শিক্ষানীতি -বাস্তবায়ন ও অসংগতি by মোস্তফা তারিকুল আহসান
স্বাধীনতার পর আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যে পরিমাণ পরীক্ষা- নিরীক্ষা হয়েছে, অন্য কোনো বিষয় নিয়ে তা করা হয়নি। বেশির ভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে থেকে গেছে, বাস্তবায়িত হয়নি। এসব নীতি এমন ছিল যে তা বাস্তবায়ন করা যেত না। আজ পর্যন্ত কোনো শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। স্বাধীনতার প্রায় ৪০ বছর অতিবাহিত হতে চললেও সে কারণে আমাদের শিক্ষা সত্যিকার অর্থে আলোর মুখ দেখতে পায়নি। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক—এসব নিরীক্ষার গিনিপিগে পরিণত হয়েছে। জাতিকে মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমার প্রায় এক যুগ শিক্ষকতার এবং তার অধিক শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা থেকে আমি মোটামুটি হতাশ।
তবু বর্তমান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা শিক্ষামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় যে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে আমি কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করছি। তবে এর বাস্তবায়ন নিয়ে আমি এখনো খানিকটা সন্দিহান। কুদরাত-এ-খুদা কমিশনকে ঘষেমেজে যে নতুন শিক্ষা কমিশন করা হয়েছে, তা এক অর্থে উচ্চাভিলাষী। এটা এই সরকার তো বাস্তবায়ন করতে পারবেই না, কোন সরকার শেষ করতে পারবে, তা অনুমান আপাতত সম্ভব নয়।
প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্তরকে ভেঙে যে নতুন স্তর করার কথা এখানে বলা হয়েছে, তা আদৌ সম্ভব হবে কি না, ভেবে দেখা দরকার। প্রাথমিক স্তরকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত করে কার্যত কোনো লাভ হবে কি না, তা ভাবতে হবে। নতুন শিক্ষক, অবকাঠামো, পুনর্বিন্যাস—এসব নিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর জটিলতা। একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়তো কষ্ট করে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াতে পারবেন, কিন্তু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কেউ এইচএসসি পর্যায়ে পড়াতে পারবেন না। আমার সঙ্গে হয়তো কেউ এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। তবে স্কুল-কলেজ বা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমাদের দেশে মানসম্পন্ন শিক্ষক নেই। অন্য কথায়, যে সুযোগ-সুবিধা শিক্ষকেরা পান, তাতে কোনো মেধাবী ব্যক্তি শিক্ষকতার পেশায় আসতে পারেন না বা চান না।
ইংরেজি শিক্ষা কখন থেকে শুরু হবে, ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল কীভাবে চলবে, সে সম্পর্কে এই কমিশন কার্যত কোনো মতামত দেয়নি। স্পষ্টত তাদের পক্ষপাত আছে ইংরেজি শিক্ষার দিকে। আমার মনে হয় না যে এই আধুনিক যুগে ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজন সামান্য। কিন্তু বারো ক্লাস পর্যন্ত কিংবা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে অথবা বর্তমানে এ-প্লাস পেয়েও যখন কেউ ইংরেজিতে একটি শুদ্ধ বাক্য লিখতে গিয়ে গলদঘর্ম হয়, তখন বোঝা যায়, বড় ধরনের পদ্ধতিগত ত্রুটির ভেতর দিয়ে ছাত্ররা ইংরেজি শিখছে।
বস্তুত, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা হবে বলা হলেও বাস্তবতা হলো, এই নীতি কোনো বৈষম্য কমাতে পারবে না। এটাও গালভরা বুলি হয়ে থাকবে, যতক্ষণ না শিক্ষকতার পেশাকে আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। দ্বিতীয়ত, কোচিং সেন্টার, টিউশনি ও নোট বা গাইড বইয়ের ব্যাপক প্রসারের ফলে শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন। শ্রেণীকক্ষে পড়াশোনা না হওয়ার কারণে বাবা-মা ছেলেমেয়ে নিয়ে কোচিং সেন্টারে বা মাস্টারের বাড়িতে ছুটছেন। মা-বাবার অবস্থা পাগলের মতো। হতে পারে, বেকার দেশে কিছু যুবক ছেলে কোচিং সেন্টারের ফলে সাময়িকভাবে উপকৃত হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এটা চলতে দেয় কেন?
ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার ফল দেশবাসী পাচ্ছে দুইভাবে। প্রথমত, ভুলভাবে ইংরেজি শেখায় বেশির ভাগ স্কুল। এরা না ইংরেজি শেখে, না বাংলা শেখে। তোতা পাখির মতো কিছু শব্দ ও ছড়া শিখে তারা কার্যত মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। জলের মাছ ডাঙায় তুললে যে অবস্থা হয়, এদের অবস্থা তার চেয়ে আরও খারাপ। মাছ তবু মরে গিয়ে রক্ষা পায়, এদের সে উপায় নেই। কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতে পারে না, নিজের মুখস্থ বিদ্যা জাহির করতে পারে না, বিদ্যার সঙ্গে কল্পনার সংযোগ না করতে পেরে হাঁসফাঁস করতে থাকে। দ্বিতীয়ত, যারা সত্যি সত্যি ঢাকা-চট্টগ্রামের ভালো ভালো স্কুলে পড়ছে, তারা কারা? তারা তথাকথিত ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণী, যাদের অঢেল টাকা আছে এবং যারা বাকিদের নমঃশূদ্র মনে করে। শিক্ষামন্ত্রী এই সামাজিক শ্রেণীবৈষম্য মানতে চান কেন? তিনি তো বলেছিলেন, দেশে প্রচলিত বারো রকমের শিক্ষাব্যবস্থাকে অভিন্ন করা হবে। সুবিধাবাদী বুর্জোয়া শ্রেণীকে ছাড় দেওয়ার জন্যই কি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চালু থাকবে? যারা দেশের বাইরে যাবে, তাদের জন্য তো আইইএলটিএস বা টোফেল-ব্যবস্থা আছে। আর উচ্চশিক্ষায় তো ইংরেজি বহাল থাকার কথা। তাহলে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দরকারটা কী?
মাদ্রাসাশিক্ষার সমস্যা আরও ব্যাপক। এই শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক করা খুব জটিল বিষয়। তাদের শিক্ষকদেরও আধুনিক জীবনধারার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাঁদের সুযোগ দিতে হবে সব সুযোগসহ বেড়ে ওঠার। বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ক্ষমতাসীন দলের ভোটের রাজনীতির শিকার। শুধু ভোট ও বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আগাছার মতো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনোভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা যাবে না। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় নাকি ২৭টি কলেজ! ব্যাঙের ছাতার মতো এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত, তা শিক্ষামন্ত্রী জানেন কি? জেনে থাকলে ভালো। তবে জানলেও তাঁর কিছু করার নেই। বেকার যুবকদের বেকারত্বকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠান কার্যত দেশের ভয়াবহ দুর্নীতির প্রতিফলন।
কাজেই শিক্ষানীতি করলেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ইউরোপীয় ব্যবস্থার মতো হয়ে যাবে—এ রকম ভাবার কোনো অবকাশ নেই। তবু আমরা আশাবাদী, অন্তত কিছুটা অভিন্ন, বাস্তবসম্মত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা চালু হলেই আমরা খুশি। কারণ এ কাজে সফল হওয়া সত্যি কঠিন।
মোস্তফা তারিকুল আহসান: সহযোগী অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
তবু বর্তমান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা শিক্ষামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় যে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে আমি কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করছি। তবে এর বাস্তবায়ন নিয়ে আমি এখনো খানিকটা সন্দিহান। কুদরাত-এ-খুদা কমিশনকে ঘষেমেজে যে নতুন শিক্ষা কমিশন করা হয়েছে, তা এক অর্থে উচ্চাভিলাষী। এটা এই সরকার তো বাস্তবায়ন করতে পারবেই না, কোন সরকার শেষ করতে পারবে, তা অনুমান আপাতত সম্ভব নয়।
প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্তরকে ভেঙে যে নতুন স্তর করার কথা এখানে বলা হয়েছে, তা আদৌ সম্ভব হবে কি না, ভেবে দেখা দরকার। প্রাথমিক স্তরকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত করে কার্যত কোনো লাভ হবে কি না, তা ভাবতে হবে। নতুন শিক্ষক, অবকাঠামো, পুনর্বিন্যাস—এসব নিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর জটিলতা। একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়তো কষ্ট করে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াতে পারবেন, কিন্তু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কেউ এইচএসসি পর্যায়ে পড়াতে পারবেন না। আমার সঙ্গে হয়তো কেউ এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। তবে স্কুল-কলেজ বা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমাদের দেশে মানসম্পন্ন শিক্ষক নেই। অন্য কথায়, যে সুযোগ-সুবিধা শিক্ষকেরা পান, তাতে কোনো মেধাবী ব্যক্তি শিক্ষকতার পেশায় আসতে পারেন না বা চান না।
ইংরেজি শিক্ষা কখন থেকে শুরু হবে, ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল কীভাবে চলবে, সে সম্পর্কে এই কমিশন কার্যত কোনো মতামত দেয়নি। স্পষ্টত তাদের পক্ষপাত আছে ইংরেজি শিক্ষার দিকে। আমার মনে হয় না যে এই আধুনিক যুগে ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজন সামান্য। কিন্তু বারো ক্লাস পর্যন্ত কিংবা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে অথবা বর্তমানে এ-প্লাস পেয়েও যখন কেউ ইংরেজিতে একটি শুদ্ধ বাক্য লিখতে গিয়ে গলদঘর্ম হয়, তখন বোঝা যায়, বড় ধরনের পদ্ধতিগত ত্রুটির ভেতর দিয়ে ছাত্ররা ইংরেজি শিখছে।
বস্তুত, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা হবে বলা হলেও বাস্তবতা হলো, এই নীতি কোনো বৈষম্য কমাতে পারবে না। এটাও গালভরা বুলি হয়ে থাকবে, যতক্ষণ না শিক্ষকতার পেশাকে আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। দ্বিতীয়ত, কোচিং সেন্টার, টিউশনি ও নোট বা গাইড বইয়ের ব্যাপক প্রসারের ফলে শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন। শ্রেণীকক্ষে পড়াশোনা না হওয়ার কারণে বাবা-মা ছেলেমেয়ে নিয়ে কোচিং সেন্টারে বা মাস্টারের বাড়িতে ছুটছেন। মা-বাবার অবস্থা পাগলের মতো। হতে পারে, বেকার দেশে কিছু যুবক ছেলে কোচিং সেন্টারের ফলে সাময়িকভাবে উপকৃত হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এটা চলতে দেয় কেন?
ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার ফল দেশবাসী পাচ্ছে দুইভাবে। প্রথমত, ভুলভাবে ইংরেজি শেখায় বেশির ভাগ স্কুল। এরা না ইংরেজি শেখে, না বাংলা শেখে। তোতা পাখির মতো কিছু শব্দ ও ছড়া শিখে তারা কার্যত মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। জলের মাছ ডাঙায় তুললে যে অবস্থা হয়, এদের অবস্থা তার চেয়ে আরও খারাপ। মাছ তবু মরে গিয়ে রক্ষা পায়, এদের সে উপায় নেই। কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতে পারে না, নিজের মুখস্থ বিদ্যা জাহির করতে পারে না, বিদ্যার সঙ্গে কল্পনার সংযোগ না করতে পেরে হাঁসফাঁস করতে থাকে। দ্বিতীয়ত, যারা সত্যি সত্যি ঢাকা-চট্টগ্রামের ভালো ভালো স্কুলে পড়ছে, তারা কারা? তারা তথাকথিত ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণী, যাদের অঢেল টাকা আছে এবং যারা বাকিদের নমঃশূদ্র মনে করে। শিক্ষামন্ত্রী এই সামাজিক শ্রেণীবৈষম্য মানতে চান কেন? তিনি তো বলেছিলেন, দেশে প্রচলিত বারো রকমের শিক্ষাব্যবস্থাকে অভিন্ন করা হবে। সুবিধাবাদী বুর্জোয়া শ্রেণীকে ছাড় দেওয়ার জন্যই কি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চালু থাকবে? যারা দেশের বাইরে যাবে, তাদের জন্য তো আইইএলটিএস বা টোফেল-ব্যবস্থা আছে। আর উচ্চশিক্ষায় তো ইংরেজি বহাল থাকার কথা। তাহলে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দরকারটা কী?
মাদ্রাসাশিক্ষার সমস্যা আরও ব্যাপক। এই শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক করা খুব জটিল বিষয়। তাদের শিক্ষকদেরও আধুনিক জীবনধারার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাঁদের সুযোগ দিতে হবে সব সুযোগসহ বেড়ে ওঠার। বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ক্ষমতাসীন দলের ভোটের রাজনীতির শিকার। শুধু ভোট ও বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আগাছার মতো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনোভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা যাবে না। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় নাকি ২৭টি কলেজ! ব্যাঙের ছাতার মতো এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত, তা শিক্ষামন্ত্রী জানেন কি? জেনে থাকলে ভালো। তবে জানলেও তাঁর কিছু করার নেই। বেকার যুবকদের বেকারত্বকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠান কার্যত দেশের ভয়াবহ দুর্নীতির প্রতিফলন।
কাজেই শিক্ষানীতি করলেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ইউরোপীয় ব্যবস্থার মতো হয়ে যাবে—এ রকম ভাবার কোনো অবকাশ নেই। তবু আমরা আশাবাদী, অন্তত কিছুটা অভিন্ন, বাস্তবসম্মত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা চালু হলেই আমরা খুশি। কারণ এ কাজে সফল হওয়া সত্যি কঠিন।
মোস্তফা তারিকুল আহসান: সহযোগী অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments