সাংস্কৃতিক নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক by সাইফুদ্দীন চৌধুরী
১৯৮২ সালে মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বলা হয়েছিল, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির আত্মিক, বস্তুগত, বুদ্ধিগত, আবেগগত, চিন্তা ও কর্মধারার প্রকাশ। তখন সব দেশের সংস্কৃতির বিষয়গুলো চিহ্নিত করে নীতিমালা তৈরির ওপর তাগিদ দেওয়া হয়। একমাত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের দ্বারাই একটি দেশ-জাতি তার স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে পারে। ইউনেসকোর ওই কনভেনশনে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে—শিল্পীদের শিল্পকর্ম, সাহিত্যিকের সাহিত্য সাধনা, স্থপতির নির্মাণকর্ম, সংগীতশিল্পীর সংগীত সাধনা, নৃত্যশিল্পীর নৃত্যব্যঞ্জনা, বিজ্ঞানীর আবিষ্কার ও অনুসন্ধানকর্ম, জনগণের ধর্মবোধ এবং সেসব মূল্যবোধের সুকৃতি—যা জীবনকে অর্থ দান করে। জাতিসংঘ ২১ মেকে ‘বিশ্ব সংস্কৃতি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বের সব দেশে সংস্কৃতির অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে।
ইউনেসকোর ওই কনভেনশন অনুযায়ী বিশ্বের অনেক দেশই ‘সংস্কৃতি নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে। ইউনেসকো ঘোষণার প্রায় তিন দশক হতে চলল; বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। অথচ আমাদের দেশে যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, তা এ দেশের মানুষের আপামর জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার সঙ্গে অচ্ছেদ্য ও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এই সংস্কৃতি তো একেবারে জীবন্ত, এতে রয়েছে জল-হাওয়া আর মাটির স্পর্শ, ঘ্রাণ। দীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা জীবনচর্যার চালচিত্র এ সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এখানকার মানুষ জেগে উঠেছিল। একটি স্বতন্ত্র ভূখণ্ড জয়ের প্রত্যাশায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে সেই ভূখণ্ড। কিন্তু একে সুষ্ঠুভাবে রক্ষার পেছনে তো অনেক বাধা এখনো। দ্রুত নগরায়ণ, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বগ্রাস, পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন, অধিকন্তু জনগণের চাহিদা ও রুচির পরিবর্তন যেভাবে ঘটছে, তাতে দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট্ট দেশটির সংস্কৃতির চরিত্র রক্ষা করাই কঠিন।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অসংখ্য সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের এই দেশটির পরিচয় টিকিয়ে রাখার জন্য, হাজার বছরের ঐতিহ্য-অহংকারের বিষয়টি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন জরুরি বৈকি? এসব বিবেচনায় যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। আমাদের ভাষা-সাহিত্যের সুষ্ঠু চর্চা ও বিকাশ; সংগীত-যাত্রা-নাটক-শিল্পকলা-চলচ্চিত্রের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে তা যুগপৎ দর্শক-শ্রোতাদের রুচি অনুযায়ী উপস্থাপন ও সুষ্ঠু বিকাশের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেওয়া, রেডিও-টেলিভিশন-সংবাদপত্র প্রভৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দেশে ও বিদেশে তা প্রচারের বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ; দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ, মূল্যায়ন ও বিদেশে তা তুলে ধরার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ। বিশেষ করে, দেশে পুরাকীর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন ১৮৭৮ সালের ট্রেজারস ট্রুভ অ্যাক্ট, ১৯০৪ সালের এনসিয়েন্ট মনুমেন্ট প্রিজারভেশন অ্যাক্ট এবং ১৯৪৭ সালের অ্যান্টিকুইটিজ অ্যাক্ট হালনাগাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আইনগুলোয় বেশ কিছু সংযোজন, বিয়োজন ও আধুনিকায়নের প্রয়োজন রয়েছে। ইউনেসকো তার ওই কনভেনশনে Return and Restituting of Cultural Property নামে এক আইন প্রণয়নের কথা বলেছে। এ আইন প্রয়োগ করে আমাদের সরকারও বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া পুরাকীর্তির নিদর্শন দেশে ফিরিয়ে আনতে পারে। দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ভবন ভেঙে ফেলার যে জোয়ার দেশে শুরু হয়েছে, তা আইনের মাধ্যমে বন্ধ করা যাবে; যদি পুরাকীর্তির ওই আইনগুলোর আধুনিকায়ন করা হয়।
কথাটি এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করছি এ কারণে যে, একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আমাদের দেশে শতাধিক ঐতিহাসিক ইমারত ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরও দ্বিগুণ ওই ধরনের স্থাপনা বিলুপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কিছু কিছু ইমারত সংরক্ষণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, যা না করলেও ভালো হতো। কারণ ওই সব ভবনের ঐতিহাসিক মর্যাদা ও শ্রী দুই-ই হারিয়ে গেছে। দৃষ্টান্ত হিসেবে মুসলিম বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের পানাম নগর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং নওগাঁর, পতিসর ও শিলাইদহের রবীন্দ্রস্মৃতি-বিজড়িত কুঠিবাড়ি দুটির উল্লেখ করা যায়। মূল স্থাপত্যশৈলী, অলংকরণ-বৈশিষ্ট্য তো বিকৃত করা হয়েছেই, ইমারতগুলোর রংও বদলে ফেলা হয়েছে। সংস্কৃতি নীতিজ্ঞানের অভাবেই এমনটি হয়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
আদতে সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক প্রায়োগিক বিজ্ঞানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক না থাকার দরুনই এসব ঘটেছে।
একটি সাংস্কৃতিক নীতিমালা প্রণীত হলে দেশের সংস্কৃতির বিকাশ ত্বরান্বিত হবে; বিশ্বের অন্যান্য সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সম্পর্ক স্থাপনও সম্ভব হবে। কেবল তখনই সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির আদান-প্রদান সহজতর হবে। সরকার কমিশন গঠন করে জনমত যাচাই করেই তো এই নীতিমালা প্রণয়ন করবে—কাজেই সেখানে সবারই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ থাকবে। কমিশন দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে বিভিন্ন ধারায় পর্যবেক্ষণ করে তো কাজ করবে। এই সাংস্কৃতিক নীতি বিদেশে দেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব করবে। সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক নীতিমালা না থাকায় দেশে ও দেশের বাইরে যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলের উপস্থাপিত কিছু অনুষ্ঠানের বিষয়ে আপত্তি এসেছে। বিদেশে অনুষ্ঠিত অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই যথার্থ অর্থে বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে না বলে অনেকে মনে করেন।
‘বিশ্ব সংস্কৃতি দিবস’ আদতেই আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে ভাববার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। ইউনেসকোর ওই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যেই কেবল নয়, দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষা এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা আধুনিক বিজ্ঞাননির্ভর সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কমিশন গঠন করে দেশের সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আশা করি, সরকার বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ইউনেসকোর ওই কনভেনশন অনুযায়ী বিশ্বের অনেক দেশই ‘সংস্কৃতি নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে। ইউনেসকো ঘোষণার প্রায় তিন দশক হতে চলল; বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। অথচ আমাদের দেশে যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, তা এ দেশের মানুষের আপামর জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার সঙ্গে অচ্ছেদ্য ও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এই সংস্কৃতি তো একেবারে জীবন্ত, এতে রয়েছে জল-হাওয়া আর মাটির স্পর্শ, ঘ্রাণ। দীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা জীবনচর্যার চালচিত্র এ সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এখানকার মানুষ জেগে উঠেছিল। একটি স্বতন্ত্র ভূখণ্ড জয়ের প্রত্যাশায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে সেই ভূখণ্ড। কিন্তু একে সুষ্ঠুভাবে রক্ষার পেছনে তো অনেক বাধা এখনো। দ্রুত নগরায়ণ, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বগ্রাস, পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন, অধিকন্তু জনগণের চাহিদা ও রুচির পরিবর্তন যেভাবে ঘটছে, তাতে দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট্ট দেশটির সংস্কৃতির চরিত্র রক্ষা করাই কঠিন।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অসংখ্য সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের এই দেশটির পরিচয় টিকিয়ে রাখার জন্য, হাজার বছরের ঐতিহ্য-অহংকারের বিষয়টি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন জরুরি বৈকি? এসব বিবেচনায় যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। আমাদের ভাষা-সাহিত্যের সুষ্ঠু চর্চা ও বিকাশ; সংগীত-যাত্রা-নাটক-শিল্পকলা-চলচ্চিত্রের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে তা যুগপৎ দর্শক-শ্রোতাদের রুচি অনুযায়ী উপস্থাপন ও সুষ্ঠু বিকাশের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেওয়া, রেডিও-টেলিভিশন-সংবাদপত্র প্রভৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দেশে ও বিদেশে তা প্রচারের বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ; দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ, মূল্যায়ন ও বিদেশে তা তুলে ধরার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ। বিশেষ করে, দেশে পুরাকীর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন ১৮৭৮ সালের ট্রেজারস ট্রুভ অ্যাক্ট, ১৯০৪ সালের এনসিয়েন্ট মনুমেন্ট প্রিজারভেশন অ্যাক্ট এবং ১৯৪৭ সালের অ্যান্টিকুইটিজ অ্যাক্ট হালনাগাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আইনগুলোয় বেশ কিছু সংযোজন, বিয়োজন ও আধুনিকায়নের প্রয়োজন রয়েছে। ইউনেসকো তার ওই কনভেনশনে Return and Restituting of Cultural Property নামে এক আইন প্রণয়নের কথা বলেছে। এ আইন প্রয়োগ করে আমাদের সরকারও বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া পুরাকীর্তির নিদর্শন দেশে ফিরিয়ে আনতে পারে। দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ভবন ভেঙে ফেলার যে জোয়ার দেশে শুরু হয়েছে, তা আইনের মাধ্যমে বন্ধ করা যাবে; যদি পুরাকীর্তির ওই আইনগুলোর আধুনিকায়ন করা হয়।
কথাটি এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করছি এ কারণে যে, একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আমাদের দেশে শতাধিক ঐতিহাসিক ইমারত ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরও দ্বিগুণ ওই ধরনের স্থাপনা বিলুপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কিছু কিছু ইমারত সংরক্ষণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, যা না করলেও ভালো হতো। কারণ ওই সব ভবনের ঐতিহাসিক মর্যাদা ও শ্রী দুই-ই হারিয়ে গেছে। দৃষ্টান্ত হিসেবে মুসলিম বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের পানাম নগর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং নওগাঁর, পতিসর ও শিলাইদহের রবীন্দ্রস্মৃতি-বিজড়িত কুঠিবাড়ি দুটির উল্লেখ করা যায়। মূল স্থাপত্যশৈলী, অলংকরণ-বৈশিষ্ট্য তো বিকৃত করা হয়েছেই, ইমারতগুলোর রংও বদলে ফেলা হয়েছে। সংস্কৃতি নীতিজ্ঞানের অভাবেই এমনটি হয়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
আদতে সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক প্রায়োগিক বিজ্ঞানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক না থাকার দরুনই এসব ঘটেছে।
একটি সাংস্কৃতিক নীতিমালা প্রণীত হলে দেশের সংস্কৃতির বিকাশ ত্বরান্বিত হবে; বিশ্বের অন্যান্য সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সম্পর্ক স্থাপনও সম্ভব হবে। কেবল তখনই সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির আদান-প্রদান সহজতর হবে। সরকার কমিশন গঠন করে জনমত যাচাই করেই তো এই নীতিমালা প্রণয়ন করবে—কাজেই সেখানে সবারই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ থাকবে। কমিশন দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে বিভিন্ন ধারায় পর্যবেক্ষণ করে তো কাজ করবে। এই সাংস্কৃতিক নীতি বিদেশে দেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব করবে। সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক নীতিমালা না থাকায় দেশে ও দেশের বাইরে যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলের উপস্থাপিত কিছু অনুষ্ঠানের বিষয়ে আপত্তি এসেছে। বিদেশে অনুষ্ঠিত অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই যথার্থ অর্থে বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে না বলে অনেকে মনে করেন।
‘বিশ্ব সংস্কৃতি দিবস’ আদতেই আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে ভাববার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। ইউনেসকোর ওই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যেই কেবল নয়, দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষা এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা আধুনিক বিজ্ঞাননির্ভর সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কমিশন গঠন করে দেশের সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আশা করি, সরকার বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
No comments