দিক নির্ণয়ে সানস্টোন
সানস্টোন বা আইসল্যান্ড স্পার, এটা আসলে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের স্ফটিক। অতিদূর থেকে আসা খুব ক্ষীণ আলোকরশ্মির প্রতিফলন ঘটানোর আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে এ বস্তুটির। দিকদর্শন যন্ত্র (কম্পাস) আবিষ্কারের আগে ইংল্যান্ড ও ইউরোপের নৌ-অভিযাত্রী বা জলদস্যুরা সাগর-মহাসাগরে থাকাকালীন মেঘ ও কুয়াশাচ্ছন্ন দিন বা নিকষ কালো অন্ধকার রাতে এই সানস্টোনের সাহায্যে সূর্যের অবস্থান নির্ণয় করতেন। তাদের এই দিক নির্ণয়ের কাজ সর্বোচ্চ মাত্রায় নির্ভুল হতো। তাই ওই নির্ভীক নৌ-অভিযাত্রীদের পক্ষে সম্ভব হয়েছিল মহাসাগরের হাজার হাজার কিলোমিটার জলরাশি পাড়ি দিয়ে গ্রিনল্যান্ড এবং উত্তর আমেরিকার উপকূলে পেঁৗছানো।
সেটা ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আমেরিকার সন্ধান পাওয়ার আগেই। তখনকার নৌ-অভিযানের ওপর সম্প্রতি চালানো এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের রয়েল
সোসাইটি প্রকাশিত গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানবিষয়ক এক সাময়িকীতে এ গবেষণা নিবন্ধটি ছাপা হয়েছে। খবর দ্য মেইল অনলাইনের।
আন্তর্জাতিক গবেষকরা ফ্রান্সের ব্রিট্যানি এলাকায় অবস্থিত রেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর গ্যা রুপার্সের নেতৃত্বে মধ্যযুগের ইউরোপীয় নৌ-অভিযাত্রীদের সমুদ্রযাত্রার ওপর সম্প্রতি গবেষণা চালিয়েছেন। এতে দেখা গেছে, মানচিত্র, পূর্বঅভিজ্ঞতা, স্রোতের গতিমুখ এবং ঢেউয়ের রকমফের দেখেশুনে সে সময়ের নৌ-অভিযাত্রী ও জলদস্যুরা সাগর ও মহাসাগর পাড়ি দিত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে_ মেঘ বা কুয়াশাচ্ছন্ন দিন বা অন্ধকার রাতে তারা কীভাবে দিক নির্ণর্য় করত! কিংবা মহাসাগর বক্ষে তারা যখন উত্তর অক্ষাংশে (যেখানে আহ্নিক ও বার্ষিক গতির কারণে দীর্ঘ সময় সূর্যের আলো মিলত না) অবস্থান করত তখন কী করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেত? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলেছে এ গবেষণায়। এলিজাবিয়েথ যুগে (১৫৯২ সাল) আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজে সানস্টোন বা আইসল্যান্ড স্পারের (ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের স্ফটিক) সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই সানস্টোনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গবেষকরা জানান, এ স্ফটিকের মধ্য দিয়ে সূর্যালোকের দ্বিমাত্রিক কৌণিক প্রতিফলন হয়, তা সূর্য তখন মহাকাশের যেখানেই লুকানো অবস্থায় থাকুক না কেন। আলোকরশ্মির এ কৌণিক প্রতিফলন হিসাব করে তখনকার সাগর অভিযাত্রীরা ভূপৃষ্ঠে তাদের গন্তব্যস্থলের অবস্থান ও দিক ঠিক করত এবং তা প্রায় সর্বাংশেই নির্ভুল হতো। এ সানস্টোনের ওপর তাদের এতই আস্থা ছিল যে, কম্পাস আবিষ্কারের পরও তারা এই স্ফটিকটি হাতের কাছে রাখত। গবেষকরা পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছেন, সানস্টোন স্ফটিকের আলোকরশ্মি প্রতিফলনকে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের অঙ্কে হিসাব করে দিক নির্ণয় এবং তুলনামূলক আধুনিক চৌম্বকযন্ত্র কম্পাসের সাহায্যে দিক নির্ণয় প্রায় কাছাকাছি সঠিক ফল দেয়। এতে বোঝা যায়, সে যুগের নৌ-অভিযাত্রীরা সানস্টোনের ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যস্থলে পেঁৗছতে পারত।
সোসাইটি প্রকাশিত গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানবিষয়ক এক সাময়িকীতে এ গবেষণা নিবন্ধটি ছাপা হয়েছে। খবর দ্য মেইল অনলাইনের।
আন্তর্জাতিক গবেষকরা ফ্রান্সের ব্রিট্যানি এলাকায় অবস্থিত রেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর গ্যা রুপার্সের নেতৃত্বে মধ্যযুগের ইউরোপীয় নৌ-অভিযাত্রীদের সমুদ্রযাত্রার ওপর সম্প্রতি গবেষণা চালিয়েছেন। এতে দেখা গেছে, মানচিত্র, পূর্বঅভিজ্ঞতা, স্রোতের গতিমুখ এবং ঢেউয়ের রকমফের দেখেশুনে সে সময়ের নৌ-অভিযাত্রী ও জলদস্যুরা সাগর ও মহাসাগর পাড়ি দিত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে_ মেঘ বা কুয়াশাচ্ছন্ন দিন বা অন্ধকার রাতে তারা কীভাবে দিক নির্ণর্য় করত! কিংবা মহাসাগর বক্ষে তারা যখন উত্তর অক্ষাংশে (যেখানে আহ্নিক ও বার্ষিক গতির কারণে দীর্ঘ সময় সূর্যের আলো মিলত না) অবস্থান করত তখন কী করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেত? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলেছে এ গবেষণায়। এলিজাবিয়েথ যুগে (১৫৯২ সাল) আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজে সানস্টোন বা আইসল্যান্ড স্পারের (ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের স্ফটিক) সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই সানস্টোনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গবেষকরা জানান, এ স্ফটিকের মধ্য দিয়ে সূর্যালোকের দ্বিমাত্রিক কৌণিক প্রতিফলন হয়, তা সূর্য তখন মহাকাশের যেখানেই লুকানো অবস্থায় থাকুক না কেন। আলোকরশ্মির এ কৌণিক প্রতিফলন হিসাব করে তখনকার সাগর অভিযাত্রীরা ভূপৃষ্ঠে তাদের গন্তব্যস্থলের অবস্থান ও দিক ঠিক করত এবং তা প্রায় সর্বাংশেই নির্ভুল হতো। এ সানস্টোনের ওপর তাদের এতই আস্থা ছিল যে, কম্পাস আবিষ্কারের পরও তারা এই স্ফটিকটি হাতের কাছে রাখত। গবেষকরা পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছেন, সানস্টোন স্ফটিকের আলোকরশ্মি প্রতিফলনকে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের অঙ্কে হিসাব করে দিক নির্ণয় এবং তুলনামূলক আধুনিক চৌম্বকযন্ত্র কম্পাসের সাহায্যে দিক নির্ণয় প্রায় কাছাকাছি সঠিক ফল দেয়। এতে বোঝা যায়, সে যুগের নৌ-অভিযাত্রীরা সানস্টোনের ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যস্থলে পেঁৗছতে পারত।
No comments