ইরানের ওপর অবরোধ আরোপে চাপ অব্যাহত থাকবে: ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। দেশটির পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে আবারও ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন তিনি।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গে গত বুধবার টেলিফোনে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা এ প্রতিক্রিয়া জানান। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা মন্তব্য করেছেন, ইরানের ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপ করা হলে রাশিয়া তেহরানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করতে পারবে না।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা স্বীকার করেন, ব্রাজিল ও তুরস্কের সঙ্গে ইরানের যে চুক্তি হয়েছে তার আওতায় দেশটি পারমাণিক জ্বালানির জন্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে। কিন্তু ইরানের সামগ্রিক পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ওবামার মতে, পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে ইরান আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নতুন একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে ওবামা বলেন, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ছয় জাতির (নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স ও রাশিয়া এবং জার্মানি) আলোচনায় যোগ দিতে রাজি হয়নি। এ ছাড়া পরমাণু সমৃদ্ধকরণের কাজ বন্ধ করতেও রাজি হয়নি। তাই দেশটির ওপর আস্থা রাখা যায় না।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের ওপর চতুর্থ দফা অবরোধ আরোপে তারা একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। রাশিয়া ও চীনসহ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ এই খসড়া প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।
জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্বল্প সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আরও সমৃদ্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ব্রাজিল, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার পরও অবরোধ আরোপের এই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়। গত সোমবারের ওই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তার স্বল্প সমৃদ্ধ এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে। তুরস্ক ওই ইউরেনিয়াম জ্বালানি উপযোগী মানে সমৃদ্ধ করে তেহরানের কাছে ফেরত পাঠাবে।
নিরাপত্তা পরিষদের সহযোগী দেশ ব্রাজিল ও তুরস্ক আলোচনার মাধ্যমে ইরান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা বলেছেন, ইরানের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করা হলে রাশিয়া তার এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র তেহরানের কাছে বিক্রি করতে পারবে না। ইতিমধ্যে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের কাছে বিক্রি করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া। কিন্তু পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের চাপের কারণে সেগুলো তেহরানের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
অবরোধ আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে কোনো দেশ ট্যাংক, যুদ্ধযান, বড় কামান, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে পারবে না।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গে গত বুধবার টেলিফোনে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা এ প্রতিক্রিয়া জানান। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা মন্তব্য করেছেন, ইরানের ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপ করা হলে রাশিয়া তেহরানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করতে পারবে না।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা স্বীকার করেন, ব্রাজিল ও তুরস্কের সঙ্গে ইরানের যে চুক্তি হয়েছে তার আওতায় দেশটি পারমাণিক জ্বালানির জন্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে। কিন্তু ইরানের সামগ্রিক পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ওবামার মতে, পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে ইরান আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নতুন একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে ওবামা বলেন, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ছয় জাতির (নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স ও রাশিয়া এবং জার্মানি) আলোচনায় যোগ দিতে রাজি হয়নি। এ ছাড়া পরমাণু সমৃদ্ধকরণের কাজ বন্ধ করতেও রাজি হয়নি। তাই দেশটির ওপর আস্থা রাখা যায় না।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের ওপর চতুর্থ দফা অবরোধ আরোপে তারা একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। রাশিয়া ও চীনসহ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ এই খসড়া প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।
জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্বল্প সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আরও সমৃদ্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ব্রাজিল, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার পরও অবরোধ আরোপের এই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়। গত সোমবারের ওই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তার স্বল্প সমৃদ্ধ এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে। তুরস্ক ওই ইউরেনিয়াম জ্বালানি উপযোগী মানে সমৃদ্ধ করে তেহরানের কাছে ফেরত পাঠাবে।
নিরাপত্তা পরিষদের সহযোগী দেশ ব্রাজিল ও তুরস্ক আলোচনার মাধ্যমে ইরান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা বলেছেন, ইরানের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করা হলে রাশিয়া তার এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র তেহরানের কাছে বিক্রি করতে পারবে না। ইতিমধ্যে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের কাছে বিক্রি করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া। কিন্তু পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের চাপের কারণে সেগুলো তেহরানের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
অবরোধ আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে কোনো দেশ ট্যাংক, যুদ্ধযান, বড় কামান, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে পারবে না।
No comments