বন্ড ছাড়ার অনুমোদন পেল নর্দার্ন পাওয়ার
শেষ পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশনের রূপান্তরযোগ্য বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক সভায় কোম্পানিটির প্রস্তাবের বেশ কিছু অংশ পরিবর্তন করে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর আগে নর্দার্ন পাওয়ার ১৮ শতাংশ সুদে ৫০ শতাংশ রূপান্তরযোগ্য বন্ড ছেড়ে মূলধন ১৭৫ কোটি টাকায় উন্নীত করার অনুমোদন চেয়ে এসইসিতে প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। এতে বলা হয়, বন্ডের ৫০ ভাগ বছরভিত্তিতে এবং সম্পূর্ণ চার বছরে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে। আর রূপান্তরের সময় বন্ডের বিনিয়োগকারীরা অভিহিত মূল্যে শেয়ার পাবেন। এর আগ পর্যন্ত এ বন্ড সম্পূর্ণ হস্তান্তরযোগ্য থাকবে। এ প্রস্তাবে আরও বলা হয়, কোনো কারণে সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ১৯ শতাংশ হারে তা পরিশোধ করবে কোম্পানিটি।
কিন্তু কোম্পানির এ প্রস্তাবটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অভিযোগ ওঠে কোম্পানিটি বন্ডের আড়ালে শেয়ারবাজার থেকে অতিরিক্ত অর্থ তুলে নিতেই নতুন এ কৌশল বেছে নিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, পুঁজিবাজারের নিয়ম অনুযায়ী কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা হলেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার কথা। নর্দার্ন পাওয়ারের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি টাকা। অথচ কোম্পানিটি প্রাথমিক শেয়ারের গণপ্রস্তাবে (আইপিও) না গিয়ে বন্ড (এক ধরনের ঋণ) ছেড়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের প্রস্তাব করেছে। আগের মতো প্রাক্-আইপিও প্লেসমেন্টে শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করার সুযোগ না থাকায় কোম্পানি এ ধরনের কৌশল বেছে নিয়েছে।
অভিযোগকারীদের মতে, এসইসির নিয়মানুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানির কার্যক্রম চালিয়ে লাভ দেখাতে পারলে আইপিওর সময় মোটা প্রিমিয়ামসহ (অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশি দরে) দাবি করা যাবে। আবার তত দিনে বন্ডের একটা বড় অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। ফলে তালিকাভুক্তির পর তাঁরা বাজার দরে শেয়ারগুলো বিক্রি করে মোটা অঙ্কের মুনাফা তুলে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
জানা গেছে, এ কারণে এসইসিও কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী বন্ডের অনুমোদন দিতে উৎসাহ দেখায়নি। কিন্তু সরকারের প্রভাবশালী মহলের চাপে এসইসি কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বন্ড বাজারে ছাড়বে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিটের দাম হবে এক হাজার টাকা।
সাইফুর রহমান আরও জানান, কোম্পানি কেবল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ইস্যু করতে পারবে। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ বন্ডের মোট মেয়াদ সাড়ে চার বছর করা হয়েছে। গ্রেস পিরিয়ড শেষে প্রতি তিন মাস অন্তর বন্ডধারীদের নির্ধারিত (১৮ শতাংশ) হারে সুদ দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতিবছর মূল বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ করে পরিশোধ করা লাগবে। মূল বিনিয়োগের অর্ধেক নগদ অর্থে এবং বাকি অর্ধেক রূপান্তরিত সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যের বাজার দর (আইপিওর জন্য প্রস্তাবিত মূল্য) অনুযায়ী সাধারণ শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হবে। তবে এ সময় কোম্পানিটি আইপিওতে না যেতে পারলে বাকি অর্থ নগদ পরিশোধ করতে হবে।
সাইফুর রহমান জানান, এসইসির অনুমতি সাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বন্ডটি হাতবদল বা হস্তান্তর করতে পারবে।
এসইসি মনে করছে, এসব শর্তের ফলে বন্ডটি নিয়ে কারসাজির যে শঙ্কা ছিল তা হতে পারবে না।
উল্লেখ্য, নর্দার্ন পাওয়ারের উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী-৪ আসনের সরকারি দলের সাংসদ এনামুল হক, তহুরা হক ও বেক্সিমকো গ্রুপের বেক্সটেক লিমিটেড। বেক্সটেক্সকে প্রতিনিধিত্ব করছেন সালমান এফ রহমান।
এর আগে নর্দার্ন পাওয়ার ১৮ শতাংশ সুদে ৫০ শতাংশ রূপান্তরযোগ্য বন্ড ছেড়ে মূলধন ১৭৫ কোটি টাকায় উন্নীত করার অনুমোদন চেয়ে এসইসিতে প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। এতে বলা হয়, বন্ডের ৫০ ভাগ বছরভিত্তিতে এবং সম্পূর্ণ চার বছরে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরিত হবে। আর রূপান্তরের সময় বন্ডের বিনিয়োগকারীরা অভিহিত মূল্যে শেয়ার পাবেন। এর আগ পর্যন্ত এ বন্ড সম্পূর্ণ হস্তান্তরযোগ্য থাকবে। এ প্রস্তাবে আরও বলা হয়, কোনো কারণে সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ১৯ শতাংশ হারে তা পরিশোধ করবে কোম্পানিটি।
কিন্তু কোম্পানির এ প্রস্তাবটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। অভিযোগ ওঠে কোম্পানিটি বন্ডের আড়ালে শেয়ারবাজার থেকে অতিরিক্ত অর্থ তুলে নিতেই নতুন এ কৌশল বেছে নিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, পুঁজিবাজারের নিয়ম অনুযায়ী কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা হলেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার কথা। নর্দার্ন পাওয়ারের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি টাকা। অথচ কোম্পানিটি প্রাথমিক শেয়ারের গণপ্রস্তাবে (আইপিও) না গিয়ে বন্ড (এক ধরনের ঋণ) ছেড়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের প্রস্তাব করেছে। আগের মতো প্রাক্-আইপিও প্লেসমেন্টে শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করার সুযোগ না থাকায় কোম্পানি এ ধরনের কৌশল বেছে নিয়েছে।
অভিযোগকারীদের মতে, এসইসির নিয়মানুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানির কার্যক্রম চালিয়ে লাভ দেখাতে পারলে আইপিওর সময় মোটা প্রিমিয়ামসহ (অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশি দরে) দাবি করা যাবে। আবার তত দিনে বন্ডের একটা বড় অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। ফলে তালিকাভুক্তির পর তাঁরা বাজার দরে শেয়ারগুলো বিক্রি করে মোটা অঙ্কের মুনাফা তুলে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
জানা গেছে, এ কারণে এসইসিও কোম্পানির প্রস্তাব অনুযায়ী বন্ডের অনুমোদন দিতে উৎসাহ দেখায়নি। কিন্তু সরকারের প্রভাবশালী মহলের চাপে এসইসি কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বন্ড বাজারে ছাড়বে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিটের দাম হবে এক হাজার টাকা।
সাইফুর রহমান আরও জানান, কোম্পানি কেবল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ইস্যু করতে পারবে। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ বন্ডের মোট মেয়াদ সাড়ে চার বছর করা হয়েছে। গ্রেস পিরিয়ড শেষে প্রতি তিন মাস অন্তর বন্ডধারীদের নির্ধারিত (১৮ শতাংশ) হারে সুদ দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতিবছর মূল বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ করে পরিশোধ করা লাগবে। মূল বিনিয়োগের অর্ধেক নগদ অর্থে এবং বাকি অর্ধেক রূপান্তরিত সাধারণ শেয়ারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যের বাজার দর (আইপিওর জন্য প্রস্তাবিত মূল্য) অনুযায়ী সাধারণ শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হবে। তবে এ সময় কোম্পানিটি আইপিওতে না যেতে পারলে বাকি অর্থ নগদ পরিশোধ করতে হবে।
সাইফুর রহমান জানান, এসইসির অনুমতি সাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বন্ডটি হাতবদল বা হস্তান্তর করতে পারবে।
এসইসি মনে করছে, এসব শর্তের ফলে বন্ডটি নিয়ে কারসাজির যে শঙ্কা ছিল তা হতে পারবে না।
উল্লেখ্য, নর্দার্ন পাওয়ারের উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী-৪ আসনের সরকারি দলের সাংসদ এনামুল হক, তহুরা হক ও বেক্সিমকো গ্রুপের বেক্সটেক লিমিটেড। বেক্সটেক্সকে প্রতিনিধিত্ব করছেন সালমান এফ রহমান।
No comments