সরকারের অতিমাত্রায় ব্যাংক ঋণ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন অর্থমন্ত্রী

ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার দৈনিক শত কোটি টাকার বেশি ঋণ নিচ্ছে। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তবে এতে অর্থনীতির জন্য বড় কোনো ঝুঁকি নেই, উদ্বিগ্ন হবারও কিছু নেই বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।সরকার বেশি হারে ব্যাংকের টাকা ঋণ হিসেবে নিলে বেসরকারি খাতে সমস্যা হবে কিনা—এমন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আগেই বাজেটে ঘোষণা দিয়েছি কত টাকা ঋণ নেবে সরকার। ফলে বেসরকারি খাতের সঙ্গে এর কোনো সর্ম্পক নেই বলেও দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।


অর্থমন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের গৃহীত ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা হবে না। বরং সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে এটা কিভাবে আরও কমিয়ে আনা যায়।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেটেই বলা হয়েছে আমাদের অর্থনীতিতে ৭/৮টি ঝুঁকি আছে। বর্তমানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। তবে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে।
তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ পরিস্থিতি কখনই ভালো ছিল না। বেশিরভাগ সময়ই এটা তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর কাছাকাছি ছিল। গত বছর এটা ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ হোক এটা আমিও চাই। কিন্তু অদক্ষতা ও বিশেষত বিদেশি বিনিয়োগ ঘাটতির কারণে এটা হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিদেশিরা সরকারের বিনিয়োগ নীতিতে আগ্রহ দেখালেও এখানকার দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতার কারণে বিনিয়োগ বাড়ছে না।
সম্প্রতি টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা আমার সঠিক জানা নেই। তবে হজ মৌসুমে সাধারণভাবে ডলারের দাম কিছুটা বেড়ে থাকে। তবে এটা স্থিতিশীল পর্যায়ে নেমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডলার পাচার হচ্ছে কিনা—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়।’

No comments

Powered by Blogger.