বামফ্রন্ট ও তৃণমূলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বামফ্রন্ট ও তৃণমূল কংগ্রেস পরস্পরের বিরুদ্ধে কালো টাকা ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। বামফ্রন্টের প্রধান শরিক সিপিএম প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কালো টাকা ব্যবহারের অভিযোগ আনে। পরে পাল্টা অভিযোগ তোলে মমতার তৃণমূল।
কলকাতা প্রেসক্লাবে ১৬ এপ্রিল মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব বলেন, নির্বাচনের জন্য তৃণমূল তাদের মনোনীত ২২৬ জন প্রার্থীকে নগদ ১৫ লাখ টাকা করে দিয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই টাকা দেওয়া হয়। প্রার্থীরা জনগণের কাছ থেকে চাঁদা তুলে নির্বাচনে খরচ করছে, এটা বোঝানোর জন্য ওই টাকার সঙ্গে রশিদ দেওয়া হয়। কিন্তু রশিদের যে অংশ চাঁদাদাতার কাছে থাকার কথা, তা পুড়িয়ে ফেলা হয়।
গৌতম দেব বলেন, তৃণমূল প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। দলনেত্রী মমতা নির্বাচনী সভা করছেন হেলিকপ্টারে করে। তিনি প্রশ্ন তোলেন—এত টাকা কোথা থেকে এল?
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা ক্ষোভের সঙ্গে একটি জনসভায় বলেন, ‘হ্যাঁ, চাঁদার কুপন পুড়িয়েছি। তাতে ওদের কী? ওদের (সিপিএম) টাকা কি গঙ্গাজলে ধোয়া?’ তিনি বলেন, ওরা পার্টি অফিসের নামে রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার অট্টালিকা তৈরি করেছে। মানুষের কাছ থেকে লুট করা টাকা আর কালো টাকাতেই সিপিএম দলটা চলে।’
এদিকে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু গত বুধবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শাসনক্ষমতা থেকে বামফ্রন্টকে হটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছে।
ছত্রধরকে মাওবাদীদের সমর্থন: পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী-অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম আসনে প্রার্থী হয়েছেন মাওবাদীদের ছত্রছায়ায় গঠিত পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো। ‘সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বিরোধী মঞ্চ’ নামের একটি গণসংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি ঝাড়গ্রাম আসনে লড়ছেন। ছত্রধর মাহাতোকে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে মাওবাদীরা।
মাওবাদী নেতা বিক্রম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছত্রধরকে সমর্থনের পাশাপাশি জঙ্গলমহলে সিপিএম ও কংগ্রেসকে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাধা দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কলকাতা প্রেসক্লাবে ১৬ এপ্রিল মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব বলেন, নির্বাচনের জন্য তৃণমূল তাদের মনোনীত ২২৬ জন প্রার্থীকে নগদ ১৫ লাখ টাকা করে দিয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই টাকা দেওয়া হয়। প্রার্থীরা জনগণের কাছ থেকে চাঁদা তুলে নির্বাচনে খরচ করছে, এটা বোঝানোর জন্য ওই টাকার সঙ্গে রশিদ দেওয়া হয়। কিন্তু রশিদের যে অংশ চাঁদাদাতার কাছে থাকার কথা, তা পুড়িয়ে ফেলা হয়।
গৌতম দেব বলেন, তৃণমূল প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। দলনেত্রী মমতা নির্বাচনী সভা করছেন হেলিকপ্টারে করে। তিনি প্রশ্ন তোলেন—এত টাকা কোথা থেকে এল?
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা ক্ষোভের সঙ্গে একটি জনসভায় বলেন, ‘হ্যাঁ, চাঁদার কুপন পুড়িয়েছি। তাতে ওদের কী? ওদের (সিপিএম) টাকা কি গঙ্গাজলে ধোয়া?’ তিনি বলেন, ওরা পার্টি অফিসের নামে রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার অট্টালিকা তৈরি করেছে। মানুষের কাছ থেকে লুট করা টাকা আর কালো টাকাতেই সিপিএম দলটা চলে।’
এদিকে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু গত বুধবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শাসনক্ষমতা থেকে বামফ্রন্টকে হটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছে।
ছত্রধরকে মাওবাদীদের সমর্থন: পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী-অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম আসনে প্রার্থী হয়েছেন মাওবাদীদের ছত্রছায়ায় গঠিত পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো। ‘সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বিরোধী মঞ্চ’ নামের একটি গণসংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি ঝাড়গ্রাম আসনে লড়ছেন। ছত্রধর মাহাতোকে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে মাওবাদীরা।
মাওবাদী নেতা বিক্রম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছত্রধরকে সমর্থনের পাশাপাশি জঙ্গলমহলে সিপিএম ও কংগ্রেসকে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাধা দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
No comments