জনমত গঠনে ইন্টারনেটকে বেছে নিয়েছে মিসরীয়রা
প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের দীর্ঘ ৩০ বছরের শাসনে একপ্রকার নাভিশ্বাসই উঠেছে মিসরীয়দের জীবনে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তনের প্রত্যাশায় তাঁরা উন্মুখ। কিন্তু কে হবেন পরিবর্তনের সেই কাঙ্ক্ষিত কাণ্ডারি! জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান মোহাম্মদ এল বারাদি যেদিন ঘোষণা দিলেন, তিনি বদলে দিতে চান মিসরের জীর্ণ রাজনৈতিক কাঠামো; সেই দিন থেকেই মিসরীয়দের মনে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র হয়েছে।
তবে মনে চাইলেই তো আর হুট করে একটি শক্তিশালী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য চাই ব্যাপক জনমত গঠন। কিন্তু মিসরের রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করে সরকারবিরোধী জনমত তৈরি করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। সরকার এ ধরনের জনমত গঠন আন্দোলন দমনের ব্যাপারে বেশ কঠোর। তাই বলে তো বসে থাকলে চলবে না! মিসরের জনগণ এবার সরকারবিরোধী জনমত গঠনের বিকল্প পন্থা হিসেবে ইন্টারনেটকে বেছে নিয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে এল বারাদি মিসরে আসার পর ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে তাঁর কয়েক লাখ ভক্ত জুটে গেছেন। তাঁরা ইন্টারনেটে বারাদির পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এল বারাদির প্রতি এ ধরনের সমর্থনের পেছনে রয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রতি জনগণের চাপা ক্ষোভ।
তবে অনেকেই বলছেন, যে ব্যক্তি (হোসনি মোবারক) ১৯৮১ সাল থেকে মিসরের শাসনকার্য পরিচালনা করে আসছেন, তাঁকে শুধু ইন্টারনেটভিত্তিক জনমত গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে পরাজিত করা সম্ভব হবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বরং তাঁর বিরুদ্ধে সুসংগঠিত জনমত গড়ে তুলতে হলে রাজপথে নামতে হবে। ফেসবুকে এল বারাদির সমর্থক আবদেল রহমানও এমনটাই মনে করেন। তাঁর মতে, এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য যাঁরা ইন্টারনেটে ব্যবহার করেন কিংবা করেন না, তাঁদের সবারই সহযোগিতা দরকার।
মিসরের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমির হামজাও সরকারবিরোধী জনমত গঠনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন। তিনি এ ধরনের চেষ্টাকে অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, এ উদ্যোগের ভিত্তি খুবই দুর্বল। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছেন, বিরোধী দল ছাড়া এ ধরনের চেষ্টা অর্থহীন। বিশ্লেষকদের মতে, এটা একটা কঠিন কাজ। কেননা দেশটির বিরোধীরা খুবই দুর্বল এবং মানুষের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তাও নেই। দেশটির প্রধান বিরোধী দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে সরকার অনেক আগেই নিষিদ্ধ করেছে। একমাত্র এ দলটিরই দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক আছে। তারা চাইলেই হাজার হাজার মানুষকে রাজপথে নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু তাদের মধ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দ্বিধা রয়েছে। কেননা, এতে করে তাদের টিকে থাকাটাই হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে মিসরে বড় ধরনের জনমত গড়ে তোলাটা খুব একটা সহজ হবে না। a
তবে মনে চাইলেই তো আর হুট করে একটি শক্তিশালী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য চাই ব্যাপক জনমত গঠন। কিন্তু মিসরের রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করে সরকারবিরোধী জনমত তৈরি করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। সরকার এ ধরনের জনমত গঠন আন্দোলন দমনের ব্যাপারে বেশ কঠোর। তাই বলে তো বসে থাকলে চলবে না! মিসরের জনগণ এবার সরকারবিরোধী জনমত গঠনের বিকল্প পন্থা হিসেবে ইন্টারনেটকে বেছে নিয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে এল বারাদি মিসরে আসার পর ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে তাঁর কয়েক লাখ ভক্ত জুটে গেছেন। তাঁরা ইন্টারনেটে বারাদির পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এল বারাদির প্রতি এ ধরনের সমর্থনের পেছনে রয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রতি জনগণের চাপা ক্ষোভ।
তবে অনেকেই বলছেন, যে ব্যক্তি (হোসনি মোবারক) ১৯৮১ সাল থেকে মিসরের শাসনকার্য পরিচালনা করে আসছেন, তাঁকে শুধু ইন্টারনেটভিত্তিক জনমত গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে পরাজিত করা সম্ভব হবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বরং তাঁর বিরুদ্ধে সুসংগঠিত জনমত গড়ে তুলতে হলে রাজপথে নামতে হবে। ফেসবুকে এল বারাদির সমর্থক আবদেল রহমানও এমনটাই মনে করেন। তাঁর মতে, এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য যাঁরা ইন্টারনেটে ব্যবহার করেন কিংবা করেন না, তাঁদের সবারই সহযোগিতা দরকার।
মিসরের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমির হামজাও সরকারবিরোধী জনমত গঠনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন। তিনি এ ধরনের চেষ্টাকে অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, এ উদ্যোগের ভিত্তি খুবই দুর্বল। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছেন, বিরোধী দল ছাড়া এ ধরনের চেষ্টা অর্থহীন। বিশ্লেষকদের মতে, এটা একটা কঠিন কাজ। কেননা দেশটির বিরোধীরা খুবই দুর্বল এবং মানুষের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তাও নেই। দেশটির প্রধান বিরোধী দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে সরকার অনেক আগেই নিষিদ্ধ করেছে। একমাত্র এ দলটিরই দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক আছে। তারা চাইলেই হাজার হাজার মানুষকে রাজপথে নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু তাদের মধ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দ্বিধা রয়েছে। কেননা, এতে করে তাদের টিকে থাকাটাই হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে মিসরে বড় ধরনের জনমত গড়ে তোলাটা খুব একটা সহজ হবে না। a
No comments