চার ঝুঁকিতে অর্থনীতি অস্থিতিশীল : যোগ্যতার অভাবে সরকার বৈদেশিক ঋণ আনতে পারছে না : সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ডিসটিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা, ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক লেনদেনে তীব্র চাপের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে ঘনায়মান মন্দা দেশের অর্থনীতিকে অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দ্বিতীয় দফা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব সামাল দেয়া খুব সহজ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনীতি যে জটিল সময়ের মধ্যে প্রবেশ করেছে তা স্বীকার করে আমলে না নেয়া হলে অর্থনৈতিক এ অস্থিতিশীলতার সমাধান হবে না।
বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিরসনে নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করে ভর্তুকি যৌক্তিকিকীকরণের পাশাপাশি বৈদেশিক সাহায্যের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, গত অর্থবছরে রফতানি খাত এবং রাজস্ব আদায়ে ভালো অবস্থা দেখা গেলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ ছিল প্রবল। চলতি অর্থবছরে এসে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে তেমন গুণগত পরিবর্তন আসেনি। কর-বহিভূত আয়ও বাড়েনি। উপরন্তু বৈদেশিক ঋণ কমেছে এবং বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ ঘনীভত হয়ে উঠেছে। তাছাড়া পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ড. দেবপ্রিয় বলেন, অর্থনীতিতে বর্তমানে চারটি ঝুঁকি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় টানাপড়েন, অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক লেনদেনের ওপর তীব্র চাপ। এ ঝুঁকিগুলো চলতি অর্থবছরের শুরুতেও ছিল। এখন তা আরও ঘনীভূত হয়ে উঠেছে। ঝুঁকি মোকাবিলা করতে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করার পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ আনতে সরকারকে আরও গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দেন ড. দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, সরকার বলেছিল ২০১৪ সালের মধ্যে কুইক রেন্টাল থেকে সরে আসবে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কুইক পাওয়ার প্লান্ট থেকে সরে আসার জন্য যে পরিমাণ স্থায়ী পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করা দরকার তার নজির দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু এ খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকির কারণে দেশের গোটা অর্থনীতি চাপের মুখে পড়ে যাচ্ছে। ড. দেবপ্রিয় বলেন, জ্বালানি তেলে যে ভর্তুকি বর্তমানে সরকার দিচ্ছে তা সবসময় দেয়া সম্ভব হবে না। এ ভর্তুকি দিতে গিয়ে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের দেশে তেলের দাম কম থাকায় তা পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ড. দেবপ্রিয় বলেন, এ অবস্থায় আমাদের দেশে তেলের দাম অন্তত পার্শ্ববর্তী দেশের সমান হওয়া উচিত। আমাদের দেশে তেলের দাম ভারতের তুলনায় ১০ টাকা কম আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশেও লিটারপ্রতি তেলের দাম ১০ টাকা বাড়ানো যেতে পারে। তবে তা একবারে বাড়ানো ঠিক হবে না। ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে যেন তেলের নতুন মূল্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্বিতীয় দফা মন্দার পূর্বাভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমেরিকাতে বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে। ইউরোপের ঋণ সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠছে। সুনামি এবং ভূমিকম্প জাপানকে বেশ দুর্বল করে ফেলছে। তাছাড়া ভারত, চীন এবং ব্রাজিল যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই তুলনায় উন্নত দেশগুলো এগিয়ে যেতে পারছে না। বিশ্ব বাণিজ্য অনেকটা শ্লথ হয়ে আসছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর পুঁজি উন্নত দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির এ অবস্থায় বাংলাদেশ চার দিক থেকে ঝুঁকির মুখে উল্লেখ করেন এ অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এ ঝুঁকিগুলো হলো বৈদেশিক ঋণ কমে আসার প্রবণতা, রেমিট্যান্স আয় কমে আসা, বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে আসা এবং রফতানি কমে আসা। যদি এ খাতগুলোতে বিশ্ব মন্দার প্রভাব পড়ে তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে কারণ এবার মন্দাকালীন প্যাকেজে খরচ করার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ সরকারের কাছে নেই। তাছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সরকার যদি বেশি খরচ করে তবে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই দ্বিতীয় দফা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষা পাওয়া সরকারের জন্য খুব একটা সহজ হবে না। অনেক বেশি সতর্কতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, বর্তমানে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অনেক ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। এবার সরকার ভর্তুকি অর্থায়নের ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণের ওপর বেশি নির্ভর করার পরিকল্পনা করলেও বৈদেশিক ঋণ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। যোগ্যতার অভাবে সরকার বৈদেশিক ঋণ আনতে পারছে না। পদ্মা সেতুর কাজ নিয়ে একটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে বাণিজ্যিক ঋণ দেশের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং বিপদজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি। ড. দেবপ্রিয় বলেন, অনুন্নয়ন খাতে সরকার অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যয় করছে। জ্বালানিতে ভর্তুকি দিতে গিয়ে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা বেশ ত্রুটির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন যে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে তা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই হবে না। ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, সরকার অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে গিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ করছে ফলে বেসরকারি খাত কম ঋণ পাচ্ছে এবং দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজারের ধস সম্পর্কে ড. দেবপ্রিয় বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার ভ্রান্তনীতি গ্রহণ করেছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কোথায় যেন হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, বাজারে তারল্য বাড়ালেই পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে তা ভাবা ঠিক নয়। উপরন্তু জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নতুন ব্যাংক দেয়ার ব্যাপারে ড. দেবপ্রিয় বলেন, এ মুহূর্তে দেশে নতুন ব্যাংকের কোনো প্রয়োজন নেই। উপরন্তু বিদ্যমান ব্যাংকে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পুনর্গঠনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে। সরকার নতুন ব্যাংকের জন্য চাপ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংকের জন্য যে শর্ত দিয়েছে তা কোনোভাবেই শিথিল করা উচিত হবে না বলেও উল্লেখ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, গত অর্থবছরে রফতানি খাত এবং রাজস্ব আদায়ে ভালো অবস্থা দেখা গেলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ ছিল প্রবল। চলতি অর্থবছরে এসে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে তেমন গুণগত পরিবর্তন আসেনি। কর-বহিভূত আয়ও বাড়েনি। উপরন্তু বৈদেশিক ঋণ কমেছে এবং বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ ঘনীভত হয়ে উঠেছে। তাছাড়া পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ড. দেবপ্রিয় বলেন, অর্থনীতিতে বর্তমানে চারটি ঝুঁকি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় টানাপড়েন, অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক লেনদেনের ওপর তীব্র চাপ। এ ঝুঁকিগুলো চলতি অর্থবছরের শুরুতেও ছিল। এখন তা আরও ঘনীভূত হয়ে উঠেছে। ঝুঁকি মোকাবিলা করতে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করার পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ আনতে সরকারকে আরও গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দেন ড. দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, সরকার বলেছিল ২০১৪ সালের মধ্যে কুইক রেন্টাল থেকে সরে আসবে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কুইক পাওয়ার প্লান্ট থেকে সরে আসার জন্য যে পরিমাণ স্থায়ী পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করা দরকার তার নজির দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু এ খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকির কারণে দেশের গোটা অর্থনীতি চাপের মুখে পড়ে যাচ্ছে। ড. দেবপ্রিয় বলেন, জ্বালানি তেলে যে ভর্তুকি বর্তমানে সরকার দিচ্ছে তা সবসময় দেয়া সম্ভব হবে না। এ ভর্তুকি দিতে গিয়ে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের দেশে তেলের দাম কম থাকায় তা পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ড. দেবপ্রিয় বলেন, এ অবস্থায় আমাদের দেশে তেলের দাম অন্তত পার্শ্ববর্তী দেশের সমান হওয়া উচিত। আমাদের দেশে তেলের দাম ভারতের তুলনায় ১০ টাকা কম আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশেও লিটারপ্রতি তেলের দাম ১০ টাকা বাড়ানো যেতে পারে। তবে তা একবারে বাড়ানো ঠিক হবে না। ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে যেন তেলের নতুন মূল্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্বিতীয় দফা মন্দার পূর্বাভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমেরিকাতে বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে। ইউরোপের ঋণ সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠছে। সুনামি এবং ভূমিকম্প জাপানকে বেশ দুর্বল করে ফেলছে। তাছাড়া ভারত, চীন এবং ব্রাজিল যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই তুলনায় উন্নত দেশগুলো এগিয়ে যেতে পারছে না। বিশ্ব বাণিজ্য অনেকটা শ্লথ হয়ে আসছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর পুঁজি উন্নত দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির এ অবস্থায় বাংলাদেশ চার দিক থেকে ঝুঁকির মুখে উল্লেখ করেন এ অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এ ঝুঁকিগুলো হলো বৈদেশিক ঋণ কমে আসার প্রবণতা, রেমিট্যান্স আয় কমে আসা, বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে আসা এবং রফতানি কমে আসা। যদি এ খাতগুলোতে বিশ্ব মন্দার প্রভাব পড়ে তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে কারণ এবার মন্দাকালীন প্যাকেজে খরচ করার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ সরকারের কাছে নেই। তাছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সরকার যদি বেশি খরচ করে তবে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই দ্বিতীয় দফা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষা পাওয়া সরকারের জন্য খুব একটা সহজ হবে না। অনেক বেশি সতর্কতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, বর্তমানে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অনেক ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। এবার সরকার ভর্তুকি অর্থায়নের ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণের ওপর বেশি নির্ভর করার পরিকল্পনা করলেও বৈদেশিক ঋণ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। যোগ্যতার অভাবে সরকার বৈদেশিক ঋণ আনতে পারছে না। পদ্মা সেতুর কাজ নিয়ে একটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে বাণিজ্যিক ঋণ দেশের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং বিপদজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি। ড. দেবপ্রিয় বলেন, অনুন্নয়ন খাতে সরকার অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যয় করছে। জ্বালানিতে ভর্তুকি দিতে গিয়ে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা বেশ ত্রুটির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন যে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে তা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই হবে না। ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, সরকার অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে গিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ করছে ফলে বেসরকারি খাত কম ঋণ পাচ্ছে এবং দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজারের ধস সম্পর্কে ড. দেবপ্রিয় বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার ভ্রান্তনীতি গ্রহণ করেছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কোথায় যেন হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, বাজারে তারল্য বাড়ালেই পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে তা ভাবা ঠিক নয়। উপরন্তু জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নতুন ব্যাংক দেয়ার ব্যাপারে ড. দেবপ্রিয় বলেন, এ মুহূর্তে দেশে নতুন ব্যাংকের কোনো প্রয়োজন নেই। উপরন্তু বিদ্যমান ব্যাংকে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পুনর্গঠনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে। সরকার নতুন ব্যাংকের জন্য চাপ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংকের জন্য যে শর্ত দিয়েছে তা কোনোভাবেই শিথিল করা উচিত হবে না বলেও উল্লেখ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
No comments