২০ কিলোমিটারের মধ্যে লোকজনের প্রবেশ নিষেধ
জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে ২০ কিলোমিটারের (১২ মাইল) মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ১১ মার্চ সে দেশে ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার ঘটনায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনজীবনের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ কারণে ঘটনার প্রায় ছয় সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান গতকাল বৃহস্পতিবার ওই এলাকাকে ‘নো-এন্ট্রি এরিয়া’ ঘোষণা করেছেন।
একই দিন টোকিওতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ভূমিকম্প ও সুনামির বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে জাপানকে সহায়তা করার অঙ্গীকার করেন। প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে এ সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
গতকাল স্থানীয় সময় মধ্যরাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ডান হাত বলে পরিচিত সরকারের শীর্ষস্থানীয় মুখপাত্র ইউকিও এদানো এক সংবাদ সম্মেলনে ফুকুশিমার ব্যাপারে সরকারের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এদানো বলেন, ওই এলাকায় সাধারণ মানুষ কেবল সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রবেশের অনুমতি পাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকায় লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত মাসে একই কারণে স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেব। নির্দেশ অমান্যকারীদের জাপানি মুদ্রায় এক লাখ ইয়েন (এক হাজার ২০০ ডলার) জরিমানা হতে পারে। এমনকি পুলিশ সাময়িকভাবে তাদের আটক করতে পারবে।’
ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পর টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) পরিচালিত ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়েক দফা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানকার শীতলীকরণ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি চুল্লির নিচে থাকা তরল পদার্থের ধারকে ফাটল দেখা দেয়। ওই ফাটল দিয়ে তেজস্ত্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পানির মাধ্যমে তা নিকটবর্তী সাগরেও পৌঁছায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে ঘটা ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের চেয়েও গুরুতর এই পরিস্থিতি। ওই এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
টেপকো জানিয়েছে, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে নয় মাস বা এর বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
এদানো বলেন, স্থানীয় লোকজনের জন্য আইন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ওই এলাকায় প্রায় ২৭ হাজার পরিবার রয়েছে। তারা যদি বাড়িঘর থেকে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসতে চায়, তাহলে প্রতি পরিবার থেকে একজনকে কেবল দুই ঘণ্টার জন্য সেখানে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধক পোশাক পরতে হবে তাকে। সঙ্গে নিতে হবে তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপ করার যন্ত্র। আর তাকে যেতে হবে সরকারের তত্ত্বাবধানে।
গতকাল ‘নো-এন্ট্রি এরিয়া’ ঘোষণা দেওয়ার আগে নাওতো কান ফুকুশিমার একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড গত বুধবার রাতে চার দিনের সফরে টোকিও পৌঁছান। জাপানের শীর্ষ সারির ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাপান পুনর্গঠিত হবে। এতে অস্ট্রেলিয়া প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, পরবর্তী কয়েক বছরে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে জাপানের জন্য অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
একই দিন টোকিওতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ভূমিকম্প ও সুনামির বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে জাপানকে সহায়তা করার অঙ্গীকার করেন। প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে এ সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
গতকাল স্থানীয় সময় মধ্যরাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ডান হাত বলে পরিচিত সরকারের শীর্ষস্থানীয় মুখপাত্র ইউকিও এদানো এক সংবাদ সম্মেলনে ফুকুশিমার ব্যাপারে সরকারের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এদানো বলেন, ওই এলাকায় সাধারণ মানুষ কেবল সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রবেশের অনুমতি পাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকায় লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত মাসে একই কারণে স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেব। নির্দেশ অমান্যকারীদের জাপানি মুদ্রায় এক লাখ ইয়েন (এক হাজার ২০০ ডলার) জরিমানা হতে পারে। এমনকি পুলিশ সাময়িকভাবে তাদের আটক করতে পারবে।’
ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পর টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) পরিচালিত ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়েক দফা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানকার শীতলীকরণ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি চুল্লির নিচে থাকা তরল পদার্থের ধারকে ফাটল দেখা দেয়। ওই ফাটল দিয়ে তেজস্ত্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পানির মাধ্যমে তা নিকটবর্তী সাগরেও পৌঁছায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে ঘটা ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের চেয়েও গুরুতর এই পরিস্থিতি। ওই এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
টেপকো জানিয়েছে, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে নয় মাস বা এর বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
এদানো বলেন, স্থানীয় লোকজনের জন্য আইন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ওই এলাকায় প্রায় ২৭ হাজার পরিবার রয়েছে। তারা যদি বাড়িঘর থেকে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসতে চায়, তাহলে প্রতি পরিবার থেকে একজনকে কেবল দুই ঘণ্টার জন্য সেখানে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধক পোশাক পরতে হবে তাকে। সঙ্গে নিতে হবে তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপ করার যন্ত্র। আর তাকে যেতে হবে সরকারের তত্ত্বাবধানে।
গতকাল ‘নো-এন্ট্রি এরিয়া’ ঘোষণা দেওয়ার আগে নাওতো কান ফুকুশিমার একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড গত বুধবার রাতে চার দিনের সফরে টোকিও পৌঁছান। জাপানের শীর্ষ সারির ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাপান পুনর্গঠিত হবে। এতে অস্ট্রেলিয়া প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, পরবর্তী কয়েক বছরে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে জাপানের জন্য অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
No comments