পতনের মুখে গ্রিস সরকার

তনের দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছেছে গ্রিস সরকার। অব্যাহত ঋণ সংকট কাটাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থনীতি পুনরুদ্ধার তহবিল (বেইলআউট) প্যাকেজ গ্রহণের ব্যাপারে গণভোট পরিকল্পনায় নিজ দলে বিরোধিতা বাড়তে থাকায় এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে নিজ দলে জোর দাবি ওঠা সত্ত্বেও পদত্যাগ করবেন না বলে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দু। খবর আলজাজিরা ও বিবিসি অনলাইনের।আজ শুক্রবার আস্থা ভোটের সম্মুখীন হওয়ার কথা রয়েছে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রুর। তিনি নিশ্চিত পরাজয়ের দিকেই এগোচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সরকার টিকবে বলে আমি মনে করি না_ এমনই মন্তব্য করেছেন জনমত যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান এমলসিওর মহাপরিচালক কোস্টাস পানাগোপোলাস । বুধবার পাপান্দ্রুর গণভোট পরিকল্পনায় মন্ত্রিসভা সমর্থন দিলেও পরে জার্মানি এবং ফ্রান্সের কড়া হুশিয়ারির পর এখন অনেকেই গণভোটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। জার্মান ও ফরাসি কর্মকর্তারা বলেছেন, গণভোটে ব্যর্থ হলে গ্রিসকে ইউরো জোন থেকে বের করে দেওয়া হবে। এর পরপরই পাপান্দ্রুর বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী এভাঙ্গেলোস ভেনিজেলোস। একের পর এক বিরোধিতার মুখে আস্থা ভোটের আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছেন পাপান্দ্রু।
শেষমেশ সবাই তার বিপক্ষে চলে গেলে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হতে পারে। ঋণ সংকট কাটাতে গত সপ্তাহে ইইউ গ্রিসকে দ্বিতীয় দফায় ১৩০ বিলিয়ন ইউরো বেইলআউট প্যাকেজ মঞ্জুর করতে রাজি হয়। তবে এ তহবিল নেওয়ার জন্য গ্রিসকে নতুন করে কঠোর ব্যয় সংকোচন পদক্ষেপ নিতে হবে।

এর আগের কয়েক দফা ব্যয় সংকোচন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে আছে জনগণ। সে কারণেই এবার ব্যয় সংকোচনের শর্তে বেইলআউট প্যাকেজ নেওয়ার আগে পাপান্দ্রু এ বিষয়ে গণভোটের উদ্যোগ নেন। কিন্তু এরপর মঙ্গলবার নিজ দলেই বিরোধিতার শিকার হয়ে পদত্যাগের চাপে পড়েন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.