দুই বছর পর রিয়ালের শিরোপা
প্রায় দুই বছরের নীরবতা ভাঙল সিবেলিস চত্বরে। দুই বছর পর রিয়াল মাদ্রিদের বিজয় উদ্যাপন মঞ্চ আবার মুখরিত হলো পরশু। ড্রামের তালে, বাঁশির সুরে কিংবা গাড়ির ভেঁপুতে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে স্প্যানিশ কাপের শিরোপা জয়ের উৎসব।
সাফল্য-তৃষিত রিয়াল মাদ্রিদকে আনন্দে ভাসিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গোল করা বা গোল করানো—এ মৌসুমে দুই দিক দিয়েই লিওনেল মেসির চেয়ে পিছিয়ে থাকা রোনালদো কাল জিতলেন। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকা ম্যাচের খরা কাটিয়েছেন তিনি ১০৩ মিনিটে। মেসির বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের আশা শেষ করে দিয়েছেন দারুণ এক হেডে (১-০)।
২০০৭-০৮ মৌসুমে স্প্যানিশ লিগ জয়ের পর গত দুটি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ছিল রিক্ত। চোখের সামনে দেখেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে একের পর এক শিরোপা জিততে। স্প্যানিশ কাপে তো এই হাহাকার ছিল আরও বেশি। এই টুর্নামেন্টে রিয়াল মাদ্রিদের সর্বশেষ শিরোপা জয় সেই ১৯৯৩ সালে। খরা কাটাতে মরিয়া রিয়াল এ মৌসুমে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় হোসে মরিনহোকে, সাফল্যের সংক্ষিপ্ত রাস্তাটা যিনি ভালোই জানেন।
রিয়ালের এই নিয়োগ বৃথা যায়নি। শোকেসে শিরোপা উঠতে শুরু করেছে। তবে যে রকম ফুটবল খেলে রিয়াল এই সাফল্য পেল, সেটা খুশি করতে পারেনি অনেককেই। অনেকে তো মরিনহোকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছেন রিয়ালে নেতিবাচক ফুটবল দর্শন আমদানি করার জন্য।
মরিনহোর অবশ্য এতে কিছু যায়-আসে না। রিয়ালের তৃষ্ণা মেটাতে পেরেই খুশি পর্তুগিজ কোচ। ‘আমি আগেও বলেছি, শিরোপা জয়ের জন্য গ্রেট কোচ আমি, ফুটবলের জন্য নয়। আমি আমার মতো কাজ করতে পেরে খুব খুশি’—বলেছেন চারটি ভিন্ন দেশি ক্লাবের হয়ে কাপ জেতা মরিনহো।
ভ্যালেন্সিয়ার ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামে পরশুও মরিনহো বার্সেলোনাকে আটকাতে নিয়েছেন রক্ষণাত্মক কৌশল। কারভালহো, পেপে, সার্জিও রামোস ও মার্সেলোকে দিয়ে সাজানো মরিনহোর রক্ষণ ভাগ বার্সেলোনার স্বাভাবিক পাসিং ফুটবল খেলতে না দেওয়ার সংকল্পই যেন করেছিল।
রিয়ালের এই কৌশল সফলও হয়েছে। ৫৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটির গ্যালারিতে বার্সেলোনার গাঢ় লাল ও নীল রং প্রচুর ছিল, কিন্তু মাঠে যেন মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না প্রথমার্ধে। আসলে বার্সার ছন্দময় মাঝমাঠ ও গতিময় আক্রমণ ভাগকে নিষ্ক্রিয়ই করে ফেলেছিলেন কারভালহো-রামোস-পেপেরা। প্রথমার্ধে বার্সা তো গোলে একটি শটও নিতে পারেনি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা ছিল ভিন্ন। মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তারা বেরিয়ে এসেছেন তাঁদের ছায়া থেকে। খেলেছেন নিজেদের স্বভাবসুলভ পাসিং ফুটবল। মেসির নেতৃত্বে দুর্দান্ত কিছু আক্রমণও করেছেন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পাওয়া হয়নি। ডেভিড ভিয়া মেসির চূড়ান্ত পাসগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। গোলের দেখা পায়নি রিয়ালও। প্রথমার্ধে পেপের একটি হেড বার্সার ২ নম্বর গোলরক্ষক হোসে ম্যানুয়েল পিন্টোকে পরাজিত করলেও ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে।
ম্যাচে গোলের খরা কেটেছে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত একটি ক্রস থেকে জোরালো হেডে গোল করেন রোনালদো। এমন একটি ম্যাচে ফল-নির্ধারক গোল করতে পেরে খুব খুশি রোনালদো, ‘আমাদের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা। আমরা দুর্দান্তভাবেই এটি উদ্যাপন করব।’
সিবেলিস স্কয়ারে উদ্যাপন শুরু হয়েছে রোনালদোর হেড থেকে করা গোলের পর থেকেই। রিয়ালের সমর্থকেরা মনে হয় বুঝে ফেলেছিল এ মৌসুমে প্রথমে গোল খাওয়ার পর বার্সেলোনা কেমন যেন মিইয়ে যায়। আসলেই তাই। গোল খাওয়ার পর ১৭ মিনিট সময় পেয়েছে কাতালানরা। কিন্তু গোল শোধের তাড়না তাদের মধ্যে দেখা যায়নি। বরং তাদের খেলায় ছিল আত্মসমর্পণের ভঙ্গি।
বার্সা কোচ পেপ গার্দিওলা পরাজয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে হয়ে গেলেন দার্শনিক, ‘প্রথমত আমি রিয়াল মাদ্রিদকে অভিনন্দন জানাই। আর জীবন তো এ রকমই। আপনি সব সময় জিততে পারবেন না।’
সাফল্য-তৃষিত রিয়াল মাদ্রিদকে আনন্দে ভাসিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গোল করা বা গোল করানো—এ মৌসুমে দুই দিক দিয়েই লিওনেল মেসির চেয়ে পিছিয়ে থাকা রোনালদো কাল জিতলেন। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকা ম্যাচের খরা কাটিয়েছেন তিনি ১০৩ মিনিটে। মেসির বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের আশা শেষ করে দিয়েছেন দারুণ এক হেডে (১-০)।
২০০৭-০৮ মৌসুমে স্প্যানিশ লিগ জয়ের পর গত দুটি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ছিল রিক্ত। চোখের সামনে দেখেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে একের পর এক শিরোপা জিততে। স্প্যানিশ কাপে তো এই হাহাকার ছিল আরও বেশি। এই টুর্নামেন্টে রিয়াল মাদ্রিদের সর্বশেষ শিরোপা জয় সেই ১৯৯৩ সালে। খরা কাটাতে মরিয়া রিয়াল এ মৌসুমে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় হোসে মরিনহোকে, সাফল্যের সংক্ষিপ্ত রাস্তাটা যিনি ভালোই জানেন।
রিয়ালের এই নিয়োগ বৃথা যায়নি। শোকেসে শিরোপা উঠতে শুরু করেছে। তবে যে রকম ফুটবল খেলে রিয়াল এই সাফল্য পেল, সেটা খুশি করতে পারেনি অনেককেই। অনেকে তো মরিনহোকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছেন রিয়ালে নেতিবাচক ফুটবল দর্শন আমদানি করার জন্য।
মরিনহোর অবশ্য এতে কিছু যায়-আসে না। রিয়ালের তৃষ্ণা মেটাতে পেরেই খুশি পর্তুগিজ কোচ। ‘আমি আগেও বলেছি, শিরোপা জয়ের জন্য গ্রেট কোচ আমি, ফুটবলের জন্য নয়। আমি আমার মতো কাজ করতে পেরে খুব খুশি’—বলেছেন চারটি ভিন্ন দেশি ক্লাবের হয়ে কাপ জেতা মরিনহো।
ভ্যালেন্সিয়ার ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামে পরশুও মরিনহো বার্সেলোনাকে আটকাতে নিয়েছেন রক্ষণাত্মক কৌশল। কারভালহো, পেপে, সার্জিও রামোস ও মার্সেলোকে দিয়ে সাজানো মরিনহোর রক্ষণ ভাগ বার্সেলোনার স্বাভাবিক পাসিং ফুটবল খেলতে না দেওয়ার সংকল্পই যেন করেছিল।
রিয়ালের এই কৌশল সফলও হয়েছে। ৫৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটির গ্যালারিতে বার্সেলোনার গাঢ় লাল ও নীল রং প্রচুর ছিল, কিন্তু মাঠে যেন মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না প্রথমার্ধে। আসলে বার্সার ছন্দময় মাঝমাঠ ও গতিময় আক্রমণ ভাগকে নিষ্ক্রিয়ই করে ফেলেছিলেন কারভালহো-রামোস-পেপেরা। প্রথমার্ধে বার্সা তো গোলে একটি শটও নিতে পারেনি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা ছিল ভিন্ন। মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তারা বেরিয়ে এসেছেন তাঁদের ছায়া থেকে। খেলেছেন নিজেদের স্বভাবসুলভ পাসিং ফুটবল। মেসির নেতৃত্বে দুর্দান্ত কিছু আক্রমণও করেছেন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পাওয়া হয়নি। ডেভিড ভিয়া মেসির চূড়ান্ত পাসগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। গোলের দেখা পায়নি রিয়ালও। প্রথমার্ধে পেপের একটি হেড বার্সার ২ নম্বর গোলরক্ষক হোসে ম্যানুয়েল পিন্টোকে পরাজিত করলেও ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে।
ম্যাচে গোলের খরা কেটেছে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত একটি ক্রস থেকে জোরালো হেডে গোল করেন রোনালদো। এমন একটি ম্যাচে ফল-নির্ধারক গোল করতে পেরে খুব খুশি রোনালদো, ‘আমাদের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা। আমরা দুর্দান্তভাবেই এটি উদ্যাপন করব।’
সিবেলিস স্কয়ারে উদ্যাপন শুরু হয়েছে রোনালদোর হেড থেকে করা গোলের পর থেকেই। রিয়ালের সমর্থকেরা মনে হয় বুঝে ফেলেছিল এ মৌসুমে প্রথমে গোল খাওয়ার পর বার্সেলোনা কেমন যেন মিইয়ে যায়। আসলেই তাই। গোল খাওয়ার পর ১৭ মিনিট সময় পেয়েছে কাতালানরা। কিন্তু গোল শোধের তাড়না তাদের মধ্যে দেখা যায়নি। বরং তাদের খেলায় ছিল আত্মসমর্পণের ভঙ্গি।
বার্সা কোচ পেপ গার্দিওলা পরাজয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে হয়ে গেলেন দার্শনিক, ‘প্রথমত আমি রিয়াল মাদ্রিদকে অভিনন্দন জানাই। আর জীবন তো এ রকমই। আপনি সব সময় জিততে পারবেন না।’
No comments