ধর্ষণের পর মাসোহারা গ্রহণ, অবশেষে গ্রেপ্তার
ধর্ষণের ছবি ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে ২১ মাস ধরে মৌলভাবাজারের এক গৃহবধূ কাছ থেকে মাসে মাসে টাকা আদায় করছিল জহুর আলী নামের এক নৈশপ্রহরী। একপর্যায়ে গৃহবধূ লিখিতভাবে জেলা পুলিশ সুপারকে ঘটনা খুলে বলেন। এরপর পুলিশ গত বুধবার জহুর আলী (৪৮) ও তার এক সহযোগী অটোরিকশার চালক ফয়জুল মিয়াকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে।মৌলভীবাজার জেলা শহরে বসবাসকারী অন্য এক জেলার বাসিন্দা এই গৃহবধূ প্রায় দুই বছর আগে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা করাতে যান। তখন সদর হাসপাতালের নৈশপ্রহরী জহুর আলীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
পরিচয়ের সূত্রে জহুর আলী একপর্যায়ে বলে, ৫০ হাজার টাকা দিলে গৃহবধূর ছেলেকে হাসপাতালে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে। সরল বিশ্বাসে টাকা তুলে দেন গৃহবধূ। বেশ কয়েক মাসের মধ্যে ছেলের চাকরি না হওয়ায় গৃহবধূ বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। গৃহবধূ টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাত দেখাতে থাকে জহুর আলী। একপর্যায়ে বলে, ছেলের চাকরির জন্য গৃহবধূকে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জনের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
গৃহবধূর লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, সিভিল সার্জনের সঙ্গে দেখা করার জন্য ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে তিনি শহরের বাসা থেকে বের হন। হেঁটে তিনি শহরের শাহ মোস্তফা সড়কে পেঁৗছলে জহুর আলী একটি অটোরিকশা ডেকে তাদেরকে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু অটোরিকশাটি উল্টো পথে শ্রীমঙ্গল সড়ক ধরে দক্ষিণ দিকে যেতে থাকে। জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর অজ্ঞাতপরিচয় আরো তিনজন অটোরিকশায় ওঠে। তারা অটোরিকশাটি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রেমনগর চা-বাগানের ভেতর দিয়ে রাডার স্টেশনের প্রায় ৫০০ গজ দূরের নির্জন টিলায় নিয়ে যায়। সেখানে জহুর আলীসহ চারজন পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ সময় জহুর আলী নিজের মোবাইল ফোনে গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারণ করে এবং হুমকি দেয়_এ নিয়ে মুখ খুললে ছবি ফাঁস করে দেওয়া হবে। এরপর একটি অটোরিকশা ডেকে গৃহবধূকে তাতে তুলে দেওয়া হয়।
গৃহবধূ তাঁর অভিযোগে বলেন, এ ঘটনার পর একপর্যায়ে জহুর আলী বলে তাকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা না দিলে ছবি প্রকাশ করে দেবে। মানসম্মানের ভয়ে তিনি মাসে মাসে টাকা দিতেও থাকেন। একপর্যায়ে টাকা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়লে তিনি মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এদিকে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জহুর আলী গৃহবধূকে ফোনে বলে, পরদিন দুপুরের মধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে তাকে টাকা দিয়ে আসতে হবে।
জানা যায়, গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান গৃহবধূ। এ সময় তিনি আগের মতো টাকা পরিশোধ করতে অক্ষমতা প্রকাশ করে বলেন, আড়াই হাজার টাকা নিতে হবে। জহুর আলী এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জহুর আলীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ওই দিন রাতেই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ঢেউপাশা থেকে সংশ্লিষ্ট অটোরিকশার চালক ফয়জুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় গৃহবধূ গত বুধবার কমলগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা এবং মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। জহুর আলী বর্তমানে কমলগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েকর্মরত। অন্যত্র বদলি করার পরও সে নতুন কর্মস্থলে যায়নি বলে জানা যায়। তার বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা গ্রামে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর রশীদ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'মহিলা আমার সঙ্গে এক সপ্তাহ আগে যোগাযোগ করেন। ঘটনাটি জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর সংসার শেষ হওয়ার পথে। প্রতি মাসে বাবা-মায়ের কাছ থেকে নানাভাবে টাকা এনে পরিশোধ করছেন। তাঁর পক্ষে আর এভাবে টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তিনি আমার সাহায্য চান। এরপরই লম্পট জহুর আলী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।' এ সময় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গৃহবধূর লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, সিভিল সার্জনের সঙ্গে দেখা করার জন্য ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে তিনি শহরের বাসা থেকে বের হন। হেঁটে তিনি শহরের শাহ মোস্তফা সড়কে পেঁৗছলে জহুর আলী একটি অটোরিকশা ডেকে তাদেরকে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু অটোরিকশাটি উল্টো পথে শ্রীমঙ্গল সড়ক ধরে দক্ষিণ দিকে যেতে থাকে। জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর অজ্ঞাতপরিচয় আরো তিনজন অটোরিকশায় ওঠে। তারা অটোরিকশাটি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রেমনগর চা-বাগানের ভেতর দিয়ে রাডার স্টেশনের প্রায় ৫০০ গজ দূরের নির্জন টিলায় নিয়ে যায়। সেখানে জহুর আলীসহ চারজন পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ সময় জহুর আলী নিজের মোবাইল ফোনে গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারণ করে এবং হুমকি দেয়_এ নিয়ে মুখ খুললে ছবি ফাঁস করে দেওয়া হবে। এরপর একটি অটোরিকশা ডেকে গৃহবধূকে তাতে তুলে দেওয়া হয়।
গৃহবধূ তাঁর অভিযোগে বলেন, এ ঘটনার পর একপর্যায়ে জহুর আলী বলে তাকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা না দিলে ছবি প্রকাশ করে দেবে। মানসম্মানের ভয়ে তিনি মাসে মাসে টাকা দিতেও থাকেন। একপর্যায়ে টাকা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়লে তিনি মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এদিকে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জহুর আলী গৃহবধূকে ফোনে বলে, পরদিন দুপুরের মধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে তাকে টাকা দিয়ে আসতে হবে।
জানা যায়, গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান গৃহবধূ। এ সময় তিনি আগের মতো টাকা পরিশোধ করতে অক্ষমতা প্রকাশ করে বলেন, আড়াই হাজার টাকা নিতে হবে। জহুর আলী এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জহুর আলীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ওই দিন রাতেই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ঢেউপাশা থেকে সংশ্লিষ্ট অটোরিকশার চালক ফয়জুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় গৃহবধূ গত বুধবার কমলগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা এবং মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। জহুর আলী বর্তমানে কমলগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েকর্মরত। অন্যত্র বদলি করার পরও সে নতুন কর্মস্থলে যায়নি বলে জানা যায়। তার বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা গ্রামে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর রশীদ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'মহিলা আমার সঙ্গে এক সপ্তাহ আগে যোগাযোগ করেন। ঘটনাটি জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর সংসার শেষ হওয়ার পথে। প্রতি মাসে বাবা-মায়ের কাছ থেকে নানাভাবে টাকা এনে পরিশোধ করছেন। তাঁর পক্ষে আর এভাবে টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তিনি আমার সাহায্য চান। এরপরই লম্পট জহুর আলী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।' এ সময় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
No comments