বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে ১৭ ধাপ পেছাল
লিঙ্গ সমতা সূচকে এক বছরে ২৫ শতাংশ উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই) জোরালো অগ্রগতির স্বাক্ষর রেখেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। আছে দুঃসংবাদও। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মানব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলেও জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৭ ধাপ পিছিয়েছে। এবারের সূচকে বিশ্বের ১৮৭টি দেশের মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম। গত বছর শূন্য দশমিক ৪৯৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৯তম।
এবারের মানব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান শ্রীলঙ্কা (৯৭), মালদ্বীপ (১০৯), ভারত (১৩৪), ভুটান (১৪১) ও পাকিস্তানের (১৪৫) চেয়েও পেছনে। কেবল নেপাল (১৫৭) ও আফগানিস্তানই (১৭২) এ দিক দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তবে আগামী বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের আরো উন্নতি হবে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গত বুধবার 'মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০১১' শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য ছিল 'ন্যায্যতা ও স্থায়িত্ব : সবার জন্য উন্নততর ভবিষ্যৎ'। গতকাল ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশ প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশে ইউএনডিপির পরিচালক স্টিফেন প্রিসনার, সহকারী পরিচালক কে এ এম মোরশেদ, ডিকাব সভাপতি রাহীদ ইজাজ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু দেখানো হয়েছে ৬৮ দশমিক ৯ বছর। আর মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় (জিএনআই) দেখানো হয়েছে এক হাজার ৫২৯ ডলার (প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার টাকা)।
মানব উন্নয়ন সূচকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ নরওয়ের এবারের স্কোর শূন্য দশমিক ৯৪৩। শূন্য দশমিক ৯২৯ স্কোর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় এবং শূন্য দশমিক ৯১০ স্কোর নিয়ে নেদারল্যান্ডস তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এবারের সূচকে সবার নিচে অর্থাৎ ১৮৭তম অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো (শূন্য দশমিক ২৮৬)।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, নারী মৃত্যুর নতুন হার লিঙ্গ সমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর এর ফলে কম মানব উন্নয়নের (এলএইচডি) দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান পেয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানকে টপকে যাওয়ার খুব কাছাকাছি রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বছর নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে টপকে যাবে। অন্যদিকে উন্নয়নে গতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ব্যবধান কমাতে পারেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দশক ধরে বাংলাদেশ নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় ব্যাপক অগ্রগতির মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশে ইউএনডিপির পরিচালক স্টিফেন প্রিসনার বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে পরিবেশগত চাপ ও বিপর্যয়ের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে তার ইতিবাচক ধারা ধরে রাখা বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার প্রচেষ্টা বহু গুণ বৃদ্ধি করা উচিত।
স্টিফেন প্রিসনার তাঁর বক্তব্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু_পরিবেশগত সক্ষমতা, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ মোকাবিলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, 'ওই চারটি খাতে ইউএনডিপি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। সংস্থাটি বাংলাদেশকে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত।'
স্টিফেন প্রিসনার বলেন, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও সাম্য একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। মানবসম্পদ উন্নয়নে সমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক নিল ওয়াকার বলেন, লিঙ্গ সমতা সূচকে বাংলাদেশের যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, তা নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি সংকল্পের প্রতিফলন।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গত বুধবার 'মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০১১' শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য ছিল 'ন্যায্যতা ও স্থায়িত্ব : সবার জন্য উন্নততর ভবিষ্যৎ'। গতকাল ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশ প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশে ইউএনডিপির পরিচালক স্টিফেন প্রিসনার, সহকারী পরিচালক কে এ এম মোরশেদ, ডিকাব সভাপতি রাহীদ ইজাজ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু দেখানো হয়েছে ৬৮ দশমিক ৯ বছর। আর মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় (জিএনআই) দেখানো হয়েছে এক হাজার ৫২৯ ডলার (প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার টাকা)।
মানব উন্নয়ন সূচকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ নরওয়ের এবারের স্কোর শূন্য দশমিক ৯৪৩। শূন্য দশমিক ৯২৯ স্কোর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় এবং শূন্য দশমিক ৯১০ স্কোর নিয়ে নেদারল্যান্ডস তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এবারের সূচকে সবার নিচে অর্থাৎ ১৮৭তম অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো (শূন্য দশমিক ২৮৬)।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, নারী মৃত্যুর নতুন হার লিঙ্গ সমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর এর ফলে কম মানব উন্নয়নের (এলএইচডি) দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান পেয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানকে টপকে যাওয়ার খুব কাছাকাছি রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বছর নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে টপকে যাবে। অন্যদিকে উন্নয়নে গতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ব্যবধান কমাতে পারেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দশক ধরে বাংলাদেশ নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় ব্যাপক অগ্রগতির মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশে ইউএনডিপির পরিচালক স্টিফেন প্রিসনার বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে পরিবেশগত চাপ ও বিপর্যয়ের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে তার ইতিবাচক ধারা ধরে রাখা বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার প্রচেষ্টা বহু গুণ বৃদ্ধি করা উচিত।
স্টিফেন প্রিসনার তাঁর বক্তব্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু_পরিবেশগত সক্ষমতা, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ মোকাবিলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, 'ওই চারটি খাতে ইউএনডিপি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। সংস্থাটি বাংলাদেশকে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত।'
স্টিফেন প্রিসনার বলেন, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও সাম্য একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। মানবসম্পদ উন্নয়নে সমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক নিল ওয়াকার বলেন, লিঙ্গ সমতা সূচকে বাংলাদেশের যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, তা নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি সংকল্পের প্রতিফলন।
No comments