ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান: আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চোখে by কাজী সোহাগ
কলুষমুক্ত
বিশুদ্ধ আওয়ামী লীগ দেখতে চান দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
দুর্নীতি, অপকর্ম আর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সঙ্গে জড়িতরা দলে আর যেনো
মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তেমনটিই প্রত্যাশা তাদের। তাই চলমান অভিযানে
খুশি দলের তৃণমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তবে অভিযানের প্রক্রিয়া নিয়ে
কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে শীর্ষ কয়েক নেতার। তাদের যুক্তি, এভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে
দলের নেতাদের গ্রেপ্তার না করে বিষয়টি নীরবেও করা সম্ভব হতো। দলটির
বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা জানান, দলের নাম ভাঙিয়ে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা
করা, আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়ে ক্ষমতার দাপট দেখানো ও বলয় তৈরি করে
রাজনীতি করা কথিত নেতাদের লাগাম টেনে ধরতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের
সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি
দলকে পরিশুদ্ধ করে জনগণের কাছে আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয় সংগঠন হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। চলমান শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে তৃনমুলের কর্মীরা
মানবজমিনকে জানিয়েছেন, অনেক আগে থেকেই দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরার
দরকার ছিলো।
চাঁদার বখরা নিয়ে দলের মধ্যে মারামারি, খুনোখুনির অনেক ঘটনা ঘটেছে। যে অভিযান শুরু হয়েছে তা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস বইবে।
তারা বলেন, দলীয় সভাপতির এ উদ্যোগ সবার জন্য কড়া সতর্কবার্তা। বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা তাদের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা, কর্মপদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি মাইলফলক হিসেবে থাকবে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, গত ১১ বছর সরকার দেশের উন্নয়নে যেভাবে অবদান রেখেছে, সেভাবে দল ও সরকারের ইমেজ বাড়েনি। সরকারের সেক্টর-ভিত্তিক ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হলেও তা ম্লান হয়েছে কতিপয় দুর্নীতিবাজ আর সন্ত্রাসীর অপকর্মে। আর এসবের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে কোনও না কোনোভাবে সম্পৃক্ত। তাই তাদের কর্মের বদনামটা শেষ পর্যন্ত দল বা সরকারের ওপরই এসে পড়ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকার এবার মাদক নির্মূল ও দুর্নীতি-সন্ত্রাস দমনের ওপর জোর দিয়েছে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে দুষিত রক্ত বের করতে হবে। আমাদের পার্টির ক্লিন ইমেজ গড়ে তুলতে হবে। ক্লিন ইমেজ করতে হলে আমাদের আগাছা,পরগাছা মুক্ত আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে হবে, সেটাই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্নের আওয়ামী লীগ। দুঃসময়ের কর্মীরা যে আওয়ামী লীগে কোনঠাসা, সেই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নয়। সেখানে দলের আদর্শ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে অপকর্ম, দুর্নীতি, লুটপাট, ভূমি দখল করবে-তারা আওয়ামী লীগের লোক হতে পারে না। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার জন্য শেখ হাসিনা মদ ও জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজকে কিছু অনুপ্রবেশকারী দলে প্রবেশ করে আমাদের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ বিশাল রাজনৈতিক দল, কত দল এদেশে এসছিলো কিন্তু আজকে খুঁজে পাওয়া যায় না, আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। ক্যাসিনো জুয়া এগুলো আমাদের সংবিধান পরিপন্থী, সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে আছে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, এগুলো জিয়াউর রহমান চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু একটা সুন্দর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছাবেন। সাংগঠনিক কাজে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আসা পাবনার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ আলম বলেন, দলের ভেতরে যে অসংগতি দেখা দিয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন। জনগনের কান্না তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। তার নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানের কারনে এখন আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা আওয়ামী লীগ করি, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কর্মী আমরা। একই এলাকার আরেক আওয়ামী লীগ কর্মী মিজান আরমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আছে এটাই ছিলো এতদিন আমাদের গর্বের বিষয়। এখন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সেটা হলো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ জনগণের আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিবাজ আর অপকর্মকারীরা কিছুদিনের জন্য হয়তো দলে রাজা হয়ে থাকেন, দীর্ঘদিনের জন্য না। ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগ নেতা জেরিন সুলতানা বলেন, দলকে ভালোভাবে টিকিয়ে রাখতে হলে ভালো ও ক্লিন ইমেজের নেতাদের বেছে নিতে হবে। তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। আর দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
চাঁদার বখরা নিয়ে দলের মধ্যে মারামারি, খুনোখুনির অনেক ঘটনা ঘটেছে। যে অভিযান শুরু হয়েছে তা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস বইবে।
তারা বলেন, দলীয় সভাপতির এ উদ্যোগ সবার জন্য কড়া সতর্কবার্তা। বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা তাদের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা, কর্মপদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি মাইলফলক হিসেবে থাকবে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, গত ১১ বছর সরকার দেশের উন্নয়নে যেভাবে অবদান রেখেছে, সেভাবে দল ও সরকারের ইমেজ বাড়েনি। সরকারের সেক্টর-ভিত্তিক ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হলেও তা ম্লান হয়েছে কতিপয় দুর্নীতিবাজ আর সন্ত্রাসীর অপকর্মে। আর এসবের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে কোনও না কোনোভাবে সম্পৃক্ত। তাই তাদের কর্মের বদনামটা শেষ পর্যন্ত দল বা সরকারের ওপরই এসে পড়ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকার এবার মাদক নির্মূল ও দুর্নীতি-সন্ত্রাস দমনের ওপর জোর দিয়েছে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে দুষিত রক্ত বের করতে হবে। আমাদের পার্টির ক্লিন ইমেজ গড়ে তুলতে হবে। ক্লিন ইমেজ করতে হলে আমাদের আগাছা,পরগাছা মুক্ত আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে হবে, সেটাই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্নের আওয়ামী লীগ। দুঃসময়ের কর্মীরা যে আওয়ামী লীগে কোনঠাসা, সেই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নয়। সেখানে দলের আদর্শ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে অপকর্ম, দুর্নীতি, লুটপাট, ভূমি দখল করবে-তারা আওয়ামী লীগের লোক হতে পারে না। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার জন্য শেখ হাসিনা মদ ও জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজকে কিছু অনুপ্রবেশকারী দলে প্রবেশ করে আমাদের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ বিশাল রাজনৈতিক দল, কত দল এদেশে এসছিলো কিন্তু আজকে খুঁজে পাওয়া যায় না, আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। ক্যাসিনো জুয়া এগুলো আমাদের সংবিধান পরিপন্থী, সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে আছে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, এগুলো জিয়াউর রহমান চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু একটা সুন্দর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছাবেন। সাংগঠনিক কাজে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আসা পাবনার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ আলম বলেন, দলের ভেতরে যে অসংগতি দেখা দিয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন। জনগনের কান্না তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। তার নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানের কারনে এখন আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা আওয়ামী লীগ করি, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কর্মী আমরা। একই এলাকার আরেক আওয়ামী লীগ কর্মী মিজান আরমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আছে এটাই ছিলো এতদিন আমাদের গর্বের বিষয়। এখন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সেটা হলো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ জনগণের আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিবাজ আর অপকর্মকারীরা কিছুদিনের জন্য হয়তো দলে রাজা হয়ে থাকেন, দীর্ঘদিনের জন্য না। ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগ নেতা জেরিন সুলতানা বলেন, দলকে ভালোভাবে টিকিয়ে রাখতে হলে ভালো ও ক্লিন ইমেজের নেতাদের বেছে নিতে হবে। তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। আর দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
No comments