আমরা অসহায় নই by কামাল হোসেন
১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার যে রায় হয়েছে তা দেশের জন্য একটি অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা। একটা স্বাধীন দেশে এই রকম জঘন্য অপরাধের বিচার চূড়ান্ত পর্যায়ে আনতে ৩৪ বছর কেন লেগেছে? দেশে যদি সাংবিধানিক শাসন, আইনের শাসন সঠিকভাবে চলত, তবে কোনোভাবেই এ বিচার এতদিন ঝুলতে পারত না। আমাদের জাতির জনক, যার নেতৃত্বে আমরা একটি ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করলাম, সেই নেতা তাঁর পরিবারসহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন। এই ঘটনার তদন্ত, বিচার, বিচার কার্যকরে এই দীর্ঘসুত্রিতা লজ্জার বিষয়। জাতি হিসেবে নিজেদের তো বোঝাতে হবে বিচার করতে আমাদের কেন এত সময় লাগল!
সাংবিধানিক শাসন হলো আমাদের স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় পাওয়া। এর অর্থ হলো আমরা একটা রাষ্ট্র পেয়েছি যা সাংবিধানিক শাসনের অধীনে থাকবে; এখানে মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। নিশ্চিত করার মানে হলো আইনের আশ্রয়ে মানুষ থাকবে। কেউ যদি কারোর এই অধিকারের ওপর আঘাত দেয়, আক্রমণ করে, আইন তার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা নেবে। তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে কারা দায়ী, এর পেছনে কারা এবং সবাইকে আইনের আওতায় এনে কার্যকরভাবে বিচার করবে। সেই বিচারের ভিত্তিতে রায় হবে। রায়ের আপিল ঝুলিয়ে রাখা হবে না। বিশেষ করে এত বড় একটা ঘটনা, যেখানে একটা দৃষ্টান্তমূলক শিক্ষা দেওয়া হয় যে এই ধরনের ঘটনাকে রাষ্ট্র, জাতি কোনো সময় ভালোভাবে নেবে না এবং শক্ত হাতে এটাকে দমন করবে, তাহলেই তো মানুষ নিরাপত্তা পায়।
গত ৩৪ বছরের পর্যালোচনা করলে আমরা দেখব, জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডের পর সংবিধান আক্রমণের শিকার হলো, অস্বাভাবিক অবস্থা দেশে সৃষ্টি হলো। সাংবিধানিক শাসনের পরিবর্তে আমরা দেখলাম অসাংবিধানিক শাসন। যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তথাকথিত আইন করে তাদের ব্যাপারে তদন্ত, বিচার বন্ধ করে দেওয়া হলো। স্থগিত করে দেওয়া হলো আইনের শাসনকে, সংবিধানকে। এই বিচারপ্রক্রিয়াকে বন্ধ করার জন্য তথাকথিত আইন হলো, ইনডেমনিটি আইন। এই তথাকথিত আইন বিচারকে বাধা দিয়ে চলল।
জনগণের বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলাম। নব্বইয়ের আগে অপরাধীরা সেই তথাকথিত আইনের আশ্রয়ই শুধু পায়নি, তাদের মধ্যে একজন হত্যাকারীকে দেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো। তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দেওয়া হলো। যারা এসব করেছিল, সেই অশুভ শক্তিকে আমাদের আন্দোলনের পরিণতিতে নব্বইয়ে সরিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু হলো।
১৯৯৬-এর নির্বাচনের পর সেই তথাকথিত আইনকে আমরা আদালতে নিয়ে গেলে আদালত তা অবৈধ ঘোষণা করেন। আমি সেখানে যে যুক্তি খাড়া করেছিলাম তা হলো, এটা শুধু অবৈধই নয়, এটাকে কোনো আইন হিসেবে গণ্য করা যায় না। কেননা এটা সংবিধানের ষোলো আনা পরিপন্থী। সংবিধান বলছে আইনের চোখে সবাই সমান, যে হত্যা করেছে তার বিচার হবে, বিচার অনুযায়ী রায় হবে, রায় কার্যকর করা হবে। সেখানে আইন দিয়ে একটা বাধা সৃষ্টি করে তাকে তথাকথিত ইনডেমনিটি দিয়ে দেওয়া যে কতখানি অসাংবিধানিক সেটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালত রায়ের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন।
তারপরে ’৯৮ সালে বিচার শুরু হলো। বিচার শেষ হওয়ার পর আপিলের বিধানকে ভিত্তি করে আরও ১১ বছর এ ব্যাপারটা বিলম্বিত হলো। হাইকোর্টের রায়ের পর আপিল বিভাগে এসে ঝুলতে থাকল প্রায় সাত বছর। অজুহাত দেওয়া হলো যে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে একটা বেঞ্চ গঠন করা যাচ্ছে না, কেননা বিচারপতিদের কেউ কেউ হাইকোর্টের বিচারে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এটা খুবই খোড়া যুক্তি। কেননা আপিল বিভাগের স্পষ্ট বিধান রয়েছে, এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য হাইকোর্ট থেকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এটা কেন দেওয়া হলো না এবং যে দাবিগুলো করা হয়েছিল সেগুলো কেন উপেক্ষা করা হলো তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে জাতীয় পর্যায়ে মূল্যায়ন করতে হবে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটে। উভয় ঘটনায় একই রকমের অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। আমাদের জাতির বিজয়ে যারা পরাজিত হয়েছিল তারাই এই অশুভ শক্তি। সেই ৩ নভেম্বরের বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। সে ব্যাপারে সাংবিধানিক কর্তব্য রাষ্ট্রকে পালন করতে হবে।
এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হত্যাকাণ্ড, জঙ্গিবাদ ও বোমাবাজদের ভয়াবহ আক্রমণ, এবং অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধ এবং জাতীয় অর্থনীতিকে গুরুতরভাবে আঘাত করার মতো বড় আকারের দুর্নীতির সঠিক তদন্ত শুরু করার পথে বিভিন্ন সময়ে নানা বাধা তৈরি হয়েছে। অপরাধীদের নানা রকমের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। একেক সময় মনে হয় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকেরা অসহায় ও নীরব দর্শক, যারা অন্তর থেকে চায় এসব ব্যাপারে আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হোক। কিন্তু দেখা যায় যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের অর্থ এবং প্রভাব খাটিয়ে আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান করে। আজ এ তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা দেরিতে ঘটলেও, যারা অপরাধী তাদের বিচার সম্পন্ন করে রায় কার্যকর হওয়ার পর্যায়ে এসেছে। এটি প্রমাণ করে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
অতীত থেকে আমাদের যে শিক্ষা গ্রহণ করা দরকার তা হলো, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রশাসন এবং তদন্তকারীকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকতে হয়।
আজ আমি মনে করি, সারা জাতির বিশ্বাস ফিরে আসা উচিত যে আমরা অসহায় নই। সংবিধান এবং আইনকে অবশ্যই কাজে লাগানো যায়। আইনের চোখে সবাই সমান, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়—এই কথাগুলো সত্যিকার অর্থে গ্রহণ করে আমরা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি, তাহলে অপরাধীদের কাছে আমরা এ বার্তা পৌঁছে দিতে পারব যে অপরাধ করে তারা জবাবদিহি থেকে মুক্ত হতে পারে না। সচেতন নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের বিচার করার শক্তি সঞ্চয় করে এবং এসব ব্যক্তির সুবিচার নিশ্চিত করতে পারে।
ড. কামাল হোসেন: সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও গণফোরাম সভাপতি।
সাংবিধানিক শাসন হলো আমাদের স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় পাওয়া। এর অর্থ হলো আমরা একটা রাষ্ট্র পেয়েছি যা সাংবিধানিক শাসনের অধীনে থাকবে; এখানে মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। নিশ্চিত করার মানে হলো আইনের আশ্রয়ে মানুষ থাকবে। কেউ যদি কারোর এই অধিকারের ওপর আঘাত দেয়, আক্রমণ করে, আইন তার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা নেবে। তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে কারা দায়ী, এর পেছনে কারা এবং সবাইকে আইনের আওতায় এনে কার্যকরভাবে বিচার করবে। সেই বিচারের ভিত্তিতে রায় হবে। রায়ের আপিল ঝুলিয়ে রাখা হবে না। বিশেষ করে এত বড় একটা ঘটনা, যেখানে একটা দৃষ্টান্তমূলক শিক্ষা দেওয়া হয় যে এই ধরনের ঘটনাকে রাষ্ট্র, জাতি কোনো সময় ভালোভাবে নেবে না এবং শক্ত হাতে এটাকে দমন করবে, তাহলেই তো মানুষ নিরাপত্তা পায়।
গত ৩৪ বছরের পর্যালোচনা করলে আমরা দেখব, জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডের পর সংবিধান আক্রমণের শিকার হলো, অস্বাভাবিক অবস্থা দেশে সৃষ্টি হলো। সাংবিধানিক শাসনের পরিবর্তে আমরা দেখলাম অসাংবিধানিক শাসন। যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তথাকথিত আইন করে তাদের ব্যাপারে তদন্ত, বিচার বন্ধ করে দেওয়া হলো। স্থগিত করে দেওয়া হলো আইনের শাসনকে, সংবিধানকে। এই বিচারপ্রক্রিয়াকে বন্ধ করার জন্য তথাকথিত আইন হলো, ইনডেমনিটি আইন। এই তথাকথিত আইন বিচারকে বাধা দিয়ে চলল।
জনগণের বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলাম। নব্বইয়ের আগে অপরাধীরা সেই তথাকথিত আইনের আশ্রয়ই শুধু পায়নি, তাদের মধ্যে একজন হত্যাকারীকে দেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো। তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দেওয়া হলো। যারা এসব করেছিল, সেই অশুভ শক্তিকে আমাদের আন্দোলনের পরিণতিতে নব্বইয়ে সরিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু হলো।
১৯৯৬-এর নির্বাচনের পর সেই তথাকথিত আইনকে আমরা আদালতে নিয়ে গেলে আদালত তা অবৈধ ঘোষণা করেন। আমি সেখানে যে যুক্তি খাড়া করেছিলাম তা হলো, এটা শুধু অবৈধই নয়, এটাকে কোনো আইন হিসেবে গণ্য করা যায় না। কেননা এটা সংবিধানের ষোলো আনা পরিপন্থী। সংবিধান বলছে আইনের চোখে সবাই সমান, যে হত্যা করেছে তার বিচার হবে, বিচার অনুযায়ী রায় হবে, রায় কার্যকর করা হবে। সেখানে আইন দিয়ে একটা বাধা সৃষ্টি করে তাকে তথাকথিত ইনডেমনিটি দিয়ে দেওয়া যে কতখানি অসাংবিধানিক সেটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালত রায়ের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন।
তারপরে ’৯৮ সালে বিচার শুরু হলো। বিচার শেষ হওয়ার পর আপিলের বিধানকে ভিত্তি করে আরও ১১ বছর এ ব্যাপারটা বিলম্বিত হলো। হাইকোর্টের রায়ের পর আপিল বিভাগে এসে ঝুলতে থাকল প্রায় সাত বছর। অজুহাত দেওয়া হলো যে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে একটা বেঞ্চ গঠন করা যাচ্ছে না, কেননা বিচারপতিদের কেউ কেউ হাইকোর্টের বিচারে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এটা খুবই খোড়া যুক্তি। কেননা আপিল বিভাগের স্পষ্ট বিধান রয়েছে, এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য হাইকোর্ট থেকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এটা কেন দেওয়া হলো না এবং যে দাবিগুলো করা হয়েছিল সেগুলো কেন উপেক্ষা করা হলো তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে জাতীয় পর্যায়ে মূল্যায়ন করতে হবে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটে। উভয় ঘটনায় একই রকমের অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। আমাদের জাতির বিজয়ে যারা পরাজিত হয়েছিল তারাই এই অশুভ শক্তি। সেই ৩ নভেম্বরের বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। সে ব্যাপারে সাংবিধানিক কর্তব্য রাষ্ট্রকে পালন করতে হবে।
এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের হত্যাকাণ্ড, জঙ্গিবাদ ও বোমাবাজদের ভয়াবহ আক্রমণ, এবং অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধ এবং জাতীয় অর্থনীতিকে গুরুতরভাবে আঘাত করার মতো বড় আকারের দুর্নীতির সঠিক তদন্ত শুরু করার পথে বিভিন্ন সময়ে নানা বাধা তৈরি হয়েছে। অপরাধীদের নানা রকমের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। একেক সময় মনে হয় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকেরা অসহায় ও নীরব দর্শক, যারা অন্তর থেকে চায় এসব ব্যাপারে আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হোক। কিন্তু দেখা যায় যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের অর্থ এবং প্রভাব খাটিয়ে আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান করে। আজ এ তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা দেরিতে ঘটলেও, যারা অপরাধী তাদের বিচার সম্পন্ন করে রায় কার্যকর হওয়ার পর্যায়ে এসেছে। এটি প্রমাণ করে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
অতীত থেকে আমাদের যে শিক্ষা গ্রহণ করা দরকার তা হলো, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রশাসন এবং তদন্তকারীকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকতে হয়।
আজ আমি মনে করি, সারা জাতির বিশ্বাস ফিরে আসা উচিত যে আমরা অসহায় নই। সংবিধান এবং আইনকে অবশ্যই কাজে লাগানো যায়। আইনের চোখে সবাই সমান, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়—এই কথাগুলো সত্যিকার অর্থে গ্রহণ করে আমরা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি, তাহলে অপরাধীদের কাছে আমরা এ বার্তা পৌঁছে দিতে পারব যে অপরাধ করে তারা জবাবদিহি থেকে মুক্ত হতে পারে না। সচেতন নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের বিচার করার শক্তি সঞ্চয় করে এবং এসব ব্যক্তির সুবিচার নিশ্চিত করতে পারে।
ড. কামাল হোসেন: সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও গণফোরাম সভাপতি।
No comments