লিবিয়া যুদ্ধাপরাধ-ন্যাটোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করবে আইসিসি
ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। লিবিয়ায় অভিযানের সময় ন্যাটো বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে অভিযোগ ওঠায় এ উদ্যোগ নিয়েছেন আইসিসি।আইসিসির প্রধান আইনজীবী লুই মরেনো-ওকাম্পো গত মঙ্গলবার জাতিসংঘে বলেন, মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লড়াইয়ে যুদ্ধের আইন ভাঙার অভিযোগে বিদ্রোহী সেনা ও ক্ষমতাসীন প্রশাসনের বাহিনীর পাশাপাশি ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে।ওকাম্পো বলেন, গাদ্দাফি ও তাঁর স্বজনদের বিরুদ্ধে বেসামরিক লিবীয়দের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
পাশাপাশি ন্যাটো জোট ও বর্তমানে ক্ষমতাসীন জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগও তাঁদের বিবেচনায় রয়েছে। এসব অভিযোগ 'নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা' করা হবে।
অভিযানের শেষ দিনগুলোতে ন্যাটোর বিমান হামলায় ৮৫ বেসামরিক লিবীয় নিহত হয় বলে গাদ্দাফি প্রশাসন অভিযোগ করে। জেনারেল খালেক হেমিদি ব্রাসেলসের একটি দেওয়ানি আদালতে অভিযোগ করেন, সুরমান শহরে গত জুনে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান নিহত হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে ওকাম্পো জানান, তাঁদের কাছে খবর আছে, গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম ভাড়াটে সেনাদের সহায়তায় লিবিয়া থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি সাইফ আইসিসির কাছে আত্মসমর্পণ ও এর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ওকাম্পো এ প্রসঙ্গে বলেন, সাইফ দোষী সাব্যস্ত হলেও বিচারকের কাছে তাঁকে লিবিয়ায় ফেরত না পাঠানোর অনুরোধ জানাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিচারক তাঁকে অন্য কোনো দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ।
অভিযানের শেষ দিনগুলোতে ন্যাটোর বিমান হামলায় ৮৫ বেসামরিক লিবীয় নিহত হয় বলে গাদ্দাফি প্রশাসন অভিযোগ করে। জেনারেল খালেক হেমিদি ব্রাসেলসের একটি দেওয়ানি আদালতে অভিযোগ করেন, সুরমান শহরে গত জুনে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান নিহত হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে ওকাম্পো জানান, তাঁদের কাছে খবর আছে, গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম ভাড়াটে সেনাদের সহায়তায় লিবিয়া থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি সাইফ আইসিসির কাছে আত্মসমর্পণ ও এর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ওকাম্পো এ প্রসঙ্গে বলেন, সাইফ দোষী সাব্যস্ত হলেও বিচারকের কাছে তাঁকে লিবিয়ায় ফেরত না পাঠানোর অনুরোধ জানাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিচারক তাঁকে অন্য কোনো দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ।
No comments