হরতালে কার লাভ -ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করতে হবে
বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বুধবার ঢাকার মহাসমাবেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ জনজীবনের যেসব সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন, তার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন না। দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে তাঁরা সরকারের ব্যর্থতা, অদক্ষতার বিষয়টি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরবেন, এটাই স্বাভাবিক। এমনকি ১৬ মাসের মাথায় নতুন নির্বাচনের যে দাবি খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, তাকেও জনমত গঠনের কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
কিন্তু এসব সমস্যার সমাধানে বিএনপি আগামী ২৭ জুন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের যে কর্মসূচি দিয়েছে, তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, হরতাল সমস্যার সমাধান না করে বরং তাকে আরও ঘনীভূত করবে। আমরা বরাবর হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরোধিতা করে আসছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধী আওয়ামী লীগ যখন হরতাল-অবরোধ ডেকেছে, তখনো আমরা জোরালোভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদই হবে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেখানে আলোচনা হতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে কোনো অজুহাত চলবে না। সরকারি দলের ইচ্ছামতো সংসদ পরিচালনা কিংবা বিরোধী দলের লাগাতার সংসদ বর্জনের পরিণাম কতটা ভয়াবহ হয়, তাও নিশ্চয়ই তাঁদের অজানা নয়। যে রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে, কোনো দায়িত্বশীল দল সেই কর্মসূচি দিতে পারে না।
গত এক দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, হরতাল-অবরোধে সরকারের পতন ঘটে না। বিরোধী দলের উপর্যুপরি হরতাল সত্ত্বেও আগের দুটি নির্বাচিত সরকারই মেয়াদ পুরো করেছে। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি রাজপথে সংঘাত-সংঘর্ষ বাড়ায়, রাজনীতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্ববিরোধিতা লক্ষণীয়। ক্ষমতায় থাকতে তাঁরা প্রচণ্ডভাবে হরতালের বিরোধী। আবার বিরোধী দলে থাকতে হরতাল-অবরোধকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। এই অসুস্থ ও অপরিণামদর্শী রাজনীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যে রাজনৈতিক দল জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করে, তারা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন কর্মসূচি কীভাবে নেয়, সেটাই প্রশ্ন। ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় ইতিমধ্যে হরতালের বিরোধিতা করেছে। এমনকি তাদের রাজনৈতিক মিত্ররাও এ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানায়নি। দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে বৃহত্তর জনগণের মনোভাবকে আমলে নিতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বের উচিত হবে, ২৭ জুনের হরতাল প্রত্যাহার করে বিকল্প কর্মসূচির কথা ভাবা। হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি যে কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না, সে কথাটি বিরোধী দলকে উপলব্ধি করতে হবে। অন্যদিকে বিরোধী দল যাতে সংসদে এসে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে পারে, সেই নিশ্চয়তাও সরকারি দলকে দিতে হবে।
কিন্তু এসব সমস্যার সমাধানে বিএনপি আগামী ২৭ জুন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের যে কর্মসূচি দিয়েছে, তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, হরতাল সমস্যার সমাধান না করে বরং তাকে আরও ঘনীভূত করবে। আমরা বরাবর হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরোধিতা করে আসছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধী আওয়ামী লীগ যখন হরতাল-অবরোধ ডেকেছে, তখনো আমরা জোরালোভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদই হবে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেখানে আলোচনা হতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে কোনো অজুহাত চলবে না। সরকারি দলের ইচ্ছামতো সংসদ পরিচালনা কিংবা বিরোধী দলের লাগাতার সংসদ বর্জনের পরিণাম কতটা ভয়াবহ হয়, তাও নিশ্চয়ই তাঁদের অজানা নয়। যে রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে, কোনো দায়িত্বশীল দল সেই কর্মসূচি দিতে পারে না।
গত এক দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, হরতাল-অবরোধে সরকারের পতন ঘটে না। বিরোধী দলের উপর্যুপরি হরতাল সত্ত্বেও আগের দুটি নির্বাচিত সরকারই মেয়াদ পুরো করেছে। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি রাজপথে সংঘাত-সংঘর্ষ বাড়ায়, রাজনীতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্ববিরোধিতা লক্ষণীয়। ক্ষমতায় থাকতে তাঁরা প্রচণ্ডভাবে হরতালের বিরোধী। আবার বিরোধী দলে থাকতে হরতাল-অবরোধকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। এই অসুস্থ ও অপরিণামদর্শী রাজনীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যে রাজনৈতিক দল জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করে, তারা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন কর্মসূচি কীভাবে নেয়, সেটাই প্রশ্ন। ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় ইতিমধ্যে হরতালের বিরোধিতা করেছে। এমনকি তাদের রাজনৈতিক মিত্ররাও এ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানায়নি। দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে বৃহত্তর জনগণের মনোভাবকে আমলে নিতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বের উচিত হবে, ২৭ জুনের হরতাল প্রত্যাহার করে বিকল্প কর্মসূচির কথা ভাবা। হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি যে কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না, সে কথাটি বিরোধী দলকে উপলব্ধি করতে হবে। অন্যদিকে বিরোধী দল যাতে সংসদে এসে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে পারে, সেই নিশ্চয়তাও সরকারি দলকে দিতে হবে।
No comments