পিয়ংইয়ংকে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানালেন ওবামা ও লি -ইরানকে বেশি সময় দেওয়া হবে না
উত্তর কোরিয়াকে উসকানিমূলক আচরণ বন্ধ করে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক। গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ আহ্বান জানান। এ সংবাদ সম্মেলনে ওবামা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে অচলাবস্থার পরিণাম সম্পর্কে ইরানকে হুঁশিয়ার করে দেন। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি-বিষয়ক আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারেও দুই প্রেসিডেন্ট একমত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার প্রসঙ্গে ওবামা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট লি ও আমি দুজনই অতীতের সেই ধারা ভাঙার ব্যাপারে একমত হয়েছি, যেখানে উত্তর কোরিয়া উসকানিমূলক আচরণ করত, পরে আলোচনায় ফিরে আসার আগ্রহ দেখাত এবং আরও ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করত।’ তিনি জানান, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিফেন বসওয়ার্থ আগামী ৮ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়া সফর করতে পারেন।
ইরান প্রসঙ্গে ওবামা বলেন, ‘সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও (আমাদের) প্রস্তাবের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয়নি ইরান। তাই এর পরিণতি বিষয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।’ ইরানকে বেশি সময় দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থনৈতিক সহায়তার বিনিময়ে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে পিয়ংইয়ংকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার পুনরুল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট লি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, এ প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে নিজের নিরাপত্তা, জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও নতুন একটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করবে উত্তর কোরিয়া।’
এ ছাড়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যবিষয়ক জটিলতা দূর করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করেন দুই প্রেসিডেন্ট। এ ব্যাপারে লি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে আলোচনা করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’ দুই বছর আগে এ দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য-বিষয়ক চুক্তি হলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়া অক্টোবরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীকে সাহায্য করতে পুলিশ ও সেনাসদস্য পাঠানোর কথাও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর পর ওসানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন ওবামা। সেখানে সেনাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।
সিউল থেকে গতকালই ওয়াশিংটনে ফিরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে তাঁর এশিয়া সফর শেষ হলো। সপ্তাহব্যাপী এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে তিনি এর আগে জাপান, সিঙ্গাপুর ও চীনে যান।
সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার প্রসঙ্গে ওবামা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট লি ও আমি দুজনই অতীতের সেই ধারা ভাঙার ব্যাপারে একমত হয়েছি, যেখানে উত্তর কোরিয়া উসকানিমূলক আচরণ করত, পরে আলোচনায় ফিরে আসার আগ্রহ দেখাত এবং আরও ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করত।’ তিনি জানান, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিফেন বসওয়ার্থ আগামী ৮ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়া সফর করতে পারেন।
ইরান প্রসঙ্গে ওবামা বলেন, ‘সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও (আমাদের) প্রস্তাবের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয়নি ইরান। তাই এর পরিণতি বিষয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।’ ইরানকে বেশি সময় দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থনৈতিক সহায়তার বিনিময়ে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে পিয়ংইয়ংকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার পুনরুল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট লি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, এ প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে নিজের নিরাপত্তা, জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও নতুন একটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করবে উত্তর কোরিয়া।’
এ ছাড়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যবিষয়ক জটিলতা দূর করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করেন দুই প্রেসিডেন্ট। এ ব্যাপারে লি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে আলোচনা করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’ দুই বছর আগে এ দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য-বিষয়ক চুক্তি হলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়া অক্টোবরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীকে সাহায্য করতে পুলিশ ও সেনাসদস্য পাঠানোর কথাও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর পর ওসানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন ওবামা। সেখানে সেনাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।
সিউল থেকে গতকালই ওয়াশিংটনে ফিরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে তাঁর এশিয়া সফর শেষ হলো। সপ্তাহব্যাপী এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে তিনি এর আগে জাপান, সিঙ্গাপুর ও চীনে যান।
No comments