এসএসসির ফরম পূরণে 'গলাকাটা' ফি আদায় by অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ক্ষেত্রে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্কুলে 'গলাকাটা' ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা বোর্ড এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করেছে সর্বোচ্চ এক হাজার ২১৫ টাকা। আর মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগে এই ফি এক হাজার ১২৫ টাকা। কিন্তু অনেক স্কুলই আড়াই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ছয় হাজার টাকা এবং একটি স্কুল ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক কোচিং, সেশন ফি ইত্যাদির নামে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলে কোনো শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে ঘণ্টায় ১৭৫ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এ আদেশ পাত্তাই দিচ্ছে না।
এভাবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও অনেকে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নীরবে তা সহ্য করছেন। তবে অভিভাবক নেতারা এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। জানতে চাইলে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসির ফরম পূরণের সময় গলাকাটা ফি নেওয়া হচ্ছে। এ টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি নেই।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) এস এম গোলাম ফারুক বলেন, ফরম পূরণের বিষয়ে যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটা অনুসরণ করা উচিত। তিনি বলেন, নিয়মের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান বেশি টাকা আদায় করতে পারে না। এর পরও যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, 'গতকাল শিক্ষা বোর্ডে বেশ কয়েকজন অভিভাবক ফরম পূরণে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলেছি; কিন্তু কেউ জানাচ্ছে না।' তিনি বলেন, ফরম পূরণে বেশি টাকা নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে ঈদের পর তদন্ত শুরু হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তাঁর মতে, কয়েকটি স্কুলের পাঠদানের অনুমতি বন্ধ করে দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে আর বেশি টাকা নিতে পারবে না। এ ছাড়া বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন বলে তিনি জানান।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে এখন দেশের স্কুলগুলোতে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলম্ব ফি ছাড়া ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে।
বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফরম পূরণের জন্য প্রতি বিষয়ের প্রতিটি পত্রের ফি ৬০ টাকা করে ১২টি (চতুর্থ বিষয়সহ) পত্রের জন্য ৭২০ টাকা, প্রতিটি ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য ৩০ টাকা করে তিনটির জন্য ৯০ টাকা, ট্রান্সক্রিপ্টের জন্য ৩৫ টাকা, মূল সনদের জন্য জন্য ১০০ টাকা, স্কাউটসের জন্য ১৫ টাকা এবং শিক্ষা সপ্তাহের জন্য পাঁচ টাকা ও কেন্দ্র ফি ২৫০ টাকা। এ হিসাবে বিজ্ঞান বিভাগের একজন পরিক্ষার্থীকে দিতে হবে এক হাজার ২১৫ টাকা। ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিকের জন্য ৯০ টাকা দিতে হবে না।
অভিযোগ উঠেছে, দেশের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ফরম পূরণের জন্য মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে সাত হাজার টাকা, নারিন্দা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন হাজার ২৭৫, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুই হাজার ৬০০, মোহাম্মদপুর গার্লস হাই স্কুলে নেওয়া হচ্ছে ছয় হাজার, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে ছয় হাজার ৪০০, আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার, মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাত হাজারের কিছু বেশি, উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছয় হাজার ২০০, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় তিন হাজার, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার, মতিঝিল মডেল হাই স্কুলে চার হাজারের কিছু বেশি, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন হাজার এবং কাকলি উচ্চ বিদ্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে ১৩ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম বলেন, বোর্ড ফির পাশাপাশি তাঁদের স্কুলে সেশন ফি, কোচিং ফি ও বেতনের টাকা ধরা হয়েছে। ঢাকার উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া বলেন, তাঁর প্র্রতিষ্ঠানে ফরম পূরণে নেওয়া হচ্ছে ছয় হাজার ২০০ টাকা। এই স্কুলে সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০১ জন।
মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রণজিৎ কুমার নাথ বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগে চার হাজার ২৮৫ এবং বাণিজ্য বিভাগে চার হাজার ১৯০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ টাকার মধ্যে বোর্ড ফির পাশাপাশি স্কুলের বেতন, কোচিংসহ অন্যান্য ফি রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন অভিভাবক জানান, রাজধানীর কাকলি উচ্চ বিদ্যালয়ে ফরম পূরণে ১৩ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
এভাবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও অনেকে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নীরবে তা সহ্য করছেন। তবে অভিভাবক নেতারা এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। জানতে চাইলে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসির ফরম পূরণের সময় গলাকাটা ফি নেওয়া হচ্ছে। এ টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি নেই।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) এস এম গোলাম ফারুক বলেন, ফরম পূরণের বিষয়ে যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটা অনুসরণ করা উচিত। তিনি বলেন, নিয়মের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান বেশি টাকা আদায় করতে পারে না। এর পরও যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, 'গতকাল শিক্ষা বোর্ডে বেশ কয়েকজন অভিভাবক ফরম পূরণে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলেছি; কিন্তু কেউ জানাচ্ছে না।' তিনি বলেন, ফরম পূরণে বেশি টাকা নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে ঈদের পর তদন্ত শুরু হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তাঁর মতে, কয়েকটি স্কুলের পাঠদানের অনুমতি বন্ধ করে দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে আর বেশি টাকা নিতে পারবে না। এ ছাড়া বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন বলে তিনি জানান।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে এখন দেশের স্কুলগুলোতে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলম্ব ফি ছাড়া ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে।
বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফরম পূরণের জন্য প্রতি বিষয়ের প্রতিটি পত্রের ফি ৬০ টাকা করে ১২টি (চতুর্থ বিষয়সহ) পত্রের জন্য ৭২০ টাকা, প্রতিটি ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য ৩০ টাকা করে তিনটির জন্য ৯০ টাকা, ট্রান্সক্রিপ্টের জন্য ৩৫ টাকা, মূল সনদের জন্য জন্য ১০০ টাকা, স্কাউটসের জন্য ১৫ টাকা এবং শিক্ষা সপ্তাহের জন্য পাঁচ টাকা ও কেন্দ্র ফি ২৫০ টাকা। এ হিসাবে বিজ্ঞান বিভাগের একজন পরিক্ষার্থীকে দিতে হবে এক হাজার ২১৫ টাকা। ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিকের জন্য ৯০ টাকা দিতে হবে না।
অভিযোগ উঠেছে, দেশের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ফরম পূরণের জন্য মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে সাত হাজার টাকা, নারিন্দা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন হাজার ২৭৫, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুই হাজার ৬০০, মোহাম্মদপুর গার্লস হাই স্কুলে নেওয়া হচ্ছে ছয় হাজার, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে ছয় হাজার ৪০০, আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার, মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাত হাজারের কিছু বেশি, উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছয় হাজার ২০০, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় তিন হাজার, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার, মতিঝিল মডেল হাই স্কুলে চার হাজারের কিছু বেশি, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন হাজার এবং কাকলি উচ্চ বিদ্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে ১৩ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম বলেন, বোর্ড ফির পাশাপাশি তাঁদের স্কুলে সেশন ফি, কোচিং ফি ও বেতনের টাকা ধরা হয়েছে। ঢাকার উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া বলেন, তাঁর প্র্রতিষ্ঠানে ফরম পূরণে নেওয়া হচ্ছে ছয় হাজার ২০০ টাকা। এই স্কুলে সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০১ জন।
মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রণজিৎ কুমার নাথ বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগে চার হাজার ২৮৫ এবং বাণিজ্য বিভাগে চার হাজার ১৯০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ টাকার মধ্যে বোর্ড ফির পাশাপাশি স্কুলের বেতন, কোচিংসহ অন্যান্য ফি রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন অভিভাবক জানান, রাজধানীর কাকলি উচ্চ বিদ্যালয়ে ফরম পূরণে ১৩ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
No comments