তত্ত্বাবধায়কে না ফিরলে এ সরকারের বিচার হবে জনতার আদালতে : ফারুক
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তুলে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে সংঘাতের পথে ঠেলে দিয়েছে অভিযোগ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, জনগণকে অশান্তি থেকে রক্ষা করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করুন। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল না করলে জনতার আদালতে বর্তমান সরকারের বিচার হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।গতকাল দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিষদ ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
সংগঠনটির সভাপতি রমিজ উদ্দিন রুমীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি(জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির স্বনির্ভর সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শিক্ষাবিষয়ক সহ-সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বিএনপি নেতা আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুত্ফর রহমান প্রমুখ।
জয়নুল আবদিন ফারুক এমপি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। সরকারই এই কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারের এই অনুগত কমিশনের পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, পদত্যাগ না করলেও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।
ফারুক অভিযোগ করেন, সরকার সংসদকেও অকার্যকর ও কলুষিত করে রেখেছে। সংসদে জনগণের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয় না। কিন্তু কুত্সা রটনা ও মিথ্যাচার হয় মিনিটের পর মিনিট। ৬৮ বিধিতে বিরোধীদলীয় নেতাকে কটাক্ষ করে দীর্ঘসময় আলোচনা করে দেশের টাকা নষ্ট করছে অথচ জনগণের জন্য কোনো কথা নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সীমান্তে ফেলানি হত্যা, পুঁজিবাজারে ধসের বিষয়ে সংসদে নোটিশ দিলে স্পিকার এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দেন না।
বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির নানাচিত্র তুলে ধরে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এরশাদকে হটাতে যে সময় লেগেছে এ সরকারকে হঠাতে আরও কম সময় ও শক্তি লাগবে। সদ্যসমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ‘ভাই-বোনের’ নির্বাচন অভিহিত করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ভাই-বোনের নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশে এরকম নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেয়া। তা না করে তারা মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিচ্ছেন। যে মন্ত্রণালয়ে বেশি টাকা ও বেশি দুর্নীতি সেখানেই উপদেষ্টারা বেশি উপদেশ দিচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের তালিকা জনগণের কাছে আছে। ভবিষ্যতে তাদের কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব দিতে হবে।
শফিউল আলম প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে দেশে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ভোট-ডাকাতি করে খন্দকার মোশতাকদের বিজয়ী করার ইতিহাস দেশের সিনিয়র সিটিজেনরা দেখেছেন। নতুন প্রজন্মও কিছুটা জানে। এবার ভোলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার দৃশ্য দেশবাসী দেখেছেন। আর সর্বশেষ মঞ্চস্থ হলো নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনার নির্বাচন নাটক। এতে নির্বাচন কমিশনকে হাত-পা বেঁধে পুতুল করার দৃষ্টান্ত দেখানো হয়েছে। সেনা মোতায়েনের সময়সূচি নির্ধারণের পরও শেখ হাসিনার সরকার জননিরাপত্তার বিষয়কে প্রাধান্য দেয়নি। নির্বাচন কমিশনকে কোনো পাত্তা দেয়নি। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।
জয়নুল আবদিন ফারুক এমপি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। সরকারই এই কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারের এই অনুগত কমিশনের পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, পদত্যাগ না করলেও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।
ফারুক অভিযোগ করেন, সরকার সংসদকেও অকার্যকর ও কলুষিত করে রেখেছে। সংসদে জনগণের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয় না। কিন্তু কুত্সা রটনা ও মিথ্যাচার হয় মিনিটের পর মিনিট। ৬৮ বিধিতে বিরোধীদলীয় নেতাকে কটাক্ষ করে দীর্ঘসময় আলোচনা করে দেশের টাকা নষ্ট করছে অথচ জনগণের জন্য কোনো কথা নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সীমান্তে ফেলানি হত্যা, পুঁজিবাজারে ধসের বিষয়ে সংসদে নোটিশ দিলে স্পিকার এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দেন না।
বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির নানাচিত্র তুলে ধরে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এরশাদকে হটাতে যে সময় লেগেছে এ সরকারকে হঠাতে আরও কম সময় ও শক্তি লাগবে। সদ্যসমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ‘ভাই-বোনের’ নির্বাচন অভিহিত করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ভাই-বোনের নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশে এরকম নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেয়া। তা না করে তারা মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিচ্ছেন। যে মন্ত্রণালয়ে বেশি টাকা ও বেশি দুর্নীতি সেখানেই উপদেষ্টারা বেশি উপদেশ দিচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের তালিকা জনগণের কাছে আছে। ভবিষ্যতে তাদের কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব দিতে হবে।
শফিউল আলম প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে দেশে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ভোট-ডাকাতি করে খন্দকার মোশতাকদের বিজয়ী করার ইতিহাস দেশের সিনিয়র সিটিজেনরা দেখেছেন। নতুন প্রজন্মও কিছুটা জানে। এবার ভোলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার দৃশ্য দেশবাসী দেখেছেন। আর সর্বশেষ মঞ্চস্থ হলো নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনার নির্বাচন নাটক। এতে নির্বাচন কমিশনকে হাত-পা বেঁধে পুতুল করার দৃষ্টান্ত দেখানো হয়েছে। সেনা মোতায়েনের সময়সূচি নির্ধারণের পরও শেখ হাসিনার সরকার জননিরাপত্তার বিষয়কে প্রাধান্য দেয়নি। নির্বাচন কমিশনকে কোনো পাত্তা দেয়নি। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।
No comments