সৌদি আরব-ইরান সম্পর্কের বরফ গলবে!
তবে
কি মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার জমাট বরফ গলবে!
কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হবে এক নতুন অধ্যায়! শান্তি ফিরে আসবে
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে! এমন আশা জাগছে আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে সৌদি আরবের
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আগ্রহকে কেন্দ্র করে। তিনি তার দেশের
ভীষণ বৈরি ইরানের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তার এ আগ্রহকে
স্বাগত জানিয়েছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার আলি লারিজানি বলেছেন,
সৌদি আরবের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে উন্মুক্ত ইরান। ফলে যদি দুই দেশ মনে
শান্তি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসে তাহলে মধ্যপ্রাচ্য
শান্তিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
রোববার সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সিবিএস টেলিভিশনকে বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ইরানের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে তিনি শান্তিপূর্ণ একটি সমাধানের পক্ষে থাকবেন। তার এই কথাটির মধ্যে অনেক কথা বলা হয়ে গেছে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে তাকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইমরান খান সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তিনি এরই মধ্যে এ কাজ শুরু করেছেন। ফলে পরিস্থিতি আশা জাগানিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে ইরানের স্পিকার বলেছেন, আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে তারা আলোচনা শুরু করতে উন্মুক্ত। তিনি আল জাজিরাকে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার দেন। তা প্রচার করা হয় মঙ্গলবার। এতে তিনি বলেন, সৌদি আরব ও আঞ্চলিক অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইরান। তার ভাষায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সংলাপ হলে তাতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বহু সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক আসাদ বেগ বলছেন, এমন সংলাপ হলে তা ইরানের জন্য বিজয় হিসেবে দেখা হবে। এতে মনে হবে ইরানের সামরিক কৌশল কাজ করছে। ইরান নিজের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী হিসেবে প্রদর্শন করছে এবং যদি কোনো বন্ধুদেশ ইরানের বন্ধু হতে চায় তাহলে তাদেরকে সামরিক সংঘাত পরিহার করে সংলাপে আসতে হবে।
আলি লারিজানি বলেছেন, প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করা বা তাদের ওপর ভর দিয়ে চলার কোনো প্রয়োজন নেই সৌদি আরবের। ইরান-সৌদি আরব সংলাপের টেবিলে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দিতে পারে রিয়াদ। এক্ষেত্রে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো পূর্বশর্ত থাকবে না। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সংলাপ চেয়েছেন। তাকে আমরা স্বাগত জানাই। সম্ভবত সৌদি আরব বুঝতে পেরেছে যে, আঞ্চলিক স্বার্থই সবার আগে দেখা উচিত।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের সাক্ষাতকার রোববার প্রচার করে সিবিএস ৬০ মিনিট অনুষ্ঠানে। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সশস্ত্র সংঘাত হলে অশোধিত তেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যেতে পারে। বিশ্বে যে পরিমাণ জ্বালানি সরবরাহ হয় তার মধ্যে শতকরা প্রায় ৩০ ভাগই সরবরাহ দেয় মধ্যপ্রাচ্য।
ওদিকে কয়েকদিন আগে সৌদি আরব সফর করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। তিনি সাক্ষাত করেছেন বাদশা সালমানের সঙ্গে। এরপর তিনি বলেছেন, ওই অঞ্চলে আরেকটি যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রত্যেকেই আগ্রহী। সোমবার আল জাজিরায় প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে আবদুল মাহদি বলেন, কোনো দেশেরই তার শত্রুদের ভয়াবহ ক্ষতি করার জন্য অস্ত্র থাকা উচিত নয়। বিশৃংখলা এবং ধ্বংসযজ্ঞ পুরো অঞ্চলকে আঘাত করবে। এ সময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন আবদুল মাহদি।
ইরানের স্পিকার আলি লারিজানি বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে যেকোনো একটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানায় ইরান। এটা হবে রিয়াদের স্বার্থের জন্যও ভালো। ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে হুতিরা। সম্প্রতি সৌদি আরবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্রে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলার দায় তারা স্বীকার করলেও তা প্রত্যাখ্যান করে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। তারা এর জন্য দায়ী করে ইরানকে। এ নিয়ে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়।
রোববার সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সিবিএস টেলিভিশনকে বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ইরানের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে তিনি শান্তিপূর্ণ একটি সমাধানের পক্ষে থাকবেন। তার এই কথাটির মধ্যে অনেক কথা বলা হয়ে গেছে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে তাকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইমরান খান সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তিনি এরই মধ্যে এ কাজ শুরু করেছেন। ফলে পরিস্থিতি আশা জাগানিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে ইরানের স্পিকার বলেছেন, আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে তারা আলোচনা শুরু করতে উন্মুক্ত। তিনি আল জাজিরাকে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার দেন। তা প্রচার করা হয় মঙ্গলবার। এতে তিনি বলেন, সৌদি আরব ও আঞ্চলিক অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইরান। তার ভাষায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সংলাপ হলে তাতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বহু সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক আসাদ বেগ বলছেন, এমন সংলাপ হলে তা ইরানের জন্য বিজয় হিসেবে দেখা হবে। এতে মনে হবে ইরানের সামরিক কৌশল কাজ করছে। ইরান নিজের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী হিসেবে প্রদর্শন করছে এবং যদি কোনো বন্ধুদেশ ইরানের বন্ধু হতে চায় তাহলে তাদেরকে সামরিক সংঘাত পরিহার করে সংলাপে আসতে হবে।
আলি লারিজানি বলেছেন, প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করা বা তাদের ওপর ভর দিয়ে চলার কোনো প্রয়োজন নেই সৌদি আরবের। ইরান-সৌদি আরব সংলাপের টেবিলে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দিতে পারে রিয়াদ। এক্ষেত্রে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো পূর্বশর্ত থাকবে না। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সংলাপ চেয়েছেন। তাকে আমরা স্বাগত জানাই। সম্ভবত সৌদি আরব বুঝতে পেরেছে যে, আঞ্চলিক স্বার্থই সবার আগে দেখা উচিত।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের সাক্ষাতকার রোববার প্রচার করে সিবিএস ৬০ মিনিট অনুষ্ঠানে। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সশস্ত্র সংঘাত হলে অশোধিত তেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যেতে পারে। বিশ্বে যে পরিমাণ জ্বালানি সরবরাহ হয় তার মধ্যে শতকরা প্রায় ৩০ ভাগই সরবরাহ দেয় মধ্যপ্রাচ্য।
ওদিকে কয়েকদিন আগে সৌদি আরব সফর করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। তিনি সাক্ষাত করেছেন বাদশা সালমানের সঙ্গে। এরপর তিনি বলেছেন, ওই অঞ্চলে আরেকটি যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রত্যেকেই আগ্রহী। সোমবার আল জাজিরায় প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে আবদুল মাহদি বলেন, কোনো দেশেরই তার শত্রুদের ভয়াবহ ক্ষতি করার জন্য অস্ত্র থাকা উচিত নয়। বিশৃংখলা এবং ধ্বংসযজ্ঞ পুরো অঞ্চলকে আঘাত করবে। এ সময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলমান ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন আবদুল মাহদি।
ইরানের স্পিকার আলি লারিজানি বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে যেকোনো একটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানায় ইরান। এটা হবে রিয়াদের স্বার্থের জন্যও ভালো। ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে হুতিরা। সম্প্রতি সৌদি আরবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্রে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলার দায় তারা স্বীকার করলেও তা প্রত্যাখ্যান করে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। তারা এর জন্য দায়ী করে ইরানকে। এ নিয়ে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়।
No comments