কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ছাত্রকে গ্রেপ্তার
শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রকে ‘হামাসপন্থী উগ্র বিদেশি ছাত্র’ বলেও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন, কলেজ ক্যাম্পাসে খলিলের মতো আরও অনেক ‘সন্ত্রাসবাদপন্থী, ইহুদিবিরোধী, আমেরিকাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত’ ছাত্র রয়েছেন। সকলকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘বেতনভুক আন্দোলনকারী’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ''আমরা আমাদের দেশ থেকে এই ‘সন্ত্রাসবাদী’দের প্রতি সহানুভূতিশীলদের খুঁজে বের করব, গ্রেপ্তার করব এবং বহিষ্কার করব।''
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের হামলা এবং পরবর্তী সময়ে গাজা ভূখণ্ডে আমেরিকার সমর্থনে ইসরাইলের গণহত্যার ফলে, গত কয়েক মাস ধরে আমেরিকায়, বিশেষ করে কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে আলোড়ন তুলেছে ফিলিস্তিনপন্থী এবং ইসরাইল-বিরোধী বিক্ষোভ। শনিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের প্রতি ট্রাম্পের সমালোচনা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে নিশানা করছে ট্রাম্প সরকার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন খলিল। এর পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, ‘আমেরিকায় হামাস সমর্থক’দের ভিসা এবং গ্রিন কার্ড বাতিল করবে ট্রাম্প প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দাবি করেছে, ‘হামাস সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড’ পরিচালনা করেছেন খলিল। ‘স্টুডেন্ট ওয়ার্কারস অফ কলোম্বিয়া লেবার ইউনিয়ন’ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবন থেকে খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স’-এর ছাত্র খলিল। তার স্ত্রী মার্কিন নাগরিক এবং আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জানা গেছে মাহমুদ খলিল নিজেও গ্রিন কার্ডধারী অর্থাৎ আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা। এই ঘটনায় সে দেশের নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো খলিলের গ্রেপ্তারের তীব্র সমালোচনা করেছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
No comments