অন্যায় সুবিধা পান পিস্টোরিয়াস
পা নেই। তার পরও দৌড়ান। শুধু তা-ই নয়, পা-বিহীন বিশ্বের দ্রততম মানব তিনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণার ফল বলছে, ফাইবারের তৈরি যে কৃত্রিম পা লাগিয়ে অস্কার পিস্টোরিয়াস দৌড়ান, সেটি অন্যায় সুবিধা এনে দেয় তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার দৌড়বিদ শুধু ওই কার্বন ফাইবারের তৈরি পা জোড়ার কারণে ৪০০ মিটারে কমপক্ষে ১০ সেকেন্ড কম সময়ে দৌড় শেষ করতে পারেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই অ্যাথলেটকে নিয়ে বিতর্ক আগেও ছিল। ওই পা জোড়া নিয়ে সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে দৌড়ান তিনি। অংশ নিতে চেয়েছিলেন গত বেইজিং অলিম্পিকেও। কিন্তু অলিম্পিকের আগে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস সংস্থা (আইএএএফ) নিয়ম সংশোধন করায় কৃত্রিম পা নিয়ে সুস্থ প্রতিযোগীদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা হারান পিস্টোরিয়াস। শেষ পর্যন্ত আইএএএফের এই নিয়মের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) গিয়ে মামলা জেতেন পিস্টোরিয়াস। অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার পথে কোনো বাধা না থাকলেও বাছাইপর্বে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের কারণে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হন।
সিএএস তখন তাদের রায়ে বলেছিল, কৃত্রিম পা জোড়ার কারণে অস্কার বাড়তি সুবিধা পান এমন প্রমাণ আইএএএফ দিতে পারেনি। সেই প্রমাণটাই এবার হাজির করল যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। দৌড়ানোর সময় ইংরেজি ‘জে’ অক্ষরের মতো স্প্রিংয়ের হালকা, বাঁকানো যে কৃত্রিম পা জোড়া পিস্টোরিয়াস ব্যবহার করেন সেটি তাঁর দৌড়ের গতি ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন বলে জানিয়েছেন টেক্সাসের সাদার্ন মেথডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ম্যাথু বান্ডল। ১০০ মিটারে সর্বশেষ ছয় বিশ্ব রেকর্ডধারীর দৌড়ের সঙ্গে পিস্টোরিয়াসের দৌড় বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখতে পান, সুস্থদের তুলনায় ১৫ শতাংশ দ্রুত নিজের পায়ের পেশি নড়াচড়া করতে পারেন। ‘চিতাস’ নামের ওই পা জোড়া তাঁকে স্বাভাবিকের তুলনায় ২০ শতাংশ কম শক্তি ব্যয়ে দৌড়াতে সাহায্য করে।
মার্কিন এই গবেষকদের পরীক্ষার ফলের পর আইএএএফ পিস্টোরিয়াসের দৌড় নিষিদ্ধ করবে কি না, এটি এখনো জানা যায়নি। জানা যায়নি পিস্টোরিয়াসের প্রতিক্রিয়াও, যিনি আগামী অলিম্পিকে দৌড়ানোর স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই অ্যাথলেটকে নিয়ে বিতর্ক আগেও ছিল। ওই পা জোড়া নিয়ে সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে দৌড়ান তিনি। অংশ নিতে চেয়েছিলেন গত বেইজিং অলিম্পিকেও। কিন্তু অলিম্পিকের আগে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস সংস্থা (আইএএএফ) নিয়ম সংশোধন করায় কৃত্রিম পা নিয়ে সুস্থ প্রতিযোগীদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা হারান পিস্টোরিয়াস। শেষ পর্যন্ত আইএএএফের এই নিয়মের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) গিয়ে মামলা জেতেন পিস্টোরিয়াস। অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার পথে কোনো বাধা না থাকলেও বাছাইপর্বে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের কারণে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হন।
সিএএস তখন তাদের রায়ে বলেছিল, কৃত্রিম পা জোড়ার কারণে অস্কার বাড়তি সুবিধা পান এমন প্রমাণ আইএএএফ দিতে পারেনি। সেই প্রমাণটাই এবার হাজির করল যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। দৌড়ানোর সময় ইংরেজি ‘জে’ অক্ষরের মতো স্প্রিংয়ের হালকা, বাঁকানো যে কৃত্রিম পা জোড়া পিস্টোরিয়াস ব্যবহার করেন সেটি তাঁর দৌড়ের গতি ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন বলে জানিয়েছেন টেক্সাসের সাদার্ন মেথডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ম্যাথু বান্ডল। ১০০ মিটারে সর্বশেষ ছয় বিশ্ব রেকর্ডধারীর দৌড়ের সঙ্গে পিস্টোরিয়াসের দৌড় বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখতে পান, সুস্থদের তুলনায় ১৫ শতাংশ দ্রুত নিজের পায়ের পেশি নড়াচড়া করতে পারেন। ‘চিতাস’ নামের ওই পা জোড়া তাঁকে স্বাভাবিকের তুলনায় ২০ শতাংশ কম শক্তি ব্যয়ে দৌড়াতে সাহায্য করে।
মার্কিন এই গবেষকদের পরীক্ষার ফলের পর আইএএএফ পিস্টোরিয়াসের দৌড় নিষিদ্ধ করবে কি না, এটি এখনো জানা যায়নি। জানা যায়নি পিস্টোরিয়াসের প্রতিক্রিয়াও, যিনি আগামী অলিম্পিকে দৌড়ানোর স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন।
No comments