধারণ দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ আদালত কক্ষে রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক জেরেমি কুক বলেন, 'এ ঘটনাটি ক্রিকেটের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে দারুণভাবে। অপরাধের মাত্রাটা এমনই ছিল যে একমাত্র কারাদণ্ডই এর উপযুক্ত শাস্তি হতে পারত।'
সালমানের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, 'এটা পরিষ্কার যে আপনিই ছিলেন এ পরিকল্পনার হোতা। ওই নির্দিষ্ট সময়ে যেন ওই দুই বোলার বোলিং করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে পারতেন কেবল আপনিই।'
আর আসিফের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, 'যদিও আপনার কাছে ঘুষের টাকা পাওয়া যায়নি, তবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে আপনি নো বল করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।'
এ রায়ের মধ্য দিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে একটি নতুন অধ্যায়। এর আগে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ভারত-পাকিস্তান আর দক্ষিণ আফ্রিকার তিন সাবেক অধিনায়কসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের শাস্তি হলেও সে শাস্তি ছিল কেবলই ক্রিকেট থেকে নির্বাসন। এই প্রথম মাঠের অপকর্মের সূত্র ধরে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন কোনো ক্রিকেটার।
তবে এই দুঃখের দিনেও একটি সুখবর পেয়েছেন সালমান-আসিফ-আমিররা। পাকিস্তান সরকার পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক জানিয়েছেন, সরকার যাচাই করে দেখবে এ তিন ক্রিকেটার আসলেই দোষী, নাকি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছে। যদি প্রমাণিত হয় তারা নির্দোষ, তাহলে তাদের শাস্তি থেকে বাঁচাতে সম্ভাব্য সব কিছু করবে পাকিস্তান সরকার, জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান আবার সহানুভূতি জানিয়েছেন এ তিন ক্রিকেটারের পরিবারের প্রতি, তবে সে সঙ্গে তিনি বলেছেন, 'দোষী হলে ওদের শাস্তি পাওয়াই উচিত। আর এ ঘটনাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়াটাই এখন পাকিস্তান ক্রিকেটের সামনে চ্যালেঞ্জ।'
অন্য দুই সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা আর রশিদ লতিফের অবশ্য কোনো সহানুভূতি নেই তাঁদের প্রতি। রমিজ তো পরিষ্কার বলেছেন, 'আমার কোনো সহানুভূতি নেই। আমি সব সময় বলে এসেছি, দলের সবাই যখন জয়ের জন্য লড়ছে তখন যে দুয়েকজন নিজেদের বিক্রি করে দিয়ে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।'
আর পাতানো খেলার বিরুদ্ধে বরাবরের সংগ্রামী রশিদ লতিফের চাওয়া, এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আর পাকিস্তান সরকার তাদের বিরুদ্ধে কিছু করুক। ওয়েবসাইট
সালমানের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, 'এটা পরিষ্কার যে আপনিই ছিলেন এ পরিকল্পনার হোতা। ওই নির্দিষ্ট সময়ে যেন ওই দুই বোলার বোলিং করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে পারতেন কেবল আপনিই।'
আর আসিফের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, 'যদিও আপনার কাছে ঘুষের টাকা পাওয়া যায়নি, তবে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে আপনি নো বল করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।'
এ রায়ের মধ্য দিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে একটি নতুন অধ্যায়। এর আগে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ভারত-পাকিস্তান আর দক্ষিণ আফ্রিকার তিন সাবেক অধিনায়কসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের শাস্তি হলেও সে শাস্তি ছিল কেবলই ক্রিকেট থেকে নির্বাসন। এই প্রথম মাঠের অপকর্মের সূত্র ধরে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন কোনো ক্রিকেটার।
তবে এই দুঃখের দিনেও একটি সুখবর পেয়েছেন সালমান-আসিফ-আমিররা। পাকিস্তান সরকার পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক জানিয়েছেন, সরকার যাচাই করে দেখবে এ তিন ক্রিকেটার আসলেই দোষী, নাকি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছে। যদি প্রমাণিত হয় তারা নির্দোষ, তাহলে তাদের শাস্তি থেকে বাঁচাতে সম্ভাব্য সব কিছু করবে পাকিস্তান সরকার, জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান আবার সহানুভূতি জানিয়েছেন এ তিন ক্রিকেটারের পরিবারের প্রতি, তবে সে সঙ্গে তিনি বলেছেন, 'দোষী হলে ওদের শাস্তি পাওয়াই উচিত। আর এ ঘটনাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়াটাই এখন পাকিস্তান ক্রিকেটের সামনে চ্যালেঞ্জ।'
অন্য দুই সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা আর রশিদ লতিফের অবশ্য কোনো সহানুভূতি নেই তাঁদের প্রতি। রমিজ তো পরিষ্কার বলেছেন, 'আমার কোনো সহানুভূতি নেই। আমি সব সময় বলে এসেছি, দলের সবাই যখন জয়ের জন্য লড়ছে তখন যে দুয়েকজন নিজেদের বিক্রি করে দিয়ে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।'
আর পাতানো খেলার বিরুদ্ধে বরাবরের সংগ্রামী রশিদ লতিফের চাওয়া, এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আর পাকিস্তান সরকার তাদের বিরুদ্ধে কিছু করুক। ওয়েবসাইট
No comments