সরকারের ব্যাংক ঋণ ৪ মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকা
সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়ছেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অর্থনীতিবিদদের সতর্কতার পরও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অতিমাত্রায় ঋণ গ্রহণ করছে সরকার। নানা শঙ্কার পরও অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে চার মাসে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে তারা। এতে প্রতি কার্যদিবসে ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৮৯ কোটি টাকা। মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৪২ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে এ খাতে সরকারের ঋণ ছিল মাত্র এক হাজার ১২৯ কোটি টাকা। এভাবে ঋণ গ্রহণের ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। যে কোনো মূল্যে ব্যাংক ব্যবস্থায় নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান সমকালকে বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের অতিরিক্ত ঋণ মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দেয়। এ অবস্থা বেসরকারি খাতে ঋণ প্রাপ্তিকেও বাধাগ্রস্ত করে। বেসরকারি খাতে ঋণ বাধাগ্রস্ত হলে উন্নয়ন থমকে যায়। তাই যে কোনো মূল্যে ব্যাংক ঋণের ওপর সরকারের নির্ভরতা কমাতে হবে। এজন্য সরকারের অনুন্নয়ন ব্যয় কমানো, রাজস্ব ও বৈদেশিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে সরকার ১৪ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সাপ্তাহিক, ঈদ, পুজাসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ৪৪ দিন ছুটি ছিল। বাকি ৭৯ কার্যদিবসে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রতি কার্যদিবসে ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৮৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এত অল্প সময়ে এর আগে আর কখনও এভাবে সরকারের ঋণগ্রহণের নজির নেই। সরকারের নেওয়া এসব ঋণের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোগান দিয়েছে ৭ হাজার ৮৮৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের ১২ মাসে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের এভাবে ঋণগ্রহণ উদ্বেগজনক। কেননা সরকারের ঋণ জোগান দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতে ঋণ দিতে পারে না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরবরাহকৃত ঋণের বেশিরভাগ নতুন নোট ইস্যু করে জোগান দেয়া হয়। তাই ব্যাংক থেকে এভাবে ঋণ না নিয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি, রেমিট্যান্স আহরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সাহায্য বাড়ানো প্রয়োজন। তা না হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে তার আশঙ্কা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, বৈদেশিক মুদ্রার আহরণ কমার ফলে টানা ২২ মাস পর গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে আসে। যদিও অক্টোবর শেষে রিজার্ভ আবার এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এ হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কম। গত বছরের অক্টোবরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল এক হাজার ১১৬ কোটি ডলার। চলতি বছরে যা এক হাজার ৩৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে এ সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩৫৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে একই সময়ের তুলনায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪২ কোটি ডলার বা ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া বৈদেশিক বিনিয়োগ, সাহায্য এবং সরকারের রাজস্ব আয় আশানুরূপ না হওয়ায় সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এভাবে ঋণ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এভাবে ঋণ গ্রহণ না করতে গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারের ব্যাংক ঋণ নিয়ে সতর্ক করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে সরকার ১৪ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সাপ্তাহিক, ঈদ, পুজাসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ৪৪ দিন ছুটি ছিল। বাকি ৭৯ কার্যদিবসে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রতি কার্যদিবসে ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৮৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এত অল্প সময়ে এর আগে আর কখনও এভাবে সরকারের ঋণগ্রহণের নজির নেই। সরকারের নেওয়া এসব ঋণের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোগান দিয়েছে ৭ হাজার ৮৮৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের ১২ মাসে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের এভাবে ঋণগ্রহণ উদ্বেগজনক। কেননা সরকারের ঋণ জোগান দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতে ঋণ দিতে পারে না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরবরাহকৃত ঋণের বেশিরভাগ নতুন নোট ইস্যু করে জোগান দেয়া হয়। তাই ব্যাংক থেকে এভাবে ঋণ না নিয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি, রেমিট্যান্স আহরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সাহায্য বাড়ানো প্রয়োজন। তা না হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে তার আশঙ্কা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, বৈদেশিক মুদ্রার আহরণ কমার ফলে টানা ২২ মাস পর গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে আসে। যদিও অক্টোবর শেষে রিজার্ভ আবার এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এ হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কম। গত বছরের অক্টোবরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল এক হাজার ১১৬ কোটি ডলার। চলতি বছরে যা এক হাজার ৩৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে এ সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩৫৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে একই সময়ের তুলনায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪২ কোটি ডলার বা ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া বৈদেশিক বিনিয়োগ, সাহায্য এবং সরকারের রাজস্ব আয় আশানুরূপ না হওয়ায় সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এভাবে ঋণ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এভাবে ঋণ গ্রহণ না করতে গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারের ব্যাংক ঋণ নিয়ে সতর্ক করা হয়।
No comments