তার পরও জয় স্মিথদের
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতেছেন বলেই রক্ষা। এখন ব্যাপারটা নিয়ে হাস্যরসই বেশি হচ্ছে, কিন্তু ম্যাচ হারলে ভালো রকম ভর্ৎসনাই হজম করতে হতো গ্রায়েম স্মিথ ও লুটস বসম্যানকে। যে যুগে আউট হলেও ব্যাটসম্যানরা উইকেট ছাড়তে চান না, সেখানে স্মিথ-বসম্যান ছেড়েছেন আউট না হতেই! ম্যাচের ফলাফলে অবশ্য এর প্রভাব পড়েনি। পরশু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেছে স্মিথের দল। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেই ৫ উইকেট নিয়েছেন পেসার রায়ান ম্যাকলারেন।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারায় চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে। জেরম টেলরের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন বসম্যান, ব্যাটে বল না লাগায় ওয়াইড বলের সংকেত দেন আম্পায়ার। কিন্তু সবাইকে অবাক করে নিজেই ক্রিজ ছাড়েন বসম্যান, টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে সঠিক ছিলেন আম্পায়ারই।
জ্যাক ক্যালিসের সঙ্গে স্মিথের ৫৪ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত জুটিটির সমাপ্তি প্রায় একইভাবে। নিকিতা মিলারের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন স্মিথ, কিন্তু ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ার পর ফলো থ্রুতে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটকিপার আন্দ্রে ফ্লেচার, আউট হয়েছেন ভেবে মাঠ ছেড়ে যান স্মিথ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ফ্লেচার স্টাম্প ভাঙার সময় স্মিথের পা ক্রিজের ভেতরেই ছিল, বেরিয়েছেন পরে। ততক্ষণে অবশ্য দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন স্মিথ, ৪৫ বলে ৫৩ রান করেন ক্যালিস। ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে ১০০ রানকেই বলা হচ্ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোর। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেরা গুটিয়ে যায় ১২৩ রানেই।
কাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেলর ৩টি, স্যামি ২টি ও বেন ১টি উইকেট নেন। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৩৬/৭ (ক্যালিস ৫৩, স্মিথ ৩৭; পোলার্ড ২/২২, রোচ ২/২৫, মিলার ১/১৩, টেলর ১/১৬), ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.৫ ওভারে ১২৩ (পোলার্ড ২৭, ব্রাভো ২০, স্যামি ১৭; ম্যাকলারেন ৫/১৯, বোথা ২/১৯, ফন ডার মারউই ১/১৯, ল্যাঙ্গেভেল্ট ১/৩১)।
No comments