গেইলের উপায় ছিল না
টাকার মোহে অন্ধ! জাতীয় দলের পরবর্তী সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে আইপিএলে যোগ দেওয়ার পর ক্রিস গেইলের ব্যাপারে অনেকেই এমন কথা বলেছেন। তবে গেইলের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ভিন্ন এক ছবি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান বলেছেন, কোনো উপায় না পেয়েই নাকি আইপিএলে যোগ দিয়েছেন। কারণ, বোর্ড স্রেফ তাঁকে উপেক্ষাই করে গেছে বিশ্বকাপের পর থেকে। বিশ্বকাপে যে চোট পেয়েছিলেন, সেটার চিকিৎসা-ব্যয় পুরোটা তাঁকেই বহন করতে হয়েছে। লন্ডনে চিকিৎসাও করিয়েছেন নিজস্ব ব্যবস্থায়। এমনকি পরে পুনর্বাসন-প্রক্রিয়ায় কোনো সাহায্য করেনি বোর্ড। এএফপি।
জ্যামাইকান রেডিও কেএলএএস স্পোর্টসকে দীর্ঘ এক ঘণ্টার আবেগময় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানেই গেইল বলেছেন, ‘বারবাডোজে অনুশীলনের জন্য কয়েকজন খেলোয়াড়কে নির্বাচন করা হলো। আমাকে কেউ ডাকলই না। কেউ আমার সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলল না। আমিও তাই সেটা নিয়ে আর মাথা ঘামালাম না। অনুশীলন চালিয়ে গেলাম নিজের মতো করে। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে দল ঘোষিত হলো। বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, বড় হরফে মোটা করে শিরোনাম দেওয়া: গেইল, সারওয়ান, চন্দরপল বাদ।’
গেইল মনে করেন, ব্রিজটাউনের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে তাঁকে ডেকে ফিটনেস পরীক্ষাটা নিতে পারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লুআইসিবি)। এরপর ফিটনেস দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারত তাঁকে খেলানো যাবে কি না। ‘ডব্লুআইসিবির একজনের সঙ্গেই কেবল আমার যোগাযোগ হয়েছে, সেটা দলের ফিজিও সি জে ক্লার্ক। তাও আবার আমি তাঁকে এসএমএস পাঠানোর পর। সেই বার্তায় আমি জানিয়েছিলাম আমার শরীরের অবস্থা। বলেছিলাম, আমি বেশ ভালো বোধ করছি। দৌড়াচ্ছি, জিম করছি। ও আমাকে বলল, ফিটনেস প্রোগ্রামের একটা সূচি পাঠাবে। সেটা যখন পেলাম, ততক্ষণে আইপিএলের প্রস্তাব এসে গেছে’—বলেছেন গেইল।
জাতীয় দলই সব সময় তাঁর কাছে প্রাধান্য পেয়েছে বলছেন গেইল, ‘আমার লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসা। আমি সব সময়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে আর প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছি। এটাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল। কিন্তু যেহেতু আমি চুক্তিবদ্ধ নই, আমাকে দলেও নেওয়া হলো না; ফলে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। কী হচ্ছে না হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমাকে জানানোও হয়নি। ফলে আমার ভবিষ্যৎ কী, সে সম্পর্কেও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলাম।’
গেইল এও জানিয়েছেন, যেই না তিনি আইপিএলে খেলার জন্য ছাড়পত্র চাইলেন, অমনি যেন ঘুম ভাঙল বোর্ডের, ‘হুট করে সবার মধ্যে যেন প্রবল শক্তি ভর করল। সবাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিল।’ গেইলের বঞ্চনা বোধটাও অনেক দিনের, ‘অনেক সময় আমাকে অসম্মান করা হয়েছে। প্রচণ্ড চাপ নিয়েও খেলতে হয়েছে।’
জ্যামাইকান রেডিও কেএলএএস স্পোর্টসকে দীর্ঘ এক ঘণ্টার আবেগময় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানেই গেইল বলেছেন, ‘বারবাডোজে অনুশীলনের জন্য কয়েকজন খেলোয়াড়কে নির্বাচন করা হলো। আমাকে কেউ ডাকলই না। কেউ আমার সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলল না। আমিও তাই সেটা নিয়ে আর মাথা ঘামালাম না। অনুশীলন চালিয়ে গেলাম নিজের মতো করে। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে দল ঘোষিত হলো। বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, বড় হরফে মোটা করে শিরোনাম দেওয়া: গেইল, সারওয়ান, চন্দরপল বাদ।’
গেইল মনে করেন, ব্রিজটাউনের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে তাঁকে ডেকে ফিটনেস পরীক্ষাটা নিতে পারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লুআইসিবি)। এরপর ফিটনেস দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারত তাঁকে খেলানো যাবে কি না। ‘ডব্লুআইসিবির একজনের সঙ্গেই কেবল আমার যোগাযোগ হয়েছে, সেটা দলের ফিজিও সি জে ক্লার্ক। তাও আবার আমি তাঁকে এসএমএস পাঠানোর পর। সেই বার্তায় আমি জানিয়েছিলাম আমার শরীরের অবস্থা। বলেছিলাম, আমি বেশ ভালো বোধ করছি। দৌড়াচ্ছি, জিম করছি। ও আমাকে বলল, ফিটনেস প্রোগ্রামের একটা সূচি পাঠাবে। সেটা যখন পেলাম, ততক্ষণে আইপিএলের প্রস্তাব এসে গেছে’—বলেছেন গেইল।
জাতীয় দলই সব সময় তাঁর কাছে প্রাধান্য পেয়েছে বলছেন গেইল, ‘আমার লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসা। আমি সব সময়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে আর প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছি। এটাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল। কিন্তু যেহেতু আমি চুক্তিবদ্ধ নই, আমাকে দলেও নেওয়া হলো না; ফলে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। কী হচ্ছে না হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমাকে জানানোও হয়নি। ফলে আমার ভবিষ্যৎ কী, সে সম্পর্কেও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলাম।’
গেইল এও জানিয়েছেন, যেই না তিনি আইপিএলে খেলার জন্য ছাড়পত্র চাইলেন, অমনি যেন ঘুম ভাঙল বোর্ডের, ‘হুট করে সবার মধ্যে যেন প্রবল শক্তি ভর করল। সবাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিল।’ গেইলের বঞ্চনা বোধটাও অনেক দিনের, ‘অনেক সময় আমাকে অসম্মান করা হয়েছে। প্রচণ্ড চাপ নিয়েও খেলতে হয়েছে।’
No comments