উ. কোরীয় টর্পেডোর আঘাতে দ. কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ ডুবেছে
গত মার্চ মাসে পীত সাগরে উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজটি ডুবে গেছে বলে আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরীয় ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া টর্পেডোর আঘাতেই দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজটি ডুবে যায়।
এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে উত্তর কোরিয়া এ প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ ‘সাজানো’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এই মিথ্যা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হলে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
গত ২৬ মার্চ পীত সাগরে দুই কোরিয়ারর বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে যায়। এতে ৪৬ জন নাবিকের প্রাণহানি ঘটে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের বিশেষজ্ঞরা মিলে তদন্ত করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর আগে বলা হয়েছিল, কোরীয় যুদ্ধের সময় ব্যবহূত অবিস্ফোরিত মাইনের আঘাতে জাহাজটি ডুবে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ‘অন্য কোনো বিস্ফোরণ’-এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা টর্পেডোর অংশবিশেষের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর ‘হুবহু মিল’ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া সাত বছর আগে উত্তর কোরিয়ার একটি টর্পেডো উদ্ধার করেছিল। মার্চ মাসের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা টর্পেডোর অংশের সঙ্গে সেই টর্পেডোর মিল পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাক বলেছেন, সিউলের যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ‘পাল্টা ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। তবে তিনি পাল্টা সামরিক হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানানো হতে পারে বলে সিউলের কর্মকর্তারা জানান। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিম ইয়ং-সান বলেছেন, এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনাকে গভীর উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউস এ হামলার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং দুই কোরিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ বলেছেন, এটি একটি অবিবেচকের মতো কাজ। জাপান বলেছে, এ ঘটনার কোনো ক্ষমা নেই। তবে চীন বলেছে, দুই কোরিয়ার অবশ্যই সংযম প্রদর্শন করা উচিত।
এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে উত্তর কোরিয়া এ প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ ‘সাজানো’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এই মিথ্যা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হলে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
গত ২৬ মার্চ পীত সাগরে দুই কোরিয়ারর বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে যায়। এতে ৪৬ জন নাবিকের প্রাণহানি ঘটে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের বিশেষজ্ঞরা মিলে তদন্ত করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর আগে বলা হয়েছিল, কোরীয় যুদ্ধের সময় ব্যবহূত অবিস্ফোরিত মাইনের আঘাতে জাহাজটি ডুবে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ‘অন্য কোনো বিস্ফোরণ’-এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা টর্পেডোর অংশবিশেষের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর ‘হুবহু মিল’ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া সাত বছর আগে উত্তর কোরিয়ার একটি টর্পেডো উদ্ধার করেছিল। মার্চ মাসের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা টর্পেডোর অংশের সঙ্গে সেই টর্পেডোর মিল পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাক বলেছেন, সিউলের যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ‘পাল্টা ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। তবে তিনি পাল্টা সামরিক হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানানো হতে পারে বলে সিউলের কর্মকর্তারা জানান। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিম ইয়ং-সান বলেছেন, এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনাকে গভীর উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউস এ হামলার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং দুই কোরিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ বলেছেন, এটি একটি অবিবেচকের মতো কাজ। জাপান বলেছে, এ ঘটনার কোনো ক্ষমা নেই। তবে চীন বলেছে, দুই কোরিয়ার অবশ্যই সংযম প্রদর্শন করা উচিত।
No comments