রাজনৈতিক সংস্কারবিষয়ক বিভিন্ন নীতির অন্তর্ভুক্তি
কনজারভেটিভ পার্টি বা টোরিদের সঙ্গে লিবারেল ডেমোক্র্যাটসদের (লিব ডেম) জোট গঠনসংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ চুক্তি প্রকাশ করা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। দুই দলের নেতারা এই চুক্তিকে একটি ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, চুক্তিতে পৌঁছাতে দুই দলকেই নীতিগত ছাড় দিতে হয়েছে। তবে একটি ভালো সংস্কারবাদী সরকার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা এই জোটের রয়েছে।
ক্যামেরন বলেন, এই চুক্তি যুক্তরাজ্যকে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সরকার উপহার দেবে। অন্যদিকে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস নেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, তিনটি শব্দ দিয়ে চুক্তিটি সংজ্ঞায়িত করা যায়—স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ববোধ। দুই নেতা একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ৩৪ পৃষ্ঠার এই চুক্তি প্রকাশ করেন। নয় দিন ধরে চুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পায় যুক্তরাজ্যবাসী। জোট সরকার গঠনের জন্য টোরি-লিব ডেম আলোচনার পর চার পৃষ্ঠার যে সমঝোতা চুক্তি হয়, তার ওপর ভিত্তি করেই পূর্ণাঙ্গ এই চুক্তি করা হয়।
চুক্তিতে ব্যাংকিং, নাগরিক স্বাধীনতা, প্রতিরক্ষা, পরিবেশ, অভিবাসন, জনকল্যাণ ও রাজনৈতিক সংস্কারবিষয়ক বিভিন্ন নীতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব নীতির অনেকগুলোতেই এর আগে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন দুই দলের নেতারা। চুক্তিতে রাজকীয় ডাক বিভাগের একটি অংশ বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। যদিও জনগণের মালিকানাতেই এই ডাক বিভাগকে রাখার প্রতিশ্রুতি জানানো হয়েছে চুক্তিতে।
অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ বিভাগের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে বাদীর পরিচয়ের গোপনীয়তার পরিধি আরও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। নিম্নমানের মদ বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে এবং যেসব পানশালা অনেক রাত পর্যন্ত খোলা রাখা হয়, তাদের ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে চুক্তিতে।
নতুন জোট সরকার যুক্তরাজ্যে আগামী এক বছর কাউন্সিল ট্যাক্স (এক ধরনের কর) আদায় স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া কাজের ক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ চাওয়ার অনুরোধ জানানোর অধিকার পাবেন সে দেশের সব শ্রমিক।
ডেভিড ক্যামেরন ও নিক ক্লেগ বলেছেন, তাঁদের সরকারের সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সমস্যাটি হচ্ছে দেশের বর্তমান বাজেট ঘাটতি। তবে তার মানে এই নয় যে, সরকার একটি সংস্কার কর্মসূচি চালাতে পারবে না।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ক্যামেরন বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই চুক্তিতে অনেক বেশি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, যা কনজারভেটিভ পার্টি বা লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল না। নিক ক্লেগ বলেন, ‘এই দলিল আমাদের দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাবে। আমাদের সরকার এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।’ তিনি বলেন, অবশ্যই দুই দলকে ছাড় দিতে হয়েছে। কিন্তু সেই ছাড় চূড়ান্ত ফলকে দুর্বল করেনি বরং শক্তিশালী করেছে। রক্ষণশীলতা ও উদারতা—এই ভিন্ন দুই সংস্কৃতির ধারক দুটি দল তাদের ঐতিহ্য ও শক্তির ওপর ভিত্তি করে একত্র হয়ে একটি একক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এই চুক্তির মাধ্যমে।
ক্যামেরন বলেন, এই চুক্তি যুক্তরাজ্যকে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সরকার উপহার দেবে। অন্যদিকে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস নেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, তিনটি শব্দ দিয়ে চুক্তিটি সংজ্ঞায়িত করা যায়—স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্ববোধ। দুই নেতা একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ৩৪ পৃষ্ঠার এই চুক্তি প্রকাশ করেন। নয় দিন ধরে চুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পায় যুক্তরাজ্যবাসী। জোট সরকার গঠনের জন্য টোরি-লিব ডেম আলোচনার পর চার পৃষ্ঠার যে সমঝোতা চুক্তি হয়, তার ওপর ভিত্তি করেই পূর্ণাঙ্গ এই চুক্তি করা হয়।
চুক্তিতে ব্যাংকিং, নাগরিক স্বাধীনতা, প্রতিরক্ষা, পরিবেশ, অভিবাসন, জনকল্যাণ ও রাজনৈতিক সংস্কারবিষয়ক বিভিন্ন নীতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব নীতির অনেকগুলোতেই এর আগে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন দুই দলের নেতারা। চুক্তিতে রাজকীয় ডাক বিভাগের একটি অংশ বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। যদিও জনগণের মালিকানাতেই এই ডাক বিভাগকে রাখার প্রতিশ্রুতি জানানো হয়েছে চুক্তিতে।
অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ বিভাগের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে বাদীর পরিচয়ের গোপনীয়তার পরিধি আরও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। নিম্নমানের মদ বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে এবং যেসব পানশালা অনেক রাত পর্যন্ত খোলা রাখা হয়, তাদের ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে চুক্তিতে।
নতুন জোট সরকার যুক্তরাজ্যে আগামী এক বছর কাউন্সিল ট্যাক্স (এক ধরনের কর) আদায় স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া কাজের ক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ চাওয়ার অনুরোধ জানানোর অধিকার পাবেন সে দেশের সব শ্রমিক।
ডেভিড ক্যামেরন ও নিক ক্লেগ বলেছেন, তাঁদের সরকারের সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সমস্যাটি হচ্ছে দেশের বর্তমান বাজেট ঘাটতি। তবে তার মানে এই নয় যে, সরকার একটি সংস্কার কর্মসূচি চালাতে পারবে না।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ক্যামেরন বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই চুক্তিতে অনেক বেশি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, যা কনজারভেটিভ পার্টি বা লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল না। নিক ক্লেগ বলেন, ‘এই দলিল আমাদের দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাবে। আমাদের সরকার এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।’ তিনি বলেন, অবশ্যই দুই দলকে ছাড় দিতে হয়েছে। কিন্তু সেই ছাড় চূড়ান্ত ফলকে দুর্বল করেনি বরং শক্তিশালী করেছে। রক্ষণশীলতা ও উদারতা—এই ভিন্ন দুই সংস্কৃতির ধারক দুটি দল তাদের ঐতিহ্য ও শক্তির ওপর ভিত্তি করে একত্র হয়ে একটি একক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এই চুক্তির মাধ্যমে।
No comments