বাড্ডায় নাসু বাহিনীর হামলা বসুমতীর বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর বাড্ডার ভাটারার সোলমাইদ এলাকায় বসুমতী আবাসিক প্রকল্পের মালিক (কথিত) নাসু বাহিনীর তাণ্ডব চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নাসুসহ তাঁর সন্ত্রাসীরা মো. ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির জমি জোরপূর্বক দখল করতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় একাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সময় ব্যাপক বোমাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটও চলে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাসু বাহিনীর তাণ্ডবে বর্তমানে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় জমির মালিক গতকাল রাতে বাড্ডা থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১২।
বাড্ডা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, এ ব্যাপারে ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তি থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশ নাসুকে খুঁজছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হীরাঝিল প্রপার্টিজের বসুমতি আবাসিক প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসু বাহিনীর প্রধান নাসির উদ্দিন নাসুর নেতৃত্বে এ হামলা হয়। এ সময় গোটা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বোমার বিকট শব্দে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত বকুল নামের একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মামলার বাদী মো. ইব্রাহিম এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বাড্ডা থানাধীন ভাটারা মৌজায় তাঁর ১৪ কাঠা জমি রয়েছে। তিনি নুরুল হক ও আবুল ফজল নামে দুজনের কাছ থেকে ১৯৯০ সালে এ জমি কেনেন। বর্তমানে জমির ভোগদখলও তাঁর। ওই জমির চারপাশে দেয়ালের বাউন্ডারিও আছে। কিন্তু এ এলাকার কথিত নামসর্বস্ব সাইনবোর্ডধারী বসুমতি আবাসিক প্রকল্পের মালিক নাসির উদ্দিন নাসুসহ সোহরাওয়ার্দী সুরু, জালাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিনসহ ৩০-৪০ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁর বাউন্ডারি দেয়ালের একটি অংশ ভেঙে জোরপূর্বক দখল করার জন্য ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা প্লটের ভেতরে রাখা রড, সিমেন্ট এবং অন্যান্য জিনিসসহ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বাধা দিতে গেলে ইব্রাহিমের লোকজনকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে নাসু বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক বোমাবাজি করলে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। নাসুসহ বেশ কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
ইব্রাহিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ফজরের আজানের পরপরই ৭৪ মামলার আসামি নাসুসহ তাঁর অপর তিন ভাই সোহরাওয়ার্দী, কামাল ও ঝালুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। তারা দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্লটের ভেতরে অবস্থানকারী কেয়ারটেকার বকুলসহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায়। নাসুর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা সিমেন্ট, রড ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর দেওয়া হলে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছায়। তারা তাঁর ওই ১৪ কাঠার প্লট দখল করতেই অস্ত্রশস্ত্রসহ এসেছিল বলে দাবি করেন ইব্রাহিম।
সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোর করে নাসু অতীতেও বহু মানুষের বসতবাড়ি দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের আশঙ্কা, এসব সন্ত্রাসী আবারও যেকোনো সময় এলাকার যেকোনো লোকের বসতবাড়িতে হামলা চালাতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই হীরাঝিল প্রপার্টিজের বসুমতি প্রকল্প এখন নাসু বাহিনীর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। নাসু পেশাদার সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারীসহ নানা ধরনের অপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। অপরাধীদের হাতে অবৈধ অস্ত্র তুলে দিয়ে জমি দখলসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছেন নাসু। তাঁর ফাঁদে পড়ে সারা জীবনের সঞ্চয় হারিয়ে অসংখ্য লোক পথে বসেছেন। টাকা দিয়ে জমি কেনার পর দখল চাইতে গিয়ে নাসুর সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বহু লোক। এ জন্য নাসির উদ্দিন নাসু অসংখ্যবার কারাভোগও করেছেন। প্রতারণার অভিযোগে এক-এগারোর পর নাসুকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে নাসু অন্তত ১০ বার কারাগারে গেছেন। বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর নাসু আবারও প্রকাশ্যে এসে সন্ত্রাসী তৎপরতাসহ সাধারণ মানুষের জমি আর বসতবাড়ি দখলের মহোৎসব শুরু করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হীরাঝিল প্রপার্টিজের বসুমতি আবাসিক প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসু বাহিনীর প্রধান নাসির উদ্দিন নাসুর নেতৃত্বে এ হামলা হয়। এ সময় গোটা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বোমার বিকট শব্দে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত বকুল নামের একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মামলার বাদী মো. ইব্রাহিম এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বাড্ডা থানাধীন ভাটারা মৌজায় তাঁর ১৪ কাঠা জমি রয়েছে। তিনি নুরুল হক ও আবুল ফজল নামে দুজনের কাছ থেকে ১৯৯০ সালে এ জমি কেনেন। বর্তমানে জমির ভোগদখলও তাঁর। ওই জমির চারপাশে দেয়ালের বাউন্ডারিও আছে। কিন্তু এ এলাকার কথিত নামসর্বস্ব সাইনবোর্ডধারী বসুমতি আবাসিক প্রকল্পের মালিক নাসির উদ্দিন নাসুসহ সোহরাওয়ার্দী সুরু, জালাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিনসহ ৩০-৪০ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁর বাউন্ডারি দেয়ালের একটি অংশ ভেঙে জোরপূর্বক দখল করার জন্য ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা প্লটের ভেতরে রাখা রড, সিমেন্ট এবং অন্যান্য জিনিসসহ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বাধা দিতে গেলে ইব্রাহিমের লোকজনকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে নাসু বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক বোমাবাজি করলে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। নাসুসহ বেশ কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
ইব্রাহিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ফজরের আজানের পরপরই ৭৪ মামলার আসামি নাসুসহ তাঁর অপর তিন ভাই সোহরাওয়ার্দী, কামাল ও ঝালুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। তারা দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্লটের ভেতরে অবস্থানকারী কেয়ারটেকার বকুলসহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায়। নাসুর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা সিমেন্ট, রড ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর দেওয়া হলে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছায়। তারা তাঁর ওই ১৪ কাঠার প্লট দখল করতেই অস্ত্রশস্ত্রসহ এসেছিল বলে দাবি করেন ইব্রাহিম।
সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোর করে নাসু অতীতেও বহু মানুষের বসতবাড়ি দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের আশঙ্কা, এসব সন্ত্রাসী আবারও যেকোনো সময় এলাকার যেকোনো লোকের বসতবাড়িতে হামলা চালাতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই হীরাঝিল প্রপার্টিজের বসুমতি প্রকল্প এখন নাসু বাহিনীর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। নাসু পেশাদার সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারীসহ নানা ধরনের অপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। অপরাধীদের হাতে অবৈধ অস্ত্র তুলে দিয়ে জমি দখলসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছেন নাসু। তাঁর ফাঁদে পড়ে সারা জীবনের সঞ্চয় হারিয়ে অসংখ্য লোক পথে বসেছেন। টাকা দিয়ে জমি কেনার পর দখল চাইতে গিয়ে নাসুর সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বহু লোক। এ জন্য নাসির উদ্দিন নাসু অসংখ্যবার কারাভোগও করেছেন। প্রতারণার অভিযোগে এক-এগারোর পর নাসুকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে নাসু অন্তত ১০ বার কারাগারে গেছেন। বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর নাসু আবারও প্রকাশ্যে এসে সন্ত্রাসী তৎপরতাসহ সাধারণ মানুষের জমি আর বসতবাড়ি দখলের মহোৎসব শুরু করেছেন।
No comments