'ব্যবসায়ী জহুরের গলায় শার্ট পেঁচিয়ে হত্যা করেছি'
'ব্যবসায়ী জহুর সিএনজির মধ্যে আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রাশেদের হাতে তিনটি কামড় দিয়েছে_এই কারণে তাঁর গলায় শার্ট পেঁচিয়ে হত্যা করেছি।' চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ব্যবসায়ী জহুর আহমেদ হত্যার দায় এভাবেই স্বীকার করেছে মলম পার্টির তিন সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সিএমপির উপকমিশনার আমেনা বেগমের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সামনে তারা এ স্বীকারোক্তি দেয়।
সিএমপির কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মঞ্জুর মোরশেদ জানান, টানা ৩০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মলম পার্টির তিন সদস্য রাশেদ, মো. এনাম ওরফে রাজীব ও মো. সাহাবুদ্দিনকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নিহত ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনসেট, ৭০০ টাকা ও দুটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, গত ৩০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় মলম পার্টির সদস্যরা ব্যবসায়ী জহুরের কাছ থেকে প্রায় আট হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেওয়ার পর হত্যা করে এবং সিআরবি এলাকায় লাশ ফেলে যায়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, ওই দিন বিকেলে এ কে খান মোড় থেকে সিএনজি নিয়ে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানে যাই। ফিরে আসার পথে সঙ্গী মেহেরাজকে সিএনজিতে উঠিয়ে নিই। পরে নগরীতে ফিরে আসার পথে বহদ্দারহাটে এসে সিএনজি নষ্ট হয়ে যায়। তাই রাজীব তার পরিচিত ভুট্টোর কাছ থেকে গাড়িটি চেয়ে নেয়। ওই গাড়িতে যাত্রী হিসেবে ওঠে ব্যবসায়ী জহুর। জহুর ওঠার পর একটু সামনে গিয়ে গাড়িটি বন্ধ করে দেয় মেহরাজ। এই ফাঁকে জোর করে গাড়িতে উঠে বসে অন্য তিনজন। পরে গাড়িতে থাকা চালকের শার্ট পেঁচিয়ে জহুরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, ওই দিন বিকেলে এ কে খান মোড় থেকে সিএনজি নিয়ে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানে যাই। ফিরে আসার পথে সঙ্গী মেহেরাজকে সিএনজিতে উঠিয়ে নিই। পরে নগরীতে ফিরে আসার পথে বহদ্দারহাটে এসে সিএনজি নষ্ট হয়ে যায়। তাই রাজীব তার পরিচিত ভুট্টোর কাছ থেকে গাড়িটি চেয়ে নেয়। ওই গাড়িতে যাত্রী হিসেবে ওঠে ব্যবসায়ী জহুর। জহুর ওঠার পর একটু সামনে গিয়ে গাড়িটি বন্ধ করে দেয় মেহরাজ। এই ফাঁকে জোর করে গাড়িতে উঠে বসে অন্য তিনজন। পরে গাড়িতে থাকা চালকের শার্ট পেঁচিয়ে জহুরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
No comments